TechJano

চিপের চক্র

আফ্রিকার এক বুনো জঙ্গলের কথা ভাবুন তো! সব সময় শিকারের জন্য ওঁত পেতে আছে শিকারি।সুযোগ পেলেই ঝাঁপিয়ে পড়বে। খাদক যেমন শিকার করছে তেমনি তাকেও কারও খাদ্য হয়ে যেতে হচ্ছে। বর্তমান প্রযুক্তি বিশ্বে চিপসেট ব্যবসার সঙ্গে যেন আদিম আফ্রিকার তৃণভূমির সঙ্গে কিছুটা মিল পাওয়া যায়। এ দুই এলাকাতেই বড় বড় ক্ষুধার্ত শিকারীর বিচরণ। শিকার ধরার খেলায় মেতে রয়েছে তারা। এ বছরের নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহের কথা। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সেমিকন্ডাক্টর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ব্রডকম তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী চিপ নির্মাতা কোয়ালকমকে ১০ হাজার ৩০০ কোটি মার্কিন ডলারের বিনিময়ে অধিগ্রহণ করতে চেয়েছিল। তবে নাটকীয়ভাবেই ব্রডকমের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে কোয়ালকম। প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে কোয়ালকমের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘দুঃখিত, আমরা আপনাদের ধারণার চেয়েও বেশি মূল্যবান।’ তবে এ চুক্তি সম্পন্ন হলে এটাই হতো প্রযুক্তি ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে দামি অধিগ্রহণ।

চিপসেটের রাজ্যে কোয়ালকম ও ব্রডকম বর্তমানে একে অন্যের তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বী। দুই প্রতিষ্ঠানই অ্যাপলকে তাদের প্রধান গ্রাহক হিসেবে মনে করে। তবে পেটেন্ট নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছে অ্যাপল ও কোয়ালকমের মধ্যে। অ্যাপলের ভবিষ্যৎ আইফোনগুলোতে কোয়ালকমের কোনো চিপসেট না থাকারও গুঞ্জন রয়েছে। আর সে সুযোগ নাকি ব্রডকম হাতছাড়া করছে না। অ্যাপলের সঙ্গে তাদের সখ্য গড়ে উঠছে বলে ধারণা অনেকের। তবে ব্রডকমের কোয়ালকমকে অধিগ্রহণ করার পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে অ্যাপলের সঙ্গে কোয়ালকমের দ্বন্দ্ব মিটে যেত বলেও প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের ধারণা।

কোয়ালকম কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, অধিগ্রহণ প্রস্তাবের মাধ্যমে ব্রডকম তাদের অবমূল্যায়ন করেছে। এ ছাড়া অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে আরও জটিলতা বাড়তে পারে, এমন ধারণায় ব্রডকমের প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি। এদিকে প্রত্যাখ্যাত হয়ে ব্রডকম জানায়, অধিগ্রহণ বিষয়ে আলোচনার জন্য কোয়ালকমের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সঙ্গে কথা বলার প্রস্তাব করেছিল তারা। তবে কোয়ালকম প্রথমে ইতিবাচক সাড়া দিলেও পরে প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়।

আদতে আফ্রিকান সমভূমির মতোই সেমিকন্ডাক্টর শিল্পটি যেন জটিল এক খাদ্যচক্র মেনে চলছে। বিভিন্ন প্রজাতির চিপনির্মাতা প্রতিষ্ঠান যেন পরস্পরকে শিকারের লক্ষ্য বানাচ্ছে। ব্রডকম যেমন কোয়ালকমকে শিকার করতে চাইছে তেমনি কোয়ালকমও কিন্তু বসে নেই। তারা চাইছে নেদারল্যান্ডসের চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনএক্সপিকে অধিগ্রহণ করতে (আর এভাবে নিজের দাম আরো বাড়িয়ে ফেলতে)। ৪ হাজার ৭০০ কোটি মার্কিন ডলারে এনএক্সপিকে অধিগ্রহণ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। এনএক্সপিও কম যায় না। অটোমোবাইল ও অন্যান্য যন্ত্রের জন্য চিপ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান এনএক্সপি ২০১৫ সালে ফ্রিস্কেল নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে অধিগ্রহণ করে তাদের সঙ্গে একীভূত হয়ে গেছে। সবাই সুযোগের অপেক্ষায়। শিকার পেলেই ঝাঁপিয়ে পড়তে প্রস্তুত।

