দেশ

ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির কোনো বিকল্প নাই -পলক

By Baadshah

October 09, 2019

বাংলাদেশের হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন জেলা পর্যায়ে আইটি/ হাই-টেক পার্ক স্থাপন (১২টি জেলায়) প্রকল্পের আওতায় জাপানে প্রশিক্ষণে যাচ্ছে ৫০ জনের একটি দল। জাপানের ফুজিৎসু রিসার্চ ইন্সটিটিউটে ডাটা সায়েন্স, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, মেশিন লার্নিং, ইন্টারনেট অব থিংস, রবোটিক্স, ব্লক চেইন এবং সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ে ৯০ দিন ব্যাপি এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলবে।

আজ বাংলাদেশের হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ে এ উপলক্ষ্যে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। মতবিনিময়কালে প্রশিক্ষণার্থীদেরকে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা প্রদান করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ।

এসময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির কোনো বিকল্প নাই। বাংলাদেশকে একটি মেধানির্ভর অর্থনীতির দেশে পরিণত করতে আমরা ইতোমধ্যে বিভিন্ন উচ্চতর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। নির্বাচনী ইশতেহারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সরকার বিভিন্ন প্রকল্প ও কর্মসূচির মাধ্যমে  দেশের তৃণমূল পর্যায়ে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ছড়িয়ে দিতে চায়। এর অংশ হিসেবে জেলা পর্যায়ে আইটি/ হাই-টেক পার্ক স্থাপন (১২টি জেলায়) প্রকল্পের আওতায় ৩০ হাজার তরুণ-তরুণীকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। প্রথম পর্যায়ে আমরা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর মাধ্যমে ৩৪১১ জন EEE/CSE/IT/Computer Science/Software Engineering গ্রাজুয়েট এর মধ্য থেকে ২০০ জনকে নির্বাচন করা হয়েছে। মেধাক্রম অনুসারে প্রথম ৫০ জন জাপান যাচ্ছে। আমি আশা করি এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আমরা দক্ষ আইটি কর্মী পাবো।

মতবিনিময় অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন জেলা পর্যায়ে আইটি/ হাই-টেক পার্ক স্থাপন (১২টি জেলায়) প্রকল্পের আওতায় ৩০ হাজার তরুণ-তরুণীকে আইটি প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। প্রকল্পের আওতায় নির্মিতব্য স্থাপনাসমূহের মধ্যে রয়েছে ১২টি জেলায় ৭ তলা (প্রতি তলা ১৫,০০০ বর্গফুট) মাল্টিটেনেন্ট ভবন নির্মাণ (স্টিল স্ট্রাকচার); ১২টি জেলায় ৩ তলা (প্রতি তলা ৭,০০০ বর্গফুট) ক্যান্টিন ও এমপি থিয়েটর ভবন (স্টিল স্ট্রাকচার); ৮টি জেলায় ৩ তলা (প্রতি তলা ৬,০০০ বর্গফুট) ডরমিটরি ভবন (আর সিসি স্ট্রাকচার) এবং ১২টি জেলায় ইলেকট্রো-মেকানিক্যাল কাজ। এছাড়া এই প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষায়িত ল্যাব স্থাপন করা হবে।