চলতি বছরের জুলাই মাসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিলেন, জুলাই মাসের যে কোনো সময় প্রধানমন্ত্রী ই-পাসপোর্ট উদ্বোধন করবেন। কিন্তু অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানালেন, আগামী ডিসেম্বরের আগে ই-পাসপোর্ট চালু করা সম্ভব হবে না।
ই-পাসপোর্ট চালু না হওয়ার কারণ সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী বলেন, ই-পাসপোর্ট এর কাজ একটি জার্মান কোম্পানিকে কাজ দেওয়া হয়েছে। তারা অনেক দূর এগিয়েছে।
তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আশ্বস্ত করেছেন এই বলে যে এটি ডিসেম্বরের পর যাবে না। ডিসেম্বরের মাঝে প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন এই প্রকল্পটি। ডিসেম্বরের মাঝেই এ পাসপোর্ট আপনারা পাবেন।
বুধবার সচিবালয়ে অর্থনৈতিক এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের একথা জানান আ হ ম মুস্তফা কামাল।
ই-পাসপোর্ট নামে পরিচিত বায়োমেট্রিক পাসপোর্টে স্মার্ট কার্ড প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়, যাতে মাইক্রোপ্রসেসর চিপ এবং অ্যান্টেনা বসানো থাকে। এ পাসপোর্টের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাসপোর্টের ডেটা পেইজ এবং চিপে সংরক্ষিত থাকে।
পাসপোর্ট ও বহির্গমন অধিদপ্তর এ প্রকল্প বাস্তবায়নে গত বছরের জুলাইয়ে জার্মান কোম্পানি ভেরিডোসের সঙ্গে চুক্তি করে। সোয়া ৩ হাজার কোটি টাকায় বাংলাদেশকে ই-পাসপোর্ট ও অন্যান্য সরঞ্জাম সরবরাহ করছে তারা।
ওই টাকায় প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশকে ২০ লাখ পাসপোর্ট বুকলেট, ২ কোটি ৮০ লাখ পাসপোর্ট তৈরির সরঞ্জাম, আনুষঙ্গিক হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার ও ১০ বছর রক্ষণাবেক্ষণ সেবা দেবে।
জানা যায়, বর্তমান এমআরপি ব্যবস্থা থেকে ই-পাসপোর্ট ব্যবস্থায় উত্তরণ ঘটলে বাংলাদেশিরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ঝামেলাবিহীনভাবে ভ্রমণ করতে পারবেন। কারণ ই-পাসপোর্ট এমন একটি ব্যবস্থা যেখানে বিদ্যমান বইয়ের সঙ্গে একটি ডিজিটাল পাতা (ডাটা পেজ) জুড়ে দেয়া হবে।