শক্তিশালী আর্থিক সক্ষমতা ও তারল্য তহবিলের জন্য সর্বশেষ ২০২০ অর্থবছরেও ‘ট্রিপল এ’ ক্রেডিট রেটিং অর্জন করেছে ওয়ালটন। এই নিয়ে একটানা ৫ বছর ক্রেডিটের সর্বোচ্চ রেটিং ‘এএএ’ অর্জন করলো বাংলাদেশী এই ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট। ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তি পণ্য উৎপাদন শিল্পে বাংলাদেশে একমাত্র ওয়ালটনই এই কৃতিত্ব অর্জন করেছে। সবমিলিয়ে একটি সফল মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি হিসেবে নিজের অবস্থান সুদৃঢ করছে ওয়ালটন।
‘ট্রিপল এ’ হলো কোনো প্রতিষ্ঠানের ক্রেডিটের সর্বোচ্চ রেটিং, যা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের আর্থিক অঙ্গীকার পূরণের সর্বোচ্চ সক্ষমতাসহ ব্যবসায়িক ও আর্থিক লেনদেনে সবচেয়ে কম ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে নির্দেশ করে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের তথ্যমতে, ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেডের (ইসিআরএল) কাছ থেকে দীর্ঘমেয়াদে ‘ট্রিপল এ’ রেটিং এবং স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-১’ রেটিং পেয়েছে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। ওয়ালটনের ২০২০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত নিরীক্ষিত ও চলতি অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রথম ত্রৈমাসিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য তথ্য বিবরণী পর্যালোচনার ভিত্তিতে এই ক্রেডিট রেটিং দেয়া হয়। এ প্রসঙ্গে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী গোলাম মুর্শেদ বলেন, টানা ৫ বছর সর্বোচ্চ ক্রেডিটে রেটিং ‘ট্রিপল এ’ পাওয়া সত্যিই এক বিশাল অর্জন। এটা সম্ভব হয়েছে ওয়ালটনের অভিজ্ঞ পরিচালনা পর্ষদ, আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত পরিচালন পদ্ধতি, বিশ্বমানের করপোরেট কালচার, মানসম্মত পণ্য উৎপাদন ও সেবা ব্যবস্থাপনা, শক্তিশালী প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান, সর্বোচ্চ মানের মূলধন ব্যবস্থাপনা, আর্থিক অঙ্গীকার পূরণের সক্ষমতা ও শক্তিশালী তারল্য অবস্থানের কারনেই। ওয়ালটনের এই কৃতিত্বের অংশীদার দেশের সকল ক্রেতা এবং শুভাকাঙ্খীরা। তারা ওয়ালটন পণ্যের প্রতি আস্থা রাখছেন বলেই দেশ-বিদেশে একের পর এক সাফল্যের মাইলফলক অর্জন করা সম্ভব হচ্ছে। জানা গেছে, ২০১৫-১৬ থেকে শুরু করে সর্বশেষ অর্থবছর ২০১৯-২০ পর্যন্ত টানা ৫ বছর ধরে সর্বোচ্চ ক্রেডিট রেটিং অর্জন করেছে ওয়ালটন। উল্লেখ্য, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিও’র মাধ্যমে পুঁজিবাজার ইতিহাসে সর্বোচ্চ ইপিএস নিয়ে তালিকাভুক্ত কোম্পানি। দেশে সর্বপ্রথম ডাচ পদ্ধতিতে প্রাতিষ্ঠানিক যোগ্য বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণে বিডিংয়ের মাধ্যমে নির্ধারিত ওয়ালটনের প্রতিটি শেয়ারের কাট-অফ প্রাইস ৩১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। তবে, আইপিওতে সাধারন বিনিয়োগকীদের কাছে কাট-অব প্রাইসের চেয়ে ২০ শতাংশ কমে অর্থাৎ ২৫২ টাকায় শেয়ার ইস্যু করে ওয়ালটন। চলতি বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর দেশের দুই পুঁজিবাজার ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ওয়ালটনের শেয়ার লেনদেন শুরু হয়। ওয়ালটন শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টির ফলে লেনদেন শুরুর দিন থেকে টানা আট কার্য দিবস কোম্পাটির শেয়ার দর বৃদ্ধিতে সার্কিট ব্রেকারের সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করে। যা পুঁজিবাজার ইতিহাস বিরল। সূত্রমতে, করোনাভাইরাসের মহামারির মধ্যেও ওয়ালটনের তৈরি ফ্রিজ, টিভি, ওয়াশিং মেশিনসহ বিভিন্ন পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে। বর্তমানে ওয়ালটনের তৈরি প্রযুক্তি পণ্য রপ্তানি হচ্ছে এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও ইউরোপের জার্মানি, পোল্যান্ড ও গ্রিসের মতো উন্নত বিশ্বের ৪০টি দেশে।