প্রতিদ্বন্দ্বী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে অধিগ্রহণ করে ব্রডকম বর্তমানে পঞ্চম বৃহত্তম সেমিকন্ডাক্টর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত। ২০১৩ সালের পর থেকে র্পাঁচটি বড় প্রতিষ্ঠানকে অধিগ্রহণ করেছে ব্রডকম। বর্তমানে ব্রোকেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে ৫৯০ কোটি মার্কিন ডলারে কেনার জন্য অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে ব্রডকমের সবচেয়ে বড় লক্ষ্য ছিল কোয়ালকম। কারণ, কোয়ালকমকে অধিগ্রহণ করতে পারলেই বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম চিপ নির্মাতা হিসেবে উঠে আসত তারা। তখন তাদের সামনে থাকতো কেবল ইনটেল আর স্যামসাং ইলেকট্রনিকস।

বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, মেমরি চিপ ও মাইক্রোপ্রসেসর নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে একীভূত হওয়ার বিষয়টি বেড়ে গেছে। কারণ, এটি দ্রুত বর্ধনশীল শিল্প খাত। বিভিন্ন দিকে এর শাখা বাড়ছে। এর ব্যাপ্তি বাড়াতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২০০৬ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত অর্থাৎ, এক দশকে ৫৫ হাজার ৬০০ কোটি মার্কিন ডলারের চুক্তি হয়েছে। তবে আগের চেয়ে পিসি, ট্যাব ও স্মার্টফোনের প্রবৃদ্ধি কমে গেছে। ২০১৬ সালে বিশ্বে চিপ বিক্রি ৩৪ হাজার ৪০০ কোটি মার্কিন ডলারে পৌছেছে। এটাই প্রকৃত দৃশ্য।

তবে এসবের বাইরের প্রেক্ষাপট ওই বুনো দুনিয়ার মতোই। এর মধ্যে ঝানু শিকারি হিসেবে মনে করা হয় ব্রডকমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হক ট্যানকে। নতুন শিকারের আশায় ওঁত পেতে আছেন তিনি। ২০১৫ সালে তিন হাজার ৭০০ মার্কিন ডলারে অ্যাভাগো নামের একটি প্রতিষ্ঠান অধিগ্রহণ করেন তিনি। এরপর তার নাম পরিবর্তন করে ব্রডকম করেছেন। দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে সখ্যতা রেখে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতির পক্ষে কথা বলেছেন তিনি। ব্রডকমের আইনি কার্যালয়গুলো সিঙ্গাপুর থেকে সরিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এতে মার্কিন নীতিনির্ধারকদের কাছ থেকে ব্রোকেডকে অধিগ্রহণের অনুমতিতে সুবিধা হবে তাঁর।

একটি বিষয় লক্ষ্যণীয়, অন্যান্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের মতো প্রচারের আলোতে আসেননি হক ট্যান। তাঁর প্রতিষ্ঠানকেও খুব উঁচুদরের বলে প্রচার করেননি। সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের বাইরে তাদের নাম খুব একটা শোনা যায় না। তবে তাদের ব্যবসা বাড়ানোর নির্দিষ্ট কিছু পদ্ধতি দেখার মতো। যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি বিনিয়োগ (প্রাইভেট-ইকুয়িটি) প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে ভালো যোগাযোগ রয়েছে ট্যানের। এমন একটি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে সিলভার লেক। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কেনার ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করে প্রতিষ্ঠানটি। ব্রডকমেও তাদের শেয়ার আছে। ব্রোকেডকে কিনতে সিলভার লেক ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ব্যাংক এক্ষেত্রে বিনিয়োগ করছে। অর্থাৎ, ট্যান বিভিন্ন কোম্পানি অধিগ্রহণের সময় যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে সঙ্গে রাখেন। যা তার ব্যবসাকে সহজ করে দেয়।

