TechJano

জিমেইলে জায়গা বাড়াবেন যেভাবে

ক্লাউড স্টোরেজ হিসেবে বিনা মূল্যে ১৫ গিগাবাইট পাওয়া যায় গুগলে নিবন্ধন করলে। ই-মেইল সেবা জিমেইল, ক্লাউড স্টোরেজ সেবা গুগল ড্রাইভের মতো গুগলের অন্য সেবাগুলোর বেলায় এই ১৫ গিগাবাইট ব্যবহার করা যায়। তবে দীর্ঘদিন ব্যবহারের পর অনেকের ক্ষেত্রেই এই ১৫ গিগাবাইট পর্যাপ্ত মনে না-ও হতে পারে। এরপর অতিরিক্ত ক্লাউড স্টোরেজের জন্য প্রতি ১০০ গিগাবাইটে মাসিক খরচা করতে হবে প্রায় ১৭০ ডলার। অ্যাপল ও মাইক্রোসফটের ক্লাউড স্টোরেজ কিনতেও প্রায় একই খরচ হয়। তবে ডলার যদি খরচ করতে না চান তো উপায় হলো ক্লাউড স্টোরেজ খালি করা। এখানে তারই উপায় বাতলে দেওয়ার চেষ্টা করা হলো।

ঘরের শত্রু, ই-মেইলের সংযুক্ত ফাইল
জিমেইলে সবচেয়ে বেশি জায়গা দখল করে যে ই-মেইলগুলোতে কোনো ফাইল সংযুক্ত (অ্যাটাচমেন্ট) করা আছে। আবার এ ধরনের ই-মেইলের ফিরতি জবাব দিতেও অনেকে মূল ই-মেইলের সংযুক্ত ফাইলসহ উত্তর দেয়। এতে একই জিনিস দুবার করে জায়গা দখল করে ফেলে। এ জন্য জিমেইলের সার্চ-বার থেকে সব ই-মেইলের মধ্যে ফাইল সংযুক্ত ই-মেইলের খোঁজ করুন। এরপর একই ই-মেইল এবং অপ্রয়োজনীয় সংযুক্তিসহ ই-মেইল মুছে ফেলুন। এ ক্ষেত্রে যাচাই করে দেখুন কোন ই-মেইলটি সংরক্ষণ করা প্রয়োজনীয়।

খেয়াল রাখুন স্প্যাম ও প্রমোশন ফোল্ডারের
বলা হয়, একজন সাধারণ জিমেইল ব্যবহারকারী প্রতি মাসে গড়ে ৭০টি বিজ্ঞাপনধর্মী ই-মেইল পেয়ে থাকে। জিমেইলের ক্লাউড স্টোরেজের একটা বড় অংশই দখল করে নেয় এই বিজ্ঞাপনী ই-মেইলগুলো। জিমেইল এবং অন্যান্য ই-মেইল ইনবক্স অ্যাপগুলো সে ধরনের ই-মেইল ব্যবহারকারীর সামনে আনে না আপনা থেকেই। এরপরেও অনেক বিজ্ঞাপন চলে আসে ইনবক্সে। অনেক ব্যবহারকারী সেগুলো নিয়মিত ফিল্টার করে রাখে। এর পাশাপাশি ফিল্টার করা ই-মেইলগুলো নিয়মিত মুছে ফেলুন। কেননা, সাধারণ ইনবক্সে না এলেও স্প্যাম বা প্রমোশন ফোল্ডারে থেকে যায় এ বিজ্ঞাপনগুলো।

বাতিল করুন সাবস্ক্রিপশন
বিজ্ঞাপন মুছে ফেলে সমস্যার সাময়িক সমাধান হতে পারে। তবে আগাম প্রতিরোধ করা যেতে পারে জিমেইল অ্যাকাউন্টটির বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে সাবস্ক্রিপশন বাতিল করে। সাধারণত কোনো ওয়েবসাইটে জিমেইল ব্যবহার করলে তবেই সেই জিমেইলে বিজ্ঞাপন পাঠানো হয়। প্রতিটি বিজ্ঞাপনধর্মী ই-মেইলের একদম নিচের অংশে ‘unsubscribe’ নামের একটি ওয়েব লিংক থাকে। সেখানে প্রবেশ করলেই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সাবস্ক্রিপশন বাতিল হয়ে যায়। কিছু কিছু ওয়েবসাইটে সেটি আবার নিশ্চিত করার জন্য বলা হয়। এ ছাড়া Unroll.me ঠিকানার ওয়েবসাইটটিতে জিমেইল অ্যাকাউন্ট দিয়ে প্রবেশ করলে জিমেইলটিতে বিজ্ঞাপন পাঠানোর তথ্য রয়েছে এমন সব ওয়েবসাইটের তালিকা দেখাবে। সেখানে থেকেও বিদায় করা যায় বিজ্ঞাপনী ওয়েবসাইট।

ট্র্যাশ খালি যার, সব ভালো তার
জিমেইলে আসা কোনো ই-মেইল মুছে ফেললে সেটি অস্থায়ীভাবে ৩০ দিন থেকে যায় ট্র্যাশ ফোল্ডারে। এমনকি ওপরের উপায়গুলোর মতো যে ই–মেইল মুছে ফেলা হয়েছে, সবই এতক্ষণ জমা পড়েছে জিমেইলের ময়লার ঝুড়িতে। অর্থাৎ ট্র্যাশ ফোল্ডারে। বাড়তি সুবিধা হিসেবে আপনা থেকেই খালি হয়ে যাওয়ার জন্য রেখে দেওয়া যেতে পারে ট্র্যাশ। তবে হঠাৎ জিমেইলের জায়গা খালি করতে শুরুতেই মুছে ফেলা উচিত এই ট্র্যাশ।

Exit mobile version