আবারও বিজয়ীর আসনে স্যামসাং! জনপ্রিয় এই স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটিকে টানা চতুর্থবারের মতো দেশের “নাম্বার ওয়ান মোবাইল হ্যান্ডসেট ব্র্যান্ড” হিসেবে ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম। সম্প্রতি রাজধানীর লা মেরিডিয়ানে আয়োজিত “ব্র্যান্ডফেস্ট ২০২১” অনুষ্ঠানে স্যামসাংকে তাদের শ্রেষ্ঠত্ব এবং প্রতিশ্রুতিবদ্ধতার স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের পক্ষ থেকে এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারের বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
২০২১ প্রায় সকল প্রকার বৃহৎ শিল্প এবং নির্মাতাদের জন্য একটি কঠিন বছর ছিল। উচ্চ সংক্রমণশীল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এবং বিশ্বজুড়ে লকডাউনের কারণে অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠানকেও টিকে থাকার জন্য লড়াই করতে হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে স্মার্টফোন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে নানা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়েছে, কারণ জনবল, উৎপাদন, সরবরাহ শৃঙ্খল (সাপ্লাই চেইন) ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি গবেষণার মাধ্যমে উদ্ভাবন ও নতুন নতুন বাজার তৈরিও এ সময়ে প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। সকল প্রতিকূলতা সত্ত্বেও চলমান পরিস্থিতিতে স্যামসাং বাজারে টিকে থাকতে সক্ষম হয়েছে, এবং তৃতীয় ও চতুর্থ প্রান্তিকে উল্লেখযোগ্য ব্যবসায়িক পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে নিজেদের লক্ষ্যমাত্রা সমূহ পূরণ করেছে।
দক্ষিণ কোরিয়া ভিত্তিক শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ডটি এর দীর্ঘস্থায়ীত্ব, গ্রাহক-সেবার মান এবং ব্যয়সুলভতার কারণে বাংলাদেশের ভোক্তাদের মাঝে বিশেষভাবে জনপ্রিয়। বাজারে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরণের হ্যান্ডসেট নিয়ে আসছে স্যামসাং, যা সকল বয়সী ও শ্রেণির ক্রেতাদের চাহিদা পূরণ করে। এই সময়োপযোগী ব্যবসায়িক কার্যক্রমের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৮ সাল থেকে স্যামসাংকে টানা এই সম্মাননা প্রদান করে আসছে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম। বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান নিয়েলসন দেশব্যাপী জরিপ পরিচালনার মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম অ্যাওয়ার্ডের জন্য উপযুক্ত দেশের শীর্ষ ব্র্যান্ডগুলোকে নির্বাচন করে থাকে।
এ বছরের শুরুতে স্যামসাং নিজেদের স্যামসাং গ্যালাক্সি জেড ফোল্ড থ্রি এবং ফ্লিপ থ্রি এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের বহুল প্রত্যাশিত গ্যালাক্সি ফোল্ডেবলস নিয়ে এসেছে, যা ব্যাপক গ্রাহকপ্রিয়তা লাভ করেছে। এছাড়াও, আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্যের সাথে ব্যয়সাশ্রয়ী মূল্যের স্যামসাং গ্যালাক্সি এ সিরিজের সেটগুলো কন্টেন্ট নির্মাতাদের মাঝে সাড়া ফেলে দিয়েছে।
স্যামসাং বাংলাদেশের হেড অব মোবাইল মো. মূয়ীদুর রহমান বলেন, “আমাদের প্রচেষ্টা সবসময় উদ্দেশ্য-নির্ভর হয়ে থাকে, এবং সেই উদ্দেশ্য হল গতকালের চাইতে ভালো করা। বাংলাদেশে এমন একটি বিশ্বস্ত কাস্টমার বেইস পেয়ে স্যামসাং গর্বিত, যে কারণে আমাদের পক্ষে মহামারীর দূর্দশার মধ্য দিয়েও টিকে থাকার প্রচেষ্টা চালানো সম্ভব হয়েছিল। আমরা আমাদের মান বজায় রাখতে পেরেছি, এবং আমাদের প্রচেষ্টাগুলো আবারো স্বীকৃত হয়েছে। আমাদের প্রতিশ্রুতিবদ্ধতাকে স্বীকার করার জন্য বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামকে ধন্যবাদ, সেইসাথে আমাদের সমস্ত গ্রাহক, পার্টনার, কর্মচারী এবং অন্যান্য অংশীজনদের প্রতিও রইল কৃতজ্ঞতা”।