তথ্যপ্রযুক্তিতে দেশ অগ্রসরমান। বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিসহ দেশে অনেকগুলো হাইটেক পার্ক স্থাপিত হয়েছে। বহুজাতিক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশে বিনিয়োগের পরিমাণ বৃদ্ধি করেছে। উৎপাদনশীল প্রতিষ্ঠানগুলোও তাদের কারখানা দেশে স্থাপন করছে। ইন্টারনেট অব থিংকস (আইওটি) এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে (এআই) সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হচ্ছে। কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত উজ্জ্বল।
২৯ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগে ৫১তম নবীন বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) এর সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত সরকার।
তিনি আরো বলেন, আগের প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে সামনে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ জাভা, পিএইচপি, সুইফট, পাইথনে শিক্ষার্থীদের পারদর্শী হতে হবে। একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি হাতে কলমে কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। শুধু সার্টিফিকেট অর্জন করাই ছাত্র-ছাত্রীদের জীবনের উদ্দেশ্য না করে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়টিকে আত্মস্থ করার ইচ্ছে শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। তোমাদের জন্য কর্মক্ষেত্রে হাজার প্রতিষ্ঠান অপেক্ষায় রয়েছে। যোগ্যতা অর্জন করো, চাকরি তোমাদের খুঁজতে হবে না। চাকরি তোমাদের খুঁজবে।
২০০২ থেকে সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে সিএসই বিভাগের যাত্রা শুরু হয় নবীন বরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের অধ্যক্ষ নুর নাহার ইয়েসমিন। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা শেখার পাশাপাশি নৈতিকতা অনুশীলন করতে হবে। সবচেয়ে বড় আদালত মানুষের বিবেক। নিজের বিবেককে স্বচ্ছ রাখলে মানুষ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা সহজ। মানসিকভাবে যাদের যৌবন থাকে, তারাই জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। দেশের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, ইতিহাস জানাকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করতে হবে। দেশীয় সংস্কৃতি উন্নত বিশ্বের মধ্যে নিজেদের আলাদা স্বকীয়তা দিবে। সুতরাং তোমরা নিয়মানুবর্তিতা মেনে জীবনকে সাজিয়ে তোল। সফলতা তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছে।
নবীণ বরণে বোর্ড অব ট্রাস্টির প্রতিনিধিত্ব করেন এম. কামালুদ্দিন চৌধুরী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস, নিয়মকানুন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সম্পর্কে বিষদভাবে বর্ণনা করেন। প্রাতিষ্ঠানিক ফলাফলে উত্তম ফলাফল অর্জন করা শিক্ষকদের সিএসই বিভাগের জন্য বেছে নেয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীরা মনোযোগী হলেই প্রতিষ্ঠান এবং তাদের সফলতা নিশ্চিত।
সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এএনএম মেশকাত উদ্দিন বলেন, শিক্ষার্থীদের জন্য আমরা আমাদের কারিকুলাম সবচেয়ে আধুনিক করে সাজিয়েছি। সব ক্যাম্পাসে ওয়াই ফাই, ডিজিটাল লাইব্রেরি, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সিকিউরিটি সিস্টেমকে আমরা জোড়দার করেছি। শিক্ষার্থীরা মাদক থেকে দুরে থাকবে। জঙ্গী কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হবে না। কোন শিক্ষার্থী উপযুক্ত কারণ না দেখিয়ে যদি ১০ দিন অনুপস্থিত থাকে, তার বিরুদ্ধে আমরা সরকারের নির্দেশিত পথে ব্যবস্থা গ্রহণ করি। তোমরা এখন থেকে সাউথইস্ট পরিবারের সদস্য। সারাজীবন এবং সবসময় এই বিশ্ববিদ্যালয় তোমাদের সেরাটা দিতেই সচেষ্ট থাকবে।
অনুষ্ঠানে বোর্ড অব ট্রাস্টির উপদেষ্টা প্রফেসর ড. এএসএম মফিজুল ইসলাম, কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের বিভাগীয় প্রধান শাহরিয়ার মঞ্জুরসহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ এবং শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।