অ্যাপ রিভিউ

ডিজিটাল সেবা দিতে তৈরি হয়েছে ডিজিটাল মানুষ: খন্দকার আলিফ

By Baadshah

June 19, 2018

দেশে সহজে বিভিন্ন ধরনের সেবা এক প্ল্যাটফর্ম থেকেে পেতে চালু হয়েছে ডিজিটাল মানুষ নামের একটি উদ্যোগ। দৈনন্দিন সংকট সমাধানে উদ্যোক্তা খন্দকার আলিফ ও তার টিম তৈরি করেছে ‘ডিজিটাল মানুষ’ অ্যাপস। ডিজিটাল মানুষ নিয়ে আলিফ কথা বলেছেন টেকজানোর সঙ্গে।

ডিজিটাল মানুষ কি এবং কেন দরকার? উদ্যোক্তা হতে কি দরকার?

খন্দকার আলিফ: শুরু করা সহজ হতে পারে কিন্তু যদি আপনি একটি সফল উদ্যোক্তা হতে চান তবে দীর্ঘ পথ পাড়ি দেয়া বেশ ধর্যের বিষয় । ডিজিটাল মানুষও একদল তরুণরে স্বপ্ন । ডিজিটাল মানুষ হল এমন একটি অ্যাপস ভিত্তিক সার্ভিস প্ল্যাটফর্ম যেখানে সার্ভিস প্রোভাইডার এবং ক্লায়েন্টরা তাদের প্রয়োজনীয় সার্ভিসটি আদান-প্রদানের জন্য সংযুক্ত হয়ে থাকে । ডিজিটাল মানুষ সার্ভিস প্রোভাইডার এবং সার্ভিস ভোক্তাদের মধ্যে একটি ব্যাপক নেটওয়ার্ক নির্মাণ করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।

ঢাকায় এটি সার্ভিস সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান করার সহজ ও দ্রুততম উপায় হয়ে উঠেছে

কি নিয়ে কাজ করছে ডিজিটাল মানুষ? খন্দকার আলিফ:  ডিজিটাল মানুষ ৮০ টিরও বেশি ধরনের সার্ভিস নিয়ে কাজ করছে। বাসাবাড়ি থেকে অফিস স্পেস প্রতিদিন আমরা অনেক সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছি যেমন-ধরুন ইলেকট্রিশিয়ান, প্লাম্বার, এসিসার্ভিসিং, গ্যাস টেকনিশিয়ান, ওয়াটার ট্যাপ, ট্যাঙ্ক সার্ভিসং, বাড়ি বা অফিস স্থানান্তর, আইটি সার্ভিস, ওয়েব ডিজাইন ও ডেভলপমেন্ট, ইন্টিরিওর ডিজাইন ইত্যাদি ছাড়া আরও সার্ভিস।ডিজিটাল মানুষএকটি সহজ ও আরামদায়ক প্ল্যাটফর্ম আমাদের স্মার্টফোনে কেবলমাত্র একটি অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করা আমাদেরকে অসাধারণভাবে সাহায্য করতে পারে।

কিভাবে সমস্যা সমাধান করা যায়? খন্দকার আলিফ: ২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ ডিজিটাল মানুষ অ্যাপসের মাধ্যমে ৭৮৬ টি কল সার্ভিস প্রদানকারীর কাছে স্থানান্তর করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৪২১ টি কল কার মেকানিক্সের জন্য করা হয়েছে। ঢাকায় এটি সার্ভিস সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান করার সহজ ও দ্রুততম উপায় হয়ে উঠেছে।

কিভাবে এ অ্যাপ তৈরির ধারণা পেলেন? খন্দকার আলিফ:  একদিন বাসায় সারা দিন কাজ করে ঘুমিয়ে পড়েছিৈাম। কিন্তু ছোট ভাই আনান স্কুল শেষে বাড়ি আসে এবং দরজার বেল দিতে থাকে। ঘুমিয়ে থাকায় শুনতে পায়নি। আনান অনেক অপেক্ষা শেষে সিদ্ধান্ত নিই তালা মিস্ত্রি ডেকে খুলব। কিন্তু কোথায় গেলে তালার মিস্ত্রি পাওয়া যাবে।?সখুঁজে খুঁজে আরও ক্লান্ত হয়ে পড়ি এমন ঘটনা প্রায়ই ঘটতো। একদিন অলি, আলিফ, আনান তিন ভাই মিলে সিদ্ধান্তি নিই এর কোনো সমাধান কি করা যায় না? ব্যাস হয়ে গেল, তখন মাথায় তখন এই অ্যাপ বানানোর ধারণা আসে। অ্যাপ নির্মাণে সহযোগিতা করেন বন্ধু শাজিদ হাসান সজিব।

কি আছে অ্যাপে? খন্দকার আলিফ: ৪২০০০+ ইউজার, ৬৫০০+ সার্ভিসপ্রোভাইডার, ৮০+ সার্ভিস ক্যাটাগরি, ১৪২০ + রিভিউ, এবং ২৯০০০+ সার্ভিসকল । ডিজিটাল মানুষ ঢাকা শহর ৯০+টি লোকেশনে কাজ করছে এবং চটগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ, নারায়ণগঞ্জ ও ভোপাল শহরে ভারতে কাজ করছে। বাংলাদেশের ১৯৩ লোকাল অঞ্চল নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।

লক্ষ্য কি? খন্দকার আলিফ: বাণিজ্যিক সংস্করণ চালু করার পরিকল্পনা করছি। আমরা ২০১৯সালের মধ্যে সমগ্র বাংলাদেশের ৬৪ জেলায় ছড়িয়ে যাব আশা করছি। আশা করছি, ২০১৯ সালের শেষে ৫০০০০ নতুন সার্ভিস প্রভাইডার এর কর্ম সংস্থানের বাবস্থা করা সম্ভব হবে এবং ৫ কোটি মানুষের জীবনকে সহজতর করে তুলবে। আমরা ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশের দক্ষ মানুষ তথা ডিজিটাল মানুষ সন্ধান করতে পারব এবং এই ডিজিটাল ও দক্ষ জন শক্তি বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রার আয় বৃদ্ধি করতে সহায়তা করব।

ফান্ড রাইজিং কিভাবে? খন্দকার আলিফ: ডিজিটাল মানুষ লিমিটেড সম্প্রতি বাংলাদেশ ভেঞ্চার ক্যাপিটাল থেকে ফান্ড নিয়েছে। ।ডিজিটাল মানুষ জিপি এক্সসিলারেটর ব্যাচ ৫ এর টিম ।জিপি এক্সসিলারেটর থেকেও সম্প্রতি সিড ফান্ড পাবে ডিজিটাল মানুষ।