TechJano

তথ্যপ্রযুক্তি প্রশিক্ষণের জন্য ১০ লাখ ডলারের বৃত্তি যেভাবে পেতে পারেন

আপনি কি আইটি বা তথ্যপ্রযুক্তি প্রশিক্ষণ নিতে আগ্রহী? আপনার জন্য দারুণ সুযোগ। ১০ লাখ ডলারের বৃত্তি পেতে পারেন। এ জন্য আপনার যোগ্যতার সিভি পাঠালেই হবে। আর যে কোর্সে প্রশিক্ষণ চান তা উল্লেখ করলেই হবে। এ প্রশিক্ষণ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান পিপল এন টেক। যাঁরা বিদেশে ভাল চাকরি নিয়ে যেতে চান, তাদের জন্য এটি সুযোগ। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির সিইও আবুবকর হানিপ বাংলা ট্রিবিউনকে এক সাক্ষাতকার দেন। সেখানে তিনি ১০ লাখ ডলারের বৃত্তি পাওয়ার উপায় বলেন।

বিনা মূল্যে ১৬,১০০ জনকে প্রশিক্ষন দেবে আইসিটি বিভাগ, চলছে রেজিষ্ট্রেশন

আবুবকর হানিপ যুক্তরাষ্ট্রের মূলধারার প্রযুক্তি কর্মবাজারে খ্যাতি পেয়েছেন। খ্যাতিমান বাংলাদেশি প্রযুক্তিবিদ আবুবকর হানিপের অনেকে প্রযুক্তি ক্ষেত্রেে এগিয়ে যাচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরের পাশাপাশি ভারত ও বাংলাদেশেও রয়েছে পিপল এন টেকের শাখা। বাংলাদেশ থেকে ইলেক্ট্রিক্যাল ও ইলেক্ট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে লেখাপড়া শেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে যান তিনি। সেখানেই গড়ে তুলেছেন নিজের উদ্যোগ। পাঁচ হাজার বাংলাদেশিকে ‘মেইনস্ট্রিমে’ চাকরি দিয়েছেন। যাদের সবাই বার্ষিক ৮০ হাজার থেকে দুই লাখ ডলার বেতনে কাজ করছেন।

পিপল এন টেক চার মাসের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উচ্চ বেতনের চাকরি পেতে সহায়তা করে। প্রতিষ্ঠানের স্লোগান হলো ‘নো মোর ইন অড জবস।’ এখানে কয়েক ধরনের কোর্স আছে। যাদের সাধারণ কম্পিউটার জ্ঞান ও ইংরেজি জানা আছে তাদের জন্য সফটওয়্যার টেস্টিং নামের একটা কোর্স আছে। যাদের আরও ভালো জ্ঞান আছে তারা ডাটাবেজ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কোর্স করতে পারেন। যারা কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর, প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ সম্পর্কে ভালো ধারণা আছে, তাদের জন্য ডেভেলপমেন্ট অপারেশনস- ডেভঅপস কোর্স রয়েছে। এখানে ক্লাউড কম্পিউটিংও শেখানো হয়।

২০১৮ সালে ১০ লাখ ডলারের বৃত্তি ঘোষণা করে পিপল এন টেক । এতে বাংলাদেশিদের জন্য সুযোগ আছে। এই ঘোষণার আওতায় ২৫০-৩০০ বাংলাদেশি বিনা খরচে কোর্সটি করতে পারবেন। বাংলাদেশে বসেও যাতে আউটসোর্সিং প্রকল্পগুলোতে কাজ করার সুযোগ দিতে বাংলাদেশেও একই ধরনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ঢাকায় রয়েছে প্রশিক্ষণ সেন্টার। যারা অভিবাসনে আগ্রহী তারা বাংলাদেশ থেকেই এসব প্রশিক্ষণ নিয়ে বাইরে যেতে পারবেন। এসব কোর্স করে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট, আইওএস অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট, ওয়েবসাইট তৈরি ইত্যাদি কাজ করতে পারবেন।

অর্থকষ্টে আছেন এমন অভিবাসী, সিঙ্গেল মা, সিঙ্গেল বাবা, যারা অত্যন্ত কষ্ট করেন তারা বৃত্তির সুবিধায় অগ্রাধিকার পান। যারা ছয় মাস বা এক বছরের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্র যান তাদের বাংলাদেশে এসব কোর্স করে যেতে পারেন। বাংলাদেশে বসেও ৫০০ ফ্রিল্যান্সার আউটসোর্সিংয়ের কাজ করছেন। তাদের জন্য আলাদা ধরনের কোর্স আছে। পিপল এন টেক যুক্তরাষ্ট্রের বোর্ড অব এডুকেশন অনুমোদিত। এতে প্রশিক্ষণার্থীরা ডিপ্লোমা সনদ পেতে পারেন। এটি একটি সফটওয়্যার ফার্ম হিসেবেও কাজ করছে। অনেকেই প্রশিক্ষণের ফি বহন করতে পারেন না, তাদের জন্য ১০ লাখ ডলারের একটি বৃত্তি প্রকল্প। প্রয়োজনীয় দক্ষতার অর্জনের জন্য প্রশিক্ষণ নিলে ভালো চাকরি পাবেন নিশ্চিত।

অ্যাপ্লাই করতে পারেন পিপল এন টেকের ওয়েবসাইট থেকে। বিস্তারিত তথ্য পিপল এন টেকের ওয়েবসাইটে গেলে পাওয়া যাবে।

অ্যাপ্লাই করার লিংক এখানে।

এর বাইরে দেশেও নানা প্রশিক্ষণ আছে যা আপনার কাজে আসতে পারে। জেনে নিন সেগুলো সম্পর্কে:

বিনা মূল্যে ১৬,১০০ জনকে প্রশিক্ষন দেবে আইসিটি বিভাগ, চলছে রেজিষ্ট্রেশন

সরকারি খরচে ফ্রি প্রশিক্ষণ দেবে সরকার এবং সাথে চাকরির সুযোগ

বিনা মূল্যে ৩৬ হাজার সরকারি ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ, সঙ্গে পাওয়া যাবে টাকা, কিভাবে আবেদন করবেন?

২৯০০ জনকে আইটি প্রশিক্ষণ দেবে হাইটেক পার্ক, যেভাবে ফ্রি ট্রেনিং পাবেন?

Exit mobile version