ইউএল UL , সেফটি সায়েন্সে বিশ্বব্যাপী নেতৃত্ব প্রদানকারী একটি প্রতিষ্ঠান। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি এর সকল গ্রাহক ও রিটেইল সেবা গ্রহনকারীদের জন্য বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় বৃহৎ পরিসরে একটি নতুন টেস্টিং ল্যাবোরেটরি উদ্বোধন করেছে। ৩৩,০০০ বর্গফুটের স্টেট-অব-দি-আর্ট মানের এই ফ্যাসিলিটিতে টেক্সটাইল, এ্যাপারেল, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য এবং পাদুকা শিল্পের জন্য এক ছাদের নিচে প্রয়োজনীয় সকল সেবার আয়োজন করেছে ।
ফ্যাসিলিটি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে যাত্রা শুরু করা ইউএল এর এই অগ্রণী উদ্যেগের ফলে গ্রাহকেরা উদ্ভাবন, বাজার সম্প্রসারণ এবং মান নিয়ন্ত্রণ এর ক্ষেত্রগুলোতে উৎপাদিত পন্যের নিরাপত্তা ও সর্বোচ্চ মান বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় সকল সমাধান পাবেন। সম্মানিত গ্রাহকেরা ইউএল এর সুপরিকল্পিত ও সুসজ্জিত কনজ্যুমার এবং রিটেইল সার্ভিস ল্যাবোরেটরিতে তাদের সংশ্লিষ্ট পণ্যের সকল পরীক্ষা নিরীক্ষার পাশাাপাশি পাবেন, ফ্যাক্টরিতে টেকনিক্যাল অডিটের সেবা, রাসায়নিক ব্যবস্থাপনা, টেকসই এবং পরিবেশ বান্ধব সামাজিক সম্মিলিত উদ্যোগ । গ্রাহকদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে কৌশলগতভাবে ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে উত্তর বাড্ডা, গুলশানে ইউএল এর ফ্যাসিলিটি স্থাপিত হয়েছে।
সর্বজিত মুখার্জী, ম্যানেজিং ডিরেক্টর, ইউএল কনজ্যুমার এ্যান্ড রিটেইল সার্ভিস, দক্ষিণ এশিয়া আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে ইউএল এর সাথে গ্রাহকদের অংশীদারিত্ব হবে ফলপ্রসূ। তিনি আরো বলেন, “বাংলাদেশে যাত্রা শুরুর পূর্বে বিগত দশকগুলোতে ইউএল এর বিশেষজ্ঞ ও সুদক্ষ কর্মীবাহিনীর মাধ্যমে রিটেইল শিল্পে বিশ্বমানের পরীক্ষা সেবা প্রদান করে আসছে। সেবাদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৬ সালে আমরা বিশ্বের অন্যতম কনজ্যুমার টেস্টিং ল্যাবোরেটরি হিসেবে নির্বাচিত হই। আমরা এদেশে যাত্রা শুরুর পর থেকে গ্রাহকদের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছি। আমাদের এই নতুন টেস্টিং ফ্যাসিলিটির ফলে বিদ্যমান এবং সম্ভাব্য গ্রাহকেরা দ্রুততম সময়ে পাবেন আরো উন্নত সেবা। যেটি গ্রাহকদের ঝুঁকি প্রশমন, আন্তর্জাতিক পরিম-লে সাপ্লাই চেইন ঠিক রাখা এবং ব্র্যান্ডের সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে সহয়তা করবে। ফাস্ট ট্র্যাক প্রজেক্ট, ডিজিটাল ল্যাব ফুলফিলমেন্ট সেবার মাধ্যমে গ্রাহকদের জন্য লিডিং এজ সেবা এবং ইন-ডেপথ টেস্ট রেজাল্ট প্রদানে সক্ষম। গ্রাহকেরা এখন আন্তর্জাতিক মানদণ্ড ও নীতিমালা দ্বারা পরিচালিত টেস্টিং ল্যাবোরেটরি পাবেন এর ফলে গ্লোবাল মার্কেট অ্যাকসেস (জিএমএ) পাবেন নিশ্চিন্তে এবং বাজারে প্রবেশ ও স্থান দখল হবে সহজতর।‘’
ল্যাবোরেটরি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সুরেশ সুভাগানাম, ভাইস প্রেসিডেন্ট, দক্ষিণ এশিয়া এবং সাব-সাহারান আফ্রিকা, ইউএল তার বক্তব্যে বলেন, “ইউএল এমন একটি সময়ে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করেছে যখন দেশটি এর স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিকে মাথায় রেখে ২০২১ সাল নাগাদ ৫০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। আমাদের বিষয়ভিত্তিক অভিজ্ঞ কর্মীবাহিনী অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, সর্বোচ্চ মানের সরঞ্জাম, নিঁখুত বিশ্লেষণী ক্ষমতা এবং নিরাপত্তা মাত্রা সাশ্রয়ী মূল্যে প্রদানের মাধ্যমে গ্রাহকদের তাদের উৎপাদিত পণ্যের বাজার তৈরিতে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।”
ইউএল এর এই পরীক্ষাগারে রাসায়নিক, ভৌত, যান্ত্রিক, কালার-ফাস্টনেস, ফাইবার এবং দাহ্য এই ভিন্ন ভিন্ন বিষয়গুলোর আলোকে গ্রাহকদের উৎপাদিত পণ্যের উপর প্রয়োজনীয় পরীক্ষা পরিচালনার সুযোগ রয়েছে। পরিবেশ সুরক্ষার জন্য জলীয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, জিরো ডিসচার্জ অব হ্যাজার্ডাস কেমিক্যাল (জেড-ডি-এইচ- সি) পোগ্রামের আলোকে সমাধান দেয়া হয়। ইউএল তার শতাব্দী দীর্ঘ অভিজ্ঞতার আলোকে বাংলাদেশে অগ্নি, জীবনের নিরাপত্তা, ফ্যাক্টরি পরিদর্শন ও অডিট বিষয়গুলোতে সেবা প্রদান করবে।