টেলিকম

ডিজিটাল রূপান্তর নিয়ে ডেল সিম্পোজিয়াম ২০১৯ অনুষ্ঠিত

By Editor

July 28, 2019

বর্তমান প্রযুক্তির আরও আধুনিকায়নের মাধ্যমে ডিজিটাল রূপান্তরে সহায়তা করবে ডেল টেকনোলজিস। এ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে সম্প্রতি ঢাকায় পার্টনারদের নিয়ে এক সম্মেলন করেছে শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানটি।

সম্মেলনে আধুনিক কর্মশক্তি ও আইটি ল্যান্ডস্কেপে অবকাঠামোর ডিজিটাল রূপান্তর উন্মোচন ঘোষণা করেছে। যেখানে ব্যবসার শুরু থেকে একেবারে ক্লাউড সেবা পর্যন্ত রূপান্তরের কথা বলেছে প্রতিষ্ঠানটি। সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সুবিধায়, ডেলের গ্রাহকরা যেখানেই অবস্থান করুক না কেন, সেটা মুখ্য বিষয় নয়। বরং তাদের যে কোনো প্রয়োজনের প্রক্রিয়াকরণ, পরিবহন, সংরক্ষণ, নিরাপত্তা দিতে সল্যুশন দেবে ডেল টেকনোলজিস।

সম্প্রতি রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ডেলের দেশীয় পার্টনারদের নিয়ে সিম্পোজিয়ামটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এতে ডেল টেকনোলজিসের কর্মকর্তারা, ডেটা কীভাবে নতুন মুদ্রায় রূপান্তর হয়, ডেটা থেকে সর্বাধিক মান আহরণের বিভিন্ন কার্যক্রম, এর ব্যবসায়িক প্রয়োগ কেমন হতে পারে এবং বিভিন্ন ক্রমবর্ধমান ব্যবসাকে ডিজিটাল রূপান্তরের ফলে নতুন কী সুবিধা পাওয়া যাবে সেগুলো তুলে ধরেন।

বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান গার্টনারের এক জরিপ অনুযায়ী, ২০২০ সালের মধ্যে বিশ্বের প্রতিষ্ঠিত এবং নেতৃত্বস্থানীয় ৬৭ শতাংশ প্রতিষ্ঠান শুধু ডিজিটাল রূপান্তরে না যাওয়ার ফলে হারিয়ে যেতে বসবে। সে কারণে প্রতিষ্ঠানগুলোর উচিত হবে, ডিজিটাল রূপান্তরের মাধ্যমে গ্রাহকদের ডেটা ল্যান্ডস্কেপকে সহজ করার পদক্ষেপ নেওয়া। একই সঙ্গে যেকোনো স্কেলে কাজের চাপকে অনুকূলে রাখতে এবং কোনও সংস্থার সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ ডেটার সুরক্ষার জন্য পরিকল্পিত অবকাঠামোসহ তাদের ডেটা সেন্টারগুলিকে আধুনিকায়ন করার মতো সক্ষমতা তৈরি করতে হবে।

ডেল টেকনোলজিসের ডিজিটাল রূপান্তরের ইনডেক্স অনুযায়ী, বিশ্বের মাত্র ৫ শতাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল লিডার হিসেবে কাজ করছে। এতে দেখা যাচ্ছে, এর অর্থ এখনো অনেক প্রতিষ্ঠান এক্ষেত্রে শৈশব অবস্থায় রয়েছে। অন্যদিকে ৭৮ শতাংশ বিজনেস লিডার ডিজিটাল রূপান্তরকে স্বীকার করে নেন। তারা মনে করেন, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে তারা নিজেদের ব্যবসাকে রূপান্তর করে প্রতিযোগিতায় নামতে পারার সক্ষমতা অর্জন করবে। ডেল টেকনোলজিসের এশিয়া এমার্জিং মার্কেটের ভাইস প্রেসিডেন্ট কে আনোথাই (Anothai Wettayakorn) বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) হলো রকেট শিপ। আর ডেটা হলো তার চালিকাশক্তি বা ফুয়েল। ভবিষ্যতে যেকোনো কোম্পানিকে প্রতিযোগিতার জন্য দরকার হবে টেকনোলজি টুলস; যেমন সফটওয়্যার ডেটা, এআই এবং ইন্টারনেট অব থিংকস। একই সঙ্গে গতি এবং স্কেল।

