ইভেন্ট

টিম অলিকের ভিআর প্রকল্প যেভাবে বিশ্বজয় করল

By Baadshah

February 24, 2019

প্রথমবারের মতো ১৩৯৫টি দলকে হারিয়ে নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০১৮ এর বিশ্ব চ্যাম্পিয়িন খেতাব অর্জন করে নিয়েছে বাংলাদেশ।বেস্ট ইউজ অব ডেটা ক্যাটাগরিতেশীর্ষ চারে স্থান করে নেয়া ক্যালিফোর্নিয়া, কুয়ালালামপুর আর জাপানেরদলকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়িন হয়েছে সিলেট থেকে চ্যাম্পিয়িন হিসেবে মনোনয়ন পাওয়া দল‘টিম অলিক’। এর আগে গতবছরের আট ডিসেম্বরঘোষিত প্রাথমিক ফলাফলে বিশ্বের ৭৯ টি দেশের প্রায় ২৭২৯টি দলের সাথে প্রতিযোগিতা করে নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জের ২টি ক্যাটাগরির শীর্ষ চারে উঠে আসে বাংলাদেশ। টিম অলিকের “লুনার ভি আর প্রজেক্ট” টি মূলত একটি ভারচুয়াল রিয়েলিটি অ্যাপ্লিকেশন যার মাধ্যমে ব্যবহারকারী চাঁদে ভ্রমনের একটি অভিজ্ঞতা পাবেন। টিম অলিক নাসা প্রদত্ত বিভিন্ন রিসোর্স থেকে থ্রিডি মডেল ও তথ্য সংগ্রহ করে, নাসা আপোলো ১১ মিশন এর ল্যান্ডিং এরিয়া ভ্রমন , চাঁদ থেকে সূর্যগ্রহন দেখা এবং চাঁদ কে একটি স্যাটেলাইট এর মাধ্যমে আবর্তন করা এই তিনটি ভিন্ন পরিবেশকে ভার্চুয়ালভাবে তৈরী করেছে। নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০১৮তে বাংলাদেশের অভ‚তপূর্ব সাফল্যে উচ্ছাস প্রকাশ করেছেন মাননীয় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার, মাননীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনাইদ আহ্মেদ পলক, এমপি এবং বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সচিব) জনাব হোসনে আরা বেগম, এনডিসি। মাননীয় মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মিত হচ্ছে আমাদের তরুণদের হাত ধরে। তরুণদের নিয়ে গড়া শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দল টিম অলিক বিশ্ব চ্যাম্পিয়িননের খেতাব অর্জন করেছে। বাংলাদেশে বেসিস, বেসিস স্টুডেন্টস ফোরামের মাধ্যমে এ আয়োজন করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের দল বিশ্ব চ্যাম্পিয়িন হয়েছে। আমি টিম অলিক এবং বেসিসকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। এ অর্জন ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার আরেকটি অনন্য দৃষ্টান্ত। বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, এ বছর আমাদের লক্ষ্যই ছিল গত তিন আসরের তুলনার ভালো করার। প্রথমবারের মতো নাসা অ্যাপস চ্যালেঞ্জ এর বিশ্ব চ্যাম্পিয়িননের খেতাব অর্জন নি:সন্দেহে বড় অর্জন। আমরা বেসিস থেকে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যে যাত্রা অব্যাহত রেখেছি, এ অর্জন আমাদের প্রচেষ্টার পথে আরেকটি বড় মাইলফলক। আমি বাংলাদেশের নাম বিশ্ব দরবারে আরো উঁচুতে আসীন করার জন্যে ‘টিম অলিক’কে অভিনন্দন জানাচ্ছি। দিদারুল আলম বলেন,আমরা বিশ্ব চ্যাম্পিয়িন হয়েছি। এ অর্জন গোটা বাংলাদেশের। টিম অলিক বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করেছে। অক্লান্ত এ পরিশ্রমের জন্য আমি সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিশেষ করে বেসিস সভাপতি জনাব সৈয়দ আলমাস কবীর, যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল হাসান অপু, প্রধান বিচারক (বাংলাদেশ) মাহদী-উজ-জামান এবং প্রকল্প সমস্বয়ক মো. ওয়াসেক সাজ্জাদকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। টিম অলিকের দলনেতা আবু সাবিক মাহদি বলেন, প্রথমবারের নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জে বিশ্ব চ্যাম্পিয়িন হওয়ায় আমি আমাদের মডারেটর শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বিশ্বপ্রিয় চক্রবর্তী এবং বেসিসের প্রতি কৃতজ্ঞ। এখন বাংলাদেশের সবার আমাদের প্রতি অনেক প্রত্যাশা। আমরা বাংলাদেশকে আরো উঁচুতে আসীন করতে চাই। বেসিস স্টুডেন্টস ফোরামের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সহায়তায় আয়োজিত নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় এবার ২০০০ প্রকল্প থেকে বাছাই করে সেরা ৪০টি প্রকল্প আমরা নাসার জন্যে মনোনীত করা হয়। বাংলাদেশের ৯টি শহরে (ঢাকা, চট্রগ্রাম সিলেট, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, রংপুর, ময়মনসিংহ এবং কুমিল্লা) এ আয়োজিত হয়। ছয়টি ক্যাটাগরির ছয়টি চ্যাম্পিয়ন দল নাসায় যাওয়ার এবং শিক্ষানবিশ হিসেবে কিছুদিন কাজ করার সুযোগ পাবে।