ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের উদ্বাবনী সব প্রকল্প, নানান রকম প্রশ্ন-উত্তর, দেশসেরা বিজ্ঞানী ও অধ্যাপকদের বিজ্ঞানবিষয়ক বক্তৃতা, রোবট প্রদর্শনী, বিজ্ঞান ম্যাজিক, বিজ্ঞানের মজার বইয়ের সাথে পরিচিতি সহ আরো অনেক আয়োজনের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামে হয়ে গেলো বিজ্ঞান উৎসব।
দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশ এবং বিজ্ঞান ভিত্তিক মাসিক পত্রিকা বিজ্ঞানচিন্তার যৌথ আয়োজনে প্রায় ৩ শ’র বেশি শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে আজ চট্টগ্রামে প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে বিজ্ঞান উৎসবের আয়োজন করা হয়। দেশব্যাপী স্কুল শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানে উৎসাহী করতেই এই উদ্যোগ শুরু হয় ঢাকা থেকে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ চট্টগ্রামে এই বিজ্ঞান উৎসব আয়োজিত হলো। সামনে অনান্য বিভাগীয় শহরেও আয়োজিত হবে এবং সব শেষে ঢাকায় গ্র্যান্ড ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞানচিন্তার সম্পাদক আবদুল কাইয়ুম, প্রথম আলোর সহকারী সম্পাদক কবি বিশ্বজিৎ চৌধুরী, প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের সুপারিনটেনডেন্ট বেগম কামরুন নাহার, বিজ্ঞানচিন্তার নির্বাহী সম্পাদক আবুল বাসার, বিকাশের পক্ষ থেকে ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার সায়মা আহসান, বিভিন্ন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকসহ আরো অনেকে।
আজ চট্টগ্রাম আঞ্চলিক উৎসবে চট্টগ্রামের ৩০টি স্কুলের শিক্ষার্থীরা দলগতভাবে ৪০টি প্রকল্প উপস্থাপন করে। উৎসবের আগে নিবন্ধনের ভিত্তিতে প্রাথমিক যাচাই-বাছাই শেষে এই প্রকল্পগুলো প্রর্দশিত হয়। কুইজ পর্বেও বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। বিজ্ঞান প্রকল্পে এবং কুইজে বিজয়ীদের পুরস্কারও বিতরন করা হয় এবং এখান থেকে ১০টি প্রকল্প জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতার জন্য নির্বাচন করা হয়।
বিজ্ঞান উৎসব সম্পর্কে বিকাশের চিফ এক্সটারনাল অ্যান্ড কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মেজর জেনারেল(অবঃ) শেখ মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রায় শিক্ষার্থীদের যুক্ত করতে না পারলে আমরা পিছিয়ে যাবো। এই মেধাবীদের পাশে থাকতে পেরে বিকাশ গর্বিত। আশা করি এটা শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানমনষ্ক করে তুলবে এবং তাদের চিন্তাশক্তির বিকাশ ঘটাবে। যেভাবে নতুন নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে সারা বিশ্ব এগিয়ে চলছে তাতে আমাদের ছেলে-মেয়েদেরও গুরুত্বপূর্ণ অবদান থাকবে, এই স্বপ্ন দেখি।
বিজ্ঞান চিন্তার সম্পাদক আবদুল কাইয়ুম বলেন, দারুণ সব প্রকল্প প্রদর্শিত হচ্ছে এই উৎসবে যেগুলোর অনেক গুলোই হয়তো বাস্তবে কাজেও লাগাতে পারবো আমরা। এতে যেমন দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উতকর্ষ সাধিত হবে, তেমনি এই মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা নিজেদেরকে ভবিষ্যত বিজ্ঞানী হওয়ার পথে এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে। এটা শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস অনেকগুন বাড়িয়ে দেবে।
ব্র্যাক ব্যাংক, যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক মানি ইন মোশন, বিশ্ব ব্যাংক গ্রুপের অন্তর্গত ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স কর্পোরেশন, বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন এবং অ্যান্ট ফিনান্সিয়াল-এর যৌথ মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বিকাশ, ২০১১ সাল থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়ন্ত্রিত পেমেন্ট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিভিন্ন ধরনের মোবাইল/ডিজিটাল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস দিয়ে আসছে। #প্রেস বিজ্ঞপ্তি#