টেলিকম

জিপি-রবিতে প্রশাসক বসবে

By Baadshah

October 19, 2019

দুই শীর্ষ মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন ও রবি আজিয়াটার কাছ থেকে পাওনা আদায়ে প্রশাসক বসানোর সিদ্ধান্তে সায় দিয়েছে সরকার। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) প্রশাসক বসানোর অনুমোদন দিয়েছে। এর মাধ্যমে দুই অপারেটরের কাছ থেকে পাওনা আদায়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল যে সমঝোতার উদ্যোগ নিয়েছিলেন, তা কার্যত ব্যর্থ হলো। এদিকে গ্রামীণফোনের এক আবেদনের ভিত্তিতে হাইকোর্ট পাওনা আদায়–সংক্রান্ত পদক্ষেপের ওপর দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। অবশ্য রবির ক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত এ ধরনের কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। সরকার গ্রামীণফোন ও রবিতে প্রশাসক বসালে সেটি হবে নজিরবিহীন ঘটনা। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘গ্রামীণফোন নিম্ন আদালতে মামলা করে হেরে গিয়ে উচ্চ আদালতে গিয়েছে। আমরা সেটা জেনেছি। আদালতেই বিষয়টি মোকাবিলা করা হবে। প্রশাসক বসানোর প্রস্তুতি বসে থাকবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা অনুমোদন দিয়েছি, তার মানে এই নয় যে কালকেই প্রশাসক বসবে। এটি আমরা প্রথমবারের মতো করছি। অভিজ্ঞতা নেই। একটু সময় লাগবে।’ বিটিআরসির দাবি অনুযায়ী, রাজস্বের ভাগাভাগি, কর ও অন্যান্য খাতে গ্রামীণফোন ও রবির কাছে প্রতিষ্ঠানটির পাওনা ১৩ হাজার ৪৪৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে গ্রামীণফোনের কাছে ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা এবং রবির কাছে ৮৬৭ কোটি টাকা। এ পাওনার উৎস গ্রামীণফোনের ওপর ১৯৯৭ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত এবং রবির ওপর ১৯৯৭ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত নিরীক্ষা। অবশ্য গ্রামীণফোন ও রবি সব সময় বলে আসছে, তাদের যুক্তি নিরীক্ষায় বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। বিটিআরসি চিঠি দিয়ে পাওনা না পেয়ে দুই অপারেটরের ব্যান্ডউইডথ সীমিত করা এবং প্যাকেজ ও সরঞ্জামের ছাড়পত্র (এনওসি) দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল। তাতেও কোনো কাজ না হওয়ায় ৫ সেপ্টেম্বর দুই অপারেটরকে লাইসেন্স (টু-জি ও থ্রি-জি) বাতিল কেন করা হবে না, তা জানতে চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়। জবাবের সময় ছিল ৩০ দিন। বিটিআরসি বলছে, তাদের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে ১৮ সেপ্টেম্বর দৃশ্যপটে আসেন অর্থমন্ত্রী। তিনি টেলিযোগাযোগমন্ত্রী ও গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাইকেল ফোলিকে নিয়ে একটি বৈঠক করে বলেন, খুব শিগগির আলোচনার মাধ্যমে এর সুরাহা হবে। এরপর দুই দফা বৈঠক হয়েছে। সর্বশেষ বৈঠক হয় ৩ অক্টোবর।