রাজীব আহমেদ সার্চ ইংলিশ গ্রুপটির প্রতিষ্ঠাতা। ৮ লাখ ১০ হাজারের বেশি সদস্য এখন গ্রুপটিতে। এখানে একেক মানুষ একেক রকম। কেউ কেউ জীবনে হতাশ। কেউ কেউ সফল হবার মন্ত্র খুঁজছেন। একজন উদ্যোক্তা ও পরামর্শদাতা হিসেবে রাজীব আহমেদের খ্যতি আছে। তার পরামর্শ শুনুন ঠকবেন না। রাজীব আহমেদ বলেছেন- ফেইসবুকে আমার ফ্রেন্ডলিস্ট, ফলোয়ার, ই-ক্যাব গ্রুপ এবং সার্চ ইংলিশের গ্রুপের লোকজনের একটা বড় অংশের বয়স ২০-২৫ বছরের মধ্যে। তাদের জন্যই এই পোস্ট। ১। মন দিয়ে লেখাপড়া করার চেষ্টা করুন। পড়ার অভ্যাস করুন- বই, পত্রিকা, ওয়েবসাইট, ফেইসবুক যা ভাল লাগে। এর থেকে বড় শক্তি জীবনে আর কিছু হয় না। ২। ব্যতিক্রমী চিন্তা করতে ভয় পাবেন না। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতার চাকুরি ছেড়ে দিয়ে ২০০২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে সাইবার ক্যাফেতে দিন রাত বসে পরি ইন্টারনেট নিয়ে জানার জন্য। সিদ্ধান্ত নেই এদিকেই কিছু একটা করবো, চাকুরি করবো না। হ্যা, এজন্য অনেক কষ্ট করতে হয়েছে আমাকে কিন্তু আমি খুশি। আর সেই কষ্ট করেছি বলেই আপনার মত অন্তত কয়েক হাজার লোক এখন এই পোস্ট টি পড়ছেন। ৩। যা ভাল লাগে সেদিকে লেগে থাকুন, সময় দিন, চেষ্টা করুন। ই-ক্যাবের জন্য দিন রাত চেষ্টা করেছি বলে আজকে অনেকে আমাকে চেনেন এবং সন্মান করেন। লেগে থাকলে এক সময় না এক সময় সাফল্য আসে। ৪। নিজের কাজে মন দিন। অন্যরা কে কি করলো তা নিয়ে একটুও মাথা ঘামাবেন না। ই-ক্যাব নিয়ে ৩-৪ শত পোস্ট এসেছিল আমার বিরুদ্ধে। কিন্তু আমি তো জানতাম আমি কি করছি, আর যারা নোংরামি করছে তারাও কি ধরনের মানুষ তাও জানতাম। তাই কখনোই কাউকে বুঝাতে যাই নি কিছু। বরং আমার কাজ আমি করে গেছি দিন রাত। ৫। আপনি ভাল কিছু করলে পরিবার, বন্ধু বান্ধব, আত্মীয় স্বজন, প্রতিবেশি, কলিগ তাদের থেকে প্রশংসা পাবেন উৎসাহ পাবেন- দয়া করে এমন স্বপ্ন দেখবেন না। বাস্তবতা হল খুব কম মানুষ ভাল কিছু করার জন্য চেষ্টা করে। তাই তাদের অনেকেই আপনাকে হিংসা করবে এবং মনে প্রানে চাইবে আপনি যাতে সফল না হন। আবার খুব সফল হয়ে গেলে এমন ভাব নেবে যে তারা জানতো আপনি সফল হবেন এবং তাদের মত আপন কেউ নেই। ৬। প্রেম, ক্যারিয়ার, শিক্ষা যেদিকেই ব্যর্থ হন না কেন, জীবন আপনার জন্য অনেক সুযোগ নিয়ে আসবে, বারবার নিয়ে আসবে। কিন্তু সাময়িক কোন ব্যর্থতাতে যদি আপনি থেমে যান তাহলে আর ভাল কিছু করা হবে না জীবনে। বরং চেষ্টা করে যান সারা জীবন। ৭। ২০ থেকে ২৫ বছর বয়সের মধ্যে যে অভ্যাস গুলো করবেন তা বদলানো কঠিন হবে। খুব কম মানুষ এরপর নিজের স্বভাব ও অভ্যাস বদলাতে পারে। তাই এ সময়ে ভাল চিন্তা ও কর্মের দিকে মন দিন। বাধ্য হয়ে মিথ্যা বলা আর বাধ্য হয়ে সত্য বলার মধ্যে পার্থক্য আশা করি বুঝতে পারছেন। এসব কথা লিখছি কারন অনেক তরুণদের সঙ্গে আমার গত আড়াই বছরে কথা হয়েছে। একটু ভাল চিন্তা করলে, চেষ্টা করলে তাদের জীবনটা অন্যরকম হতে পারতো।