তিনি আরও বলেন, একটি টেকনোলজি প্রোভাইডার হিসেবে আমাদের লক্ষ্য গ্রাহকদের এ ইস্যুর সমাধান দেওয়া। শুধু এখনকার জন্য নয়, বরং সবসময়ের জন্য। ডেটার অ্যাক্সেসিবিলি হচ্ছে ব্যবসার ডিজিটাল রূপান্তরের মূল বিষয়। আধুনিক সবক্ষেত্রে ক্লাউড সেবা তাদের আরও বেশি সহায়তা করবে। ডেল টেকনোলজি এই জায়গাতে গ্রাহকদের জন্য দিচ্ছে ক্লাউড পোর্টফোলিও, যেখানে থাকছে ডেলের ক্লাউড প্লাটফর্ম এবং নতুন করে ডেটা সেন্টার অ্যাজ এ সার্ভিস। যেখানে খবুই স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ অফার দিচ্ছে সব ধরনের প্রতিষ্ঠানে। ডেল তাদের গ্রাহকদের আধুনিক ব্যবসার সঙ্গে তাল মেলাতে ডিজিটাল রূপান্তরের এই জার্নিতে সহজেই মানিয়ে নেওয়া যায় এমন, প্রতিযোগিতামূলক এবং উদ্ভাবনী সব সহায়তা দিচ্ছে। ডেল টেকনোলজিস বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, ডেল গ্রাহকদের যে ডেটা ইনসাইট প্রোভাইড করে, সেটি তার কর্মক্ষেত্রের সময় ও খরচ কমিয়ে দেয়। কোম্পানিকে কৌশলগত সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে। একটি কাস্টমাইজ ডিভাইস সরবরাহ করবে যা প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা আরও সহজে কাজ করতে পারবে এবং তাদের দক্ষতা বাড়বে। কিভাবে কর্মীরা তাদের কম্পিউটার ব্যবহার করছেন সে তথ্য পর্যালোচনা করে ব্যাটারির ক্ষমতা, স্টোরেজের ব্যবহার থেকে গতিশীলতার প্রয়োজনীয়তা ও নিয়মিতভাবে ব্যবহার করা অ্যাপের বিষয়ে জেনে ডেল টেকনলোজি ক্রেতাদেরকে সঠিক কম্পিউটার বেছে নিতে ও প্রত্যেক কর্মীকে অ্যাপ বেছে নিতে সহায়তা করবে। সরাসরি কারখানা থেকে পছন্দের কনফিগারেশন সেট করা ডিভাইস ক্রেতাদের হাতে চলে যাবে। তথ্য নির্ভর অভিজ্ঞতা সময় ও অর্থ বাঁচাবে এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে মনোযোগ দেওয়ার সুযোগ দেবে। পারসোনালাইডজ ডিভাইসের কাজ করার সুযোগ, ডেটা ও অ্যাপ্লিকেশনে প্রবেশ করার ফলে কর্মীরা কম্পিউটার বুট আপ (অপারেটিং সিস্টেম রিলোড) করার সঙ্গে সঙ্গে তা চাহিদা অনুযায়ী কাজ করবে। ডেল টেকনোলজিস পার্টনার প্রোগ্রামের আওতায়, পূর্ণাঙ্গ ডেল টেকনোলজিস সল্যুশন পোর্টফোলিওর সুবিধা নিতে পার্টনারদের প্রবেশাধিকার বাড়ানো হবে। ডেল টেকনোলজিসের এশিয়া এমার্জিং মার্কেটসের জেনারেল ম্যানেজার চুয়া চি উই (Chua Chee Wei) বলেন, ডেল টেকনোলজিসের চ্যানেল পার্টনাররা গ্রাহকদের ভালো অভিজ্ঞতা দিতে সবসময় চমৎকার কাজ করেছেন। তিনি বলেন, ডেল পার্টনার প্রোগ্রাম আয়োজনের উদ্দেশ্য পার্টনাররা যেন গ্রাহকদের বিশ্বমানের সল্যুশন, সেলস টুল এবং প্রজন্মের চাহিদা বুঝে আরও লাভজনক আর্থিক বিষয়গুলো পৌঁছে দিতে পারে। ডেল টেকনোলজিস এই প্রোগ্রামের সূচনা করেছে পার্টনারদের জন্য আরও সুযোগ আনার লক্ষ্যে, যাতে কোম্পানিটি বাজারের শীর্ষস্থানীয় স্টোরেজ এবং পরবর্তী প্রজন্মের ক্লাউড সেবার সল্যুশনে নেতৃস্থানীয় পর্যায়ে থাকতে পারে।