টেলিকম

টাওয়ার শেয়ারিং লাইসেন্স পেল দেশের ৪ প্রতিষ্ঠান

By Baadshah

November 03, 2018

দেশে টেলিযোগাযোগ সেবায় চারটি প্রতিষ্ঠানকে মোবাইল ফোন টাওয়ার অবকাঠামো ভাগাভাগি সংক্রান্ত টাওয়ার শেয়ারিং লাইসেন্স দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

১ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার বিটিআরসির প্রধান সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তাদের কাছে এই লাইসেন্স হস্তান্তর করা হয়। লাইসেন্স পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হল- ইডটকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড, সামিট টাওয়ারস লিমিটেড, কীর্তনখোলা টাওয়ার বাংলাদেশ লিমিটেড ও এবি হাইটেক কনসোর্টিয়াম লিমিটেড।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। বিশেষ অতিথি ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার ও বিটিআরসির চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক। ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, অপারেটররা এখন টাওয়ার খাতের বিনিয়োগ নিজেদের সেবার মান বাড়াতে কাজে লাগাতে পারবে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, মোবাইল নেটওয়ার্ক টাওয়ার স্থাপন, রক্ষণাবেক্ষেণ ও অবকাঠামো ব্যবস্থাপনায় বিপুল ব্যয়ের পাশাপাশি টাওয়ারের অনিয়ন্ত্রিত সংখ্যা, ভূমি ও বিদ্যুতের সংকট ছাড়াও পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাবের বিভিন্ন দিক বিবেচনায় মানসম্মত টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানে এ লাইসেন্স দেয়া হচ্ছে।

টাওয়ার শেয়ারিং লাইসেন্স প্রদানের ফলে মোবাইল টাওয়ার লাইসেন্স রোল আউটের ওপর ভিত্তি করে অপারেটরগুলো কোনো নতুন টাওয়ার স্থাপন করতে পারবে না। এ ছাড়া এক অপারেটর আরেক অপারেটরের কাছে আর টাওয়ার ভাড়া দিতে পারবে না। কিন্তু লাইসেন্স পাওয়া টাওয়ার কোম্পানির কাছে তাদের টাওয়ার বিক্রি করতে পারবে।

লাইসেন্স প্রাপ্তির প্রথম বছরে প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেশের সব বিভাগীয় শহরে সেবা সম্প্রসারণ করতে হবে। দ্বিতীয় বছর জেলা শহর, তৃতীয় বছর ৩০ শতাংশ উপজেলা, চতুর্থ বছর ৬০ শতাংশ উপজেলা ও পঞ্চম বছর দেশের সব উপজেলায় টাওয়ার সেবা দিতে হবে। টাওয়ার শেয়ারিং লাইসেন্সের জন্য ২৫ কোটি টাকা দিয়ে এ লাইসেন্স নিতে হবে। বার্ষিক নবায়ন ফি থাকবে ৫ কোটি টাকা।

আর দ্বিতীয় বছর থেকে বিটিআরসির সঙ্গে রাজস্ব ভাগাভাগি হবে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ হারে এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলে জমা দিতে হবে ১ শতাংশ হারে। লাইসেন্সের মেয়াদকাল ১৫ বছর।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইডটকোর কান্ট্রি ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাহুল চৌধুরী, সামিট টাওয়ারস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আরিফ আল ইসলাম, এবি হাইটেক কনসোর্টিয়াম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুর রহমান মোল্লা ও কীর্তনখোলা টাওয়ার বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালমান করিমসহ অন্যরা।

দেশে টাওয়ার শেয়ারিং সেবা দিতে লাইসেন্স পাওয়ার জন্য গত জুনে আটটি প্রতিষ্ঠান বিটিআরসির কাছে আবেদন করে। এসব আবেদন মূল্যায়নে গঠিত ১৫ সদস্যের কমিটি প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে নম্বর দেয়। আটটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সার্বিক বিষয় বিবেচনায় নিয়ে কমিটির মূল্যায়নে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া চারটি প্রতিষ্ঠানকে টাওয়ার শেয়ারিং লাইসেন্স দেয়ার সুপারিশ করা হয়।