মালয়েশিয়ান বংশোদ্ভূত হক ট্যান বলেন, ‘অধিকাংশ সেমিকন্ডাক্টর প্রতিষ্ঠানের পরিচালনায় ইলেকট্রিক্যাল প্রকৌশলীদের দেখা যায়। অনেকে মনে করেন তাঁদের সমস্যাগুলো প্রকৌশলীরা ভালো সমাধান দিতে পারবেন।’ কিন্তু তাঁর দর্শন ভিন্ন। তিনি ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি ও হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। তাঁর প্রতিষ্ঠানটিকে অনেকটাই প্রাইভেট-ইকুইয়টি প্রতিষ্ঠানের মতো করে চালান তিনি। মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বার্নস্টিন রিসার্চের গবেষক স্ট্যাসি র্যা সগন বলেন, ‘ব্রডকমকে তিনি যেন চাপাতি (ম্যাসাটি) হাতে পরিচালনা করেন।’

সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান লিনলে গ্রুপের লিনলে গুইন্যাপ বলেন, ‘ব্রডকমে পুরো ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের সরিয়ে দিয়েছেন ট্যান। এর পরিবর্তে প্রতিষ্ঠানটির ২০টি ব্যবসা ইউনিট সরাসরি তাঁর কাছে প্রতিবেদন দিতে পারে। অর্থাৎ, ব্যবস্থাপনার কোনো লোক মাঝখানে রাখেননি তিনি।

বাজার বিশ্লেষেকরা মনে করেন, সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে সফলতা বিনিয়োগের ওপর অনেকটাই নির্ভর করে। তাই কোয়ালকমকে কিনে আধুনিক প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী ছিল ব্রডকম। এটা করতে পারলে ব্রডকমের জন্য আরও সফল হওয়ার সুযোগ ছিল। বিশেষ করে ৫জি প্রযুক্তিতে। কারণ ৫জি প্রযুক্তিতে ব্রডকম খুব বেশি এগিয়ে নেই। আবার কোয়ালকম যদি এনএক্সপিকে অধিগ্রহণ করতে পারে তবে ব্রডকমের জন্য তা সোনায় সোহাগা হওয়ার সুযোগ ছিল। অর্থাৎ, কোয়ালকম অধিগ্রহণ করতে পারলেই সঙ্গে চলে আসতো এনএক্সপি। তখন স্মার্টফোনের চিপসেটের পাশাপাশি গাড়ির বাজারেও এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল ব্রডকমের।

আসলে কোয়ালকমকে কেনার টোপ দেওয়ার সুযোগটি এসেছে কোয়ালকম কর্তৃপক্ষের আইনি ঝামেলায় পড়ার পর থেকেই। বিভিন্ন দেশে কোয়ালকম যেভাবে মামলা-জরিমানায় জড়াচ্ছে তা দেখে ব্রডকম টুক করে টোপ দিয়ে বসেছে। সাধারণত কোয়ালকমের সিংহভাগ আয় আসে প্যাটেন্টের লাইসেন্স বা অনুমোদন থেকে। তবে এ বছরের জানুয়ারি মাসে মার্কিন ভোক্তা নজরদারি প্রতিষ্ঠান ফেডারেল ট্রেড কমিশন কোয়ালকমের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে স্মার্টফোনের চিপসেটের একক আধিপত্য খাটিয়ে বেশি লাইসেন্স ফি আদায় করার অভিযোগ করা হয়েছে। চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ানেও কোয়ালকমকে জরিমানা করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। লাইসেন্স নীতিমালা নিয়ে কোয়ালকম অ্যাপলের সঙ্গে মামলায় জড়িয়ে পড়েছে। সব মিলিয়ে মোক্ষম সুযোগ বুঝে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল ব্রডকম।

