গ্রামীণফোন অ্যাক্সিলেরেটরের পঞ্চম ব্যাচের যাত্রা শুরু হলো। জিপি হাউজে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রবিবার গ্রামীণফোন অ্যাক্সেলেরেটর (জিপিএ)-এর ৫ ব্যাচকে চার মাসব্যাপী কর্মসূচীতে স্বাগত জানানো হয়েছে। ২০১৫ তে চালু হওয়া এই কর্মসূচীর মাধ্যমে এই ব্যাচে আগে আরও ২১টি স্টার্টআপকে সহায়তা দেয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোন সিইও মাইকেল ফোলি বলেন, “বাংলাদেশে অনেক তরুণ প্রতিভা আছে যাদের সাফল্য লাভের জন্য সামান্য সহযোগিতা দরকার।জিপি একসেলেরেটর হচ্ছে সেই সহযোগিতা।”
পঞ্চম ব্যাচের জন্য জিপি অ্যাক্সিলেরেটর দুই সপ্তাহে এক হাজারের বেশি আবেদন পেয়েছিল। কঠিন বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ৩৫টি প্রতিষ্ঠানকে দুইদিনের বুট ক্যাম্পে আমন্ত্রণ জানানো হয় এবং এদের মধ্যে থেকে ১৫টি স্টার্টআপকে নির্বাচন করা হয় আরো আরো যাচাই, মুখোমুখি সাক্ষাৎকার এবং প্রেজেন্টেশনের জন্য। তীব্র প্রতিযোগিতার পর ৫টি স্টার্টআপকে জিপি অ্যাক্সিলেরেটর পঞ্চম ব্যাচের জন্য নির্বাচন করা হয়।এবার জিপি একসেলেরেটরে অনলাইন শিক্ষা, মাইক্রো জব প্ল্যাটফর্ম, ভিএএএস অটোমেশন, পার্কিং সুবিধা নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠানগুলো অংশ নিচ্ছে।
নির্বাচিত প্রতিটি স্টার্টআপকে ৮% ইকুইটির বিপরীতে ১৫ হাজার ডলার সিড ফান্ড হিসেবে দেওয়া হয়। এছাড়াও তারা ১১ হাজার ২০০ মার্কিন ডলার মূল্যের অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিস (এডব্লিউএস) ক্রেডিট এবং চার মাস জিপি হাউজে কাজ করার জন্য জায়গা দেওয়া হয়। চার মাসের এ্ই প্রোগ্রামে অংশগ্রহণকারীরা স্থানীয় ও বিদেশি মেন্টর, খাত বিশেষজ্ঞ এবং পেশাজীবীদের কাছ থেকে টার্ম শিট, মূল্যায়ন, আর্থিক মডেলিং ও ব্র্যান্ডিং এর মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো শিখতে পারে। একই সাথে এই প্ল্যাটফর্ম সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের পরিচয় করিয়ে দিতে পারে। প্রতিটি কোম্পানিকে যে সহায়তা দেওয়া হয় তার বাজারমূল্য প্রায় ৬৫ লাখ টাকা।
যে পাঁচটি প্রতিষ্ঠান জিপি অ্যাক্সিলেরেটর ৫ম ব্যাচের জন্য নির্বাচিত হয়েছে –
সার্চ ইংলিশ : এটি একটি ইরেজি ভাষা শিক্ষা প্ল্যাটফর্ম, যা ১০ লক্ষ সদস্যকে ফেসবুক, ওয়েবসাইট এবং ওয়েবিনার এর মাধ্যমে তাদের ইংরেজি ভীতি কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করছে।
সিওয়ার্ক মাইক্রোজব লিমিটেড : এটি ক্রাউড সোর্সড মাইক্রো জব প্ল্যাটফর্ম, এখানে নিয়োগকারীগণ, কন্ট্রিবিউটরদের জন্য কাজ দিয়ে থাকে। বর্তমানে সিওয়ার্ক গুগুল প্লে তে বাংলাদেশে সপ্তম স্থানে আছে এবং এর মাসিক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৫০০০।
অনুসার্ভার : এটি একটি অ্যাপ-ক্লাউড হাইব্রিড যা অ্যানড্রয়েড মোবাইলফোনকে ক্ষুদ্র সার্ভারে পরিণত করে বিভিন্ন এসএমএস ও কলভিত্তিক সেবা প্রদানে সহায়তা করে। এই সেবা বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে সামান্য খরচে তাদের গ্রাহকসেবা ও বিপণন সেবা প্রদান করতে দেয়।
ডিজিটাল মানুষ : এটি সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের জন্য লিড জেনারেটর ও মানুষকে সেবা প্রদানকারীর সাথে যুক্ত করে। বর্তমানে তারা বাংলাদেশের বৃহত্তম লিড জেনারেশন সেবা প্রদানকারী। তারা দেশের ৫টি শহরের ১৭০টি এলাকায় এবং ভারতের একটি শহরে কাজ করছে।
পার্কিংকই : এটি গাড়ী চালকদের অব্যবহৃত পার্কিং খুঁজে পেতে সাহায্য করে এবং এর মাধ্যশে বাড়ীর মাধিকরা তাদের অব্যভহৃত পার্কিং ভাড়া দিয়ে অর্থ আয় করতে পারে।
জিপি অ্যাক্সিলেরেটর একটি উদ্ভাবনী প্ল্যাটফর্ম যেখানে, প্রতিটি ব্যাচের স্টার্টআপদের চার মাস আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় বিশেষজ্ঞ দ্বারা কারিকুলামভিত্তিক মেন্টশিপ দেওয়া হয়। ২০১৫ সাল থেকে চালু হওয়া এই কর্মসূচির মাধ্যমে আরো ২১টি স্টার্টআপকে সহায়তা দেওয়া হয়েছে।