গত বছরের আগস্টে ফ্লিপ-এন-ফোল্ড স্মার্টফোনগুলো দেশের বাজারে আসার পরপরই অনেক প্রযুক্তিপ্রেমীর মনে একটি প্রশ্নের উদয় হয় – ফোনটি এতবার খোলা-বাঁধার চাপ আদৌ নিতে পারবে তো? জরুরী প্রয়োজনের সময় ফোনের ফ্লিপ যদি অকেজো হয়ে পড়ে, তখন উপায় কি? স্যামসাং স্মার্টফোন প্রেমীদের জন্য এখন আরেকটি সুখবর! কারণ ব্র্যান্ডটির ফ্ল্যাগশিপ ফোন গ্যালাক্সি জেড ফ্লিপ ৩ সম্প্রতি কঠিন এক ডুরাবিলিটি টেস্টে রীতিমতো বাজিমাত করেছে! এই ডুরাবিলিটি টেস্টের মাধ্যমে ডিভাইসটিকে যে অন্তত ৪ লাখ ১৮ হাজার বার সফলভাবে ফোল্ড ও আনফোল্ড করা যাবে – সে বিষয়টি আর কোনো সন্দেহ থাকলো না! পোল্যান্ডের ইউটিউবার “মিঃকিবর্ড” (MrKeybrd) তার চ্যানেলে ১২-মিনিটের এক ব্যতিক্রমী ভিডিওতে এ এক্সপেরিমেন্টটি তুলে ধরেন। গত ০৮ জুন থেকে ১৩ জুন তার চ্যানেলে লাইভস্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমে ফোল্ডিং টেস্টটি করা হয়। মোট ৪,১৮,৫০৩ বার ফোল্ড এবং আনফোল্ড করার পর অবশেষে ডিভাইসটির খোলা-বাঁধায় কিছু সমস্যা দেখা দেয়। এ পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে ধরে নেওয়া যায় যে, গ্যালাক্সি জেড ফ্লিপ ৩ ডিভাইসটি ব্যবহারকারীদের অন্তত পাঁচ বছর নিশ্চিন্তে এর ফ্ল্যাগশিপ অভিজ্ঞতা দিয়ে যেতে সক্ষম। প্রতিদিন কমপক্ষে ১০০ বার করে মোট অন্তত দুই লাখ বার এটি ফোল্ড ও আনফোল্ড করা যাবে। ফ্যানদের জন্য আরো বড় চমক ছিল এই যে, এই পরীক্ষা শেষে ফোল্ড-আনফোল্ডে কিছু সমস্যা দেখা দিলেও জেড ফ্লিপ ৩ এর ডিসপ্লেটি ছিল তখনও সম্পূর্ণ সচল এবং কার্যকর! এ প্রসঙ্গে স্যামসাং মোবাইল এর হেড অব মোবাইল মো. মূয়ীদুর রহমান বলেন, “আমাদের ফ্লিপ এবং ফোল্ড রেঞ্জের ডিভাইসগুলোর বিল্ড ও পারফরমেন্সের গুণগত মান নিয়ে আমরা সব সময়ই আত্মবিশ্বাসী। ডিভাইস তৈরির ক্ষেত্রে স্যামসাং যে পরিমাণ সময় এবং শ্রম দিয়ে থাকে, এ ইউটিউব ভিডিওটি তার প্রমাণ করেছে। এ ধরনের বিশ্বাসযোগ্য ও নিরপেক্ষ ট্রায়াল টেক কমিউনিটির মানুষের মাঝে আমাদের ডিভাইসগুলো নিয়ে আরো গভীর বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করবে বলে আমি প্রত্যাশা করছি।” ফোল্ডিং টেস্ট ছাড়াও গ্যালাক্সি জেড ফ্লিপ ৩ ফোনটির উপরিতলের শক্ত পৃষ্ঠে ক্ষতি কিংবা পানি প্রতিরোধক পরীক্ষায়ও সফল হয়েছে বলে বিভিন্ন ট্রায়ালে উঠে এসেছে। স্যামসাংয়ের এ ডিভাইসটিতে রয়েছে ৬.৭ ইঞ্চি এফএইচডি+ডিসপ্লে, ৮ জিবি র্যাম, ২৫৬ জিবি রম এবং ৩,৩০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারি। স্যামসাংয়ের স্মার্টফোন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে স্যামসাং বাংলাদেশের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।