ব্রডকমের প্রধান নির্বাহী হক ট্যান মনে করছেন, কোয়ালকম ব্রডকমের অধীনে এলে অ্যাপলের সঙ্গে তাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠবে। অবশ্য বর্তমানে কানেকটিভিটি চিপ, ওয়াই-ফাই ও রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি চিপ তৈরিতে ব্রডকম ও কোয়ালকমের প্রতিযোগিতা রয়েছে। দুটি প্রতিষ্ঠান একসঙ্গে হতে পারলে ওয়াই-ফাই চিপের ক্ষেত্রে বাজারে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ তারা দখল করতে পারতো। রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি চিপের ক্ষেত্রেও তাদের দখলে বাজারের ২৭ শতাংশ থাকতো। অবশ্য বাজার বিশ্লেষক গুইন্যাপ বলছেন, যেসব বাজারে ব৶ডকমের প্রাধান্য রয়েছে সেখানে ডেটাসেন্টারে ব্যবহৃত ইথারনেট সুইচের দাম বাড়িয়েছ প্রতিষ্ঠানটি। ফলে গ্রাহক তাদের ওপর নাখোশ।

সবশেষ খবর হচ্ছে—কোয়ালকমের বোর্ড ব্রডকমের অফার সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে। বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, এ চুক্তি কেবল কোয়ালকম আর ব্রডকমের মধ্যেকার চুক্তি ছিল না। এটি আসলে ছিল চারপক্ষীয় চুক্তি। এ চুক্তি হওয়ার বেশ কিছু ঝুঁকিও ছিল। এতগুলো বিভাগ ও ব্যবসাকে একজায়গার করা কঠিন ছিল। দ্বিতীয় ঝুঁকিটি ছিল অনুমোদন। কারণ ইউরোপিয়ান কমিশন বর্তমানে এনএক্সপিকে কেনার বিষয়টি তদন্ত করছে। এ ছাড়া অন্যান্য দেশে নীতিনির্ধারকদের কাছ থেকে অনুমোদন পাওয়াটা কঠিন ছিল।

কয়েকজন বিশ্লেষক অবশ্য ব্রডকমের এ চুক্তিকে ভবিষ্যতের দ্রুত-বর্ধনশীল এলাকাগুলোতে ব্রডকমের ঢোকার প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছেন। যেমন কানেকটেড ডিভাইস বা ইন্টারনেট অব থিংস, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রভৃতি। এসব ক্ষেত্রগুলোতে আরেক চিপনির্মাতা এনভিডিয়ার প্রাধান্য বেশি। কোয়ালকমকে ধরতে পারলে স্মার্টফোনের বাজারে আধিপত্য বাড়াতে পারতো ব্রডকম। অন্যান্য ক্ষেত্রেও এগিয়ে যেতে পারতো। ট্যান বিষয়টিকে ভালো সুযোগ হিসেবে দেখছিলেন। তিনি বলেন, ‘ইন্ড্রাস্ট্রি একীভূত করার সাফল্যের ক্ষেত্রে লক্ষ্য বা ফোকাস সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যেসব বিষয়ে ভালো করছি সে বিষয়গুলোতে উন্নত উদ্ভাবন যুক্ত করার চেষ্টা আমাদের।’ প্রকৃতপক্ষে ট্যান চাইছিলেন বিশাল একটি কোম্পানির অধীনে চিপের বাজারের নতুন বিভাগগুলোকে নিজেদের অধীনে আনতে। কিন্তু কোয়ালকম প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে তার আশা ভঙ্গ করেছে। তাঁর পরবর্তী শিকার কোনটি হবে? পরবর্তী শিকারের পরিকল্পনা সম্পর্কে আগেভাগে কিছু প্রকাশ করা ঠিক হবে না, এ কথাটি দক্ষ শিকারি মাত্রই মানেন।

Exit mobile version