অ্যাপার্টমেন্টে আলো জ্বলছে। কিংবা আধো আলো আধো অন্ধকার। পর্দার ওপর ভেসে রয়েছে ছায়া। ওই ছায়ার নড়াচড়া দেখলেই বোঝা যায় দশাসই কোনো ব্যক্তি বক্সিং প্র্যাকটিস করছেন। ওখানে যে যায় চুরি বা ডাকাতি করতে? যে বাড়ির বাইরে থেকে এমন দৃশ্য বোঝা যাবে, সেখানে ঢোকার আগে যেকোনো ধরনের অপরাধী দ্বিতীয়বার ভেবে নেবেন। অপরাধ করতে গিয়ে নিজের পৈতৃক প্রাণটা কে খোয়াতে চায়!
কিন্তু এটা সত্য ঘটনা নয়। আসলে এটা একটা ছবি। প্রজেক্টরের মাধ্যমে তৈরি করা ছায়া। জাপানের এক কোম্পানি এটি তৈরি করেছে। বিশেষ করে যে নারীরা একা থাকেন, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করতে চায় তারা। যে নারীর ঘরে বলিষ্ঠ পুরুষ বক্সিং চর্চা করেন তিনি নিশ্চয়ই নিরাপদ থাকবেন।
এখনো প্রযুক্তিটি পুরোপুরি বাজারে দেওয়া হয়নি। ‘ম্যান অন দ্য কার্টেইন’ আসলে তৈরি হয় স্মার্টফোনে ছোট একটি প্রজেক্টরের মাধ্যমে। প্রজেক্টরের মাধ্যমে ফুটে ওঠে এই পুরুষের ছবি। তাকে বিভিন্ন শক্তিশালী কাজ করতে দেখা যায়। এ ছবিটি ফুটিয়ে তোলা হয় জানালার পর্দাল। ছায়া আকারে বাইরে থেকে দেখা যায় তা।
তাই বলে যে কেবলমাত্র বক্সিং দৃশ্য দেখা যাবে তা নয়। এমন ডজন ডজন দৃশ্যায়ন ফুটিয়ে তোলার ব্যবস্থা আছে। একেকজন একেকটা পছন্দ করে নিতে পারবেন। কেউ কারাতে চর্চা করবেন, কেউ বা বেজবল ব্যাট দিয়ে প্র্যাকটিস করতে থাকবেন। শুধু তাই নয়, ব্যায়াম শেষে তিনি বিশ্রাম নেবেন। কিংবা পোশাক পরতে থাকবেন, কিংবা গিটার নিয়ে এটা সেটা করবেন। আসলে ওই ফ্ল্যাটে একজন সুঠামদেহী পুরুষ কিছু না কিছু করছেন এই দৃশ্যটা সচল থাকবে।
বাসভবনের নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করে লিওপ্যারেস ২১ কর্পোরেশন। তারাই এ প্রযুক্তি বানিয়েছে বলে জানান কোম্পানির বিজ্ঞাপন বিভাগের ব্যবস্থাপক কেউচি নাকামুরা। এখন মানুষের মতামত এবং চাহিদু বুঝে তা বাজারে ছাড়া হবে। তবে অনেকেই এর মাধ্যমে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কতটা শক্তিশালী হবে তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
সূত্র : রয়টার্স