চতুর্থবারের মতো চলছে নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জের হ্যাকাথন।বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস-বেসিস, বেসিস স্টুডেন্টস ফোরামের সহযোগিতায় শুক্রবার ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে শুরু হয়েছে আয়োজনটি। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্র্রেশন-নাসা আন্তর্জাতিকভাবে বিশ্বের ২৫০টি শহরে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে, যেখানে বেসিস বাংলাদেশের ৯টি শহরে (ঢাকা, চট্রগ্রাম সিলেট, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, রংপুর, ময়মনসিংহ এবং কুমিল্লা) এ আয়োজন করেছে।
এবার ৯টি শহর থেকে দুই হাজারেরও বেশি প্রকল্প জমা পড়ে প্রতিযোগিতায়। সেখান থেকে শীর্ষ ৪০টি প্রকল্পকে নিয়ে হচ্ছে দুই দিনব্যাপী হ্যাকথনটি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর, বেসিসের সহ-সভাপতি মুশফিকুর রহমান, নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০১৮ এর আহ্বায়ক দিদারুল আলম, যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল হাসান অপু।
গত বছর দেশকে আটটি জোনে বিভক্ত করে ৪৫৩টি আবেদন গ্রহণ করা হয় যার মধ্য থেকে ১৩১টি প্রকল্প বাছাইয়ের জন্য মনোনীত করা হয়। প্রতিযোগিতায় সারা বাংলাদেশ থেকে ৫০টি দলের হ্যাকাথনের মধ্য দিয়ে সর্বমোট ১১টি সেরা প্রজেক্টকে নাসা’র নিয়মানুযায়ী মনোনীত করা হয়।এর মধ্যে দুটি প্রকল্প গ্লোবাল পিপল চয়েজ ফাইনালিস্ট সম্মান অর্জন করে।
এবার ৯টি শহর থেকে ১৮টি দলকে নাসার জন্যে মনোনীত করা হবে। ৩৬ ঘণ্টার টানা হ্যাকথন আয়োজনের পর ২০ অক্টোবর সন্ধ্যায় পুরস্কার দেওয়া হবে। সে সময় প্রধান অতিথি থাকবেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার।