ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে আগামী ৭ই ডিসেম্বর ২০২৪ রোজ শনিবার (২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ) সাভারের ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটি ক্যাম্পাসের ¯^াধীনতা সম্মেরন কেন্দে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ্র আন্তর্জাতিক মর্যাদা সম্পন্ন প্রোগ্রামিং প্রতিযোগীতা আইসিপিসি -ইন্টারন্যাশনাল কলেজিয়েট প্রোাগ্রামিং কনটেষ্ট) এর ঢাকা আঞ্চলিক পর্ব। প্রতিযোগিতার আয়োজন এবং এর বিশেষত্ব নিয়ে আজ ২৪ নভেম্বর ২০২৪, রোববার, জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত “মিট দ্যা প্রেস” অনুষ্ঠানে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠানে প্রতিযোগিতার নানা দিক তুলে ধরেন আইসিপিসি ঢাকা আঞ্চলিক আন্তর্জাতিক কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা ২০২৪-এর আঞ্চলিক পরিচালক এবং ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সৈয়দ আখতার হোসেন। “মিট দ্যা প্রেস” অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. নাদির বিন আলী। এসময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন সহকারী অধ্যাপক ও ডেপুটি আঞ্চলিক পরিচালক সাইফুল ইসলাম, ডাচ্ বাংলা ব্যাংক লিমিেিটডের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ শাহআলম পাটোয়ারী, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের ব্যবস্থাপক (সিস্টেমস) মোঃ গোলাম রাব্বানী, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ বিভাগের উধ্বতন সহকারি পরিচালক মোঃ অঅনোয়ার হাবিব কাজল, সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, প্রভাষক মোঃ ফেরদৌস আহমেদ ফয়সাল, প্রভাষক তানজিনা আফরোজ রিমি।
গংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আইসিপিসি ফাউন্ডেশন পরিচালিত ইন্টারন্যাশনাল কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং কনটেস্ট (ওঈচঈ), বিশ্বব্যাপী শি¶ার্থীদের জন্য প্রোগ্রামিং দ¶তা, দলগত সমš^য়, এবং সমস্যা সমাধানের স¶মতা প্রদর্শনের অন্যতম বৃহৎ মঞ্চ। বিশ্বব্যাপী এই প্রতিযোগিতায় প্রতিবছর ৩,০০০-এরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০,০০০ শি¶ার্থী অংশগ্রহণ করে। আঞ্চলিক পর্যায়ে প্রতিযোগিতা সম্পন্ন করে ওয়ার্ল্ড ফাইনালের জন্য সেরা দল নির্বাচন করা হয়। ঢাকা আঞ্চলিক পর্বে বিজয়ী দলগুলো ২০২৫ সালের ওয়ার্ল্ড ফাইনালে সরাসরি অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। বিশ্বের বৃহত্তম অনসাইট প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা ঢাকা আঞ্চলিক আইসিপিসি ২০২৪, অংশগ্রহণকারী ৩০৮টি দল নিয়ে, বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে বড় অনসাইট প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার মর্যাদা অর্জন করেছে। প্রিলিমিনারি রাউন্ডে বাংলাদেশের ১৪৮টি সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিভিন্ন আইটি ইনস্টিটিউটের ২,৪৮৯টি দল অংশগ্রহণ করে। এই রাউন্ডের ফলাফলের ভিত্তিতে এবং অতীতের সাফল্য ও পারফরম্যান্স বিবেচনায় এই দলগুলো নির্বাচিত হয়েছে। বিশ্বব্যাপী এই প্রতিযোগিতার বিশ্ব ফাইনাল আগামী ২০২৫ সালে কোথায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে তা নিয়ে এখনও কোন ঘোষনা না আসলেও চায়না এবং মে·িকোর মধ্যে সর্বশেষ পর্যায়ের বৈঠক চলছে, যেই দেশ ই আয়োজন জন করুক না কেনো তা ঐ দেশের জন্য একটি বড় সম্মান।