দেশ

জাতীয় পর্যায়ে শিশুদের প্রোগামিং প্রতিযোগিতা করবে সরকার, সব শিশুকে শিখতে হবে প্রোগ্রামিং

By Baadshah

May 20, 2018

আমাদের দেশের শিশুদের হতে হবে সুপার ফাস্ট। ছোট থেকেই শিখতে হবে প্রোগ্রামিং। তা না হলে বড় বড় হয়ে কি করবে? দেশজুড়ে শিগগিরই শিশুদের প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা শুরু হবে। এ কথা জানান ডাক-টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। রোববার আইসিটি টাওয়ারে আয়োজিত ‘রাশিয়া-বাংলাদেশ আইটি সামিট-২০১৮’ অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানানা।

মন্ত্রী বলেন, এ বছর আমরা প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক স্তরে প্রোগ্রামিংয়ের সঙ্গে যুক্ত করছি। অনেকের পক্ষেই স্বপ্ন দেখা শুরু হয়েছে। জাতীয় পর্যায়ে প্রোগামিং প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে যাচ্ছি। কদিন আগে জাপান গিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম সবাই বুঝি এগিয়ে গেছে শিশুদের প্রোগ্রামিংয়ের ক্ষেত্রে। কিন্তু সেখানেও এখন চিন্তাভাবনা চলছে। ২০২০ সাল নাগাদ তারা প্রাথমিক স্তরে প্রোগ্রামিং নিয়ে যেতে চায়। আমরা জাপানের আগেই সেরে ফেলতে পারি। এর আগে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) এক অনুষ্ঠানে মোস্তাফা জব্বার বলেন, শিশুদের যুগোপযোগী শিক্ষা দরকার। তাদের শেখাতে হবে কোডিং। তা না হলে পিছিয়ে পড়বে। যে কোনো দেশের ভবিষ্যৎ দেশটির শিশুরা। তারাই প্রযুক্তির মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। তাই শিগগিরই শিশুদের প্রোগ্রামিং শেখাতে প্রথম শ্রেণীর পাঠ্যবইয়ে প্রোগ্রামিং ভাষা যুক্ত করা হবে । প্রথম শ্রেণী থেকেই পাঠ্যবইয়ে প্রোগ্রামিং ভাষা যুক্ত করতে সরকার ইতোমধ্যে কাজও শুরু করেছে বলে জানান তিনি। জব্বার বলেন, শিশুরা বড়দের তুলনায় দ্রুত প্রযুক্তির যে কোন বিষয় শিখতে পারে। তাই শিশুদের প্রযুক্তি সম্পর্কে আগেই জানানো উচিত। এতে উন্নত বিশ্বের শিশুদের মতই আমাদের দেশের শিশুরা প্রযুক্তির জ্ঞান পাবে। তারাই আগামীতে দেশকে প্রযুক্তি মাধ্যমে এগিয়ে নিয়ে যাবে। তাই তারা যেন প্রথম শ্রেণী থেকে প্রোগ্রামিং শিখতে পারে সেই লক্ষ্য কাজ করছে সরকার। শিগগিরই প্রথম শ্রেণীর পাঠ্যবইয়ে প্রোগ্রামিং ভাষা যুক্ত করা হবে। বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সচিব)  হোসনে আরা বেগম এনডিসি স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশের আইটি সেক্টরে বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনার চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ দেশের ২৮টি স্থানে হাই-টেক/সফটওয়্যার পার্ক স্থাপন করছে, এরমধ্যে ঢাকায় জনতা টাওয়ার সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক এবং যশোরে শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে ইতোমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। দেশের আইটি সেক্টরে দক্ষ জনবল সৃষ্টিতে রাশিয়া ও বাংলাদেশের একত্রে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে বলে তিনি মনে করেন। আইটি সামিটে প্রধান অতিথি ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের অবদানের কথা স্মরণ করেন। বাংলাদেশের সাথে রাশিয়ার ঐতিহাসিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশের উন্নয়নে রাশিয়ার সাথে যুগপৎ প্রয়াসের আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশের নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টে (রূপপুর,পাবনায়) একসাথে কাজ করার কথা উল্লেখ করে দুই দেশের আস্থার সম্পর্ক আরো দৃঢ় হয়েছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।