প্রযুক্তি খবর

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বেসিস-এর দোয়া ও আলোচনা সভা

By Baadshah

August 16, 2020

স্বাধীনতার স্থপতি, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদত বার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে অনলাইন ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে দোয়া ও আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ অ্যাসেসিয়েশন অব সফটওয়্যার এন্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)। আয়োজিত অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর জীবনী নিয়ে আলোচনা করা হয়।

অনুষ্ঠানে সম্মানিত প্রধান অতিথি এবং আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ডঃ তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বীর বিক্রম এবং সম্মানিত বিশেষ অতিথি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনাইদ আহমেদ পলক, এমপি। সম্মানিত আলোচক হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন মাননীয় সংসদ সদস্য, জনাব নাহিম রাজ্জাক, জনাব রাজী মোহাম্মদ ফখরুল ও জনাব নাহিদ ইজাহার খান এবং একাত্তর টেলিভিশন এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক জনাব মোজাম্মেল বাবু।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ডঃ তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বীর বিক্রম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর অবিসংবাদিত নেতৃত্বে আজকের এই বাংলাদেশ। তিনি স্বপ্ন দেখেছিলেন বলেই আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। তিনি সাধারণ মানুষের সাথে অবলীলায় মিশতে পারতেন। তিনি ছিলেন অকুতোভয় নেতা। বেসিস এর এ আয়োজনকে তিনি সাধুবাদ জানান, একইসাথে তিনি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে দেশের বর্তমান ও পরবর্তি প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে সঠিক ধারণা প্রদানের উদ্যোগ নিতে বেসিসকে আহ্বান জানান। একইসাথে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস ডিজিটাল মাধ্যমে সংরক্ষণের জন্যও সংশ্লিষ্ট সকল মহলের প্রতি আহ্বান জানান।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, এমপি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু একজন সফল সরকার প্রধান ছিলেন। তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলার প্রধান লক্ষ্যই ছিল মানুষের ৫টি মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। আজকের এই মহামারি ও দুর্যোগ মোকাবেলায় বঙ্গবন্ধুই আমার প্রেরণার উৎস। বঙ্গবন্ধুর জীবনদর্শন ও রাজনৈতিক দর্শনকে অনুসরণ করে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার দেশের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য কাজ করে যাচ্ছে। নতুন প্রজন্মের মাধ্যমে সেই অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জিত হবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।

অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ও আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য জনাব নাহিম রাজ্জাক এমপি, জনাব রাজী মোহাম্মদ ফখরুল এমপি, জনাব নাহিদ ইজাহার খান এমপি এবং একাত্তর টেলিভিশন এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক জনাব মোজাম্মেল বাবু।

আলোচকগণ তাঁদের আলোচনায় উল্লেখ করেন, কেবল শোকদিবস বা আলোচনা সভা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করলেই হবে না বরং তাঁর আদর্শকে হৃদয়ে ধারণ করতে হবে। তিনি অত্যন্ত প্রগতিশীল মানসিকতার মানুষ ছিলেন। দেশকে একটি অগ্রসর ও স্বনির্ভর করে গড়ে তোলার যে স্বপ্ন তিনি দেখতেন, তা সফল ও সার্থক হবে যদি সত্যিকার অর্থে আমরা আমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সাথে হত্যা করা হয় বাঙালী জাতির স্বপ্নকে। বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারের কাছে আমরা অনেক ঋণী। বঙ্গবন্ধুর বাকী খুনিদের দেশে এনে বিচার করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর নাম এখন মহাকাশে, তার নাম আর মুছে ফেলা যাবে না।

বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে আলোচনা অনুষ্ঠানের সূচনা করেন এবং তিনি বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের উপর একটি সংক্ষিপ্ত জীবনালেখ্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ১৯৭৪ সালেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ যোগ দেয় আন্তর্জাতিক টেলিকেমিউনিকেশন ইউনিয়নে (আইটিইউ)। তারই সিদ্ধান্তে বেতবুনিয়ায় স্থাপন করা হয় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র। বর্তমানে বঙ্গবন্ধুর কন্যা তার অসমাপ্ত কাজগুলো শেষ করার জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। গড়ছেন স্বপ্নের ডিজিটাল বাংলাদেশ।এ ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সাথে একযোগে কাজ করছে বেসিস। আজীবন মানুষের তরে কাজ করে যাওয়া জাতির জনক-কে আজ আমরা বেসিসের পক্ষ থেকে বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই এবং তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি।

অনুষ্ঠানে বেসিস নির্বাহী পরিষদের সদস্যবৃন্দ, বেসিস সদস্যবৃন্দ এবং গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা সংযুক্ত ছিলেন। সবশেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর পরিবারবর্গের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন বেসিস এর প্রাক্তন মহাসিচিব জনাব নাহিদ আহমদ।