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় ৭ই ডিসেম্বর সকাল ৮টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত (বিরতিহীন) সাভারের ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটিতে বিশ^বিদ্যালয়ের ¯^াধীনতা সম্মেলন কেন্দ্রে এ প্রতিযোগীতা চলবে। শীর্ষস্থানীয় ১০ টি ইউনিভার্সিটি নগদ অর্থ পুরস্কার, সনদপত্র এবং প্রথম ৩ টি দল ও শীর্ষস্থানীয় নারী দল নগদ অর্থ পুরস্কার, সনদপত্র ও চ্যাম্পিয়ন ট্রফি অর্জনের সুযোগ পাবে। প্রথম স্থান বিজয়ীরা ২০২৫ সালের ওয়ার্ল্ড ফাইনালে সরাসরি অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ পাবে। এছাড়া সকল বিজয়ীরা (চ্যাম্পিয়ন ইউনিভার্সিটি ব্যতীত) ২০২৫ সালের এশিয়া ওয়েস্ট ফাইনালে সরাসরি অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ পাবে। এশিয়া ওয়েস্ট ফাইনালে ঢাকা সহ ভারত, পাকিস্তান, ইরান, শ্রীলঙ্কা এবং আফগানিস্থানের আঞ্চলিক বিজয়ীরাও অংশগ্রহণ করবে (চ্যাম্পিয়ন ইউনিভার্সিটিব্যতীত)। এশিয়া ওয়েস্ট এর শীর্ষস্থানীয় দলগুলোও ওয়ার্ল্ড ফাইনালে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ। এবারের আয়োজনে প্রোগ্রামিংয়ে নতুন প্রজন্মকে আকৃষ্ট করতে জুনিয়র কম্পিটিটিভ প্রোগ্রামিং কনটেস্ট অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যেখানে স্কুল পর্যায়ের শি¶ার্থীরা অংশগ্রহণ করতে পারবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
আইসিপিসি ২০২৪ প্রতিযোগিতার সফল আয়োজনের পেছনে বিভিন্ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছেঃ এর মধ্যে ডাচবাংলা ব্যাংক লিমিটেড প্লাটিনাম স্পন্সর হিসেবে সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করছে। বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি): তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীনে কারিগরি সহযোগিতায় যুক্ত রয়েছে। আর ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স লিমিটেড হার্ডওয়্যার সাপোর্ট পার্টনার হিসেবে প্রয়োজনীয় কারিগরি সহায়তা প্রদান করছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
প্রতিযোগিতার বিশেষ দিকসমূহঃ
১. মাইক্রো ক্রেডেনশিয়াল প্রোগ্রাম চালু: ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি অনুষদ (ঋঝওঞ)-এর শি¶ার্থীদের জন্য প্রতিযোগিতার পাশাপাশি বিশেষ মাইক্রো ক্রেডেনশিয়াল প্রোগ্রাম চালু করা হয়েছে। এই প্রোগ্রামের আওতায় শি¶ার্থীরা অডঝ, ঙৎধপষব, এবং ঈড়সঢ়বঃরঃরাব চৎড়মৎধসসরহম-এর মতো বিশেষ দ¶তা অর্জন করতে পারবে, যা তাদের আন্তর্জাতিক পেশাদার দ¶তায় পরিণত করবে।
২. বৃহৎ পরিসরে আয়োজন: দেশের সর্ববৃহৎ জব ফেয়ার আয়োজন, যেখানে শীর্ষস্থানীয় আইটি কোম্পানিগুলো অংশগ্রহণ করবে।
চলাকালীন সময়ে লাইভ স্কোরবোর্ড প্রদর্শন এবং বিভিন্ন টেক টক সেশন।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এবং সহযোগী প্রতিষ্ঠানসমূহের চেষ্টায় এ বছরের প্রতিযোগিতা শুধু প্রযুক্তি শি¶ার্থীদের জন্য নয়, বরং দেশের আইটি খাতের সামগ্রিক অগ্রগতির জন্য একটি মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে।