সবাই খুশি। পা্ওয়া গেছে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের ইউনেস্কো সনদ।বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের জন্য ইউনেস্কো হতে পাওয়া সনদ এখন তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগে।গণভবনে এক অনুষ্ঠানে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের কাছে এ সনদ হস্তান্তর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।প্রধানমন্ত্রীর কাছ হতে সনদটি নেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং তথ্যপ্রযুক্তি সচিব সুবীর কিশোর চৌধুরী।এ সময় বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের মর্যাদা অনুধাবনে নতুন প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেন, এই ভাষণ আমাদের এখনও উজ্জীবিত করে। তার প্রমাণ হচ্ছে- ১৯৭৫ সালের পর এই ভাষণ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কেউ এই ভাষণ বাজাতে চাইলে তাকে নির্যাতনের মুখোমুখি হতে হয়েছে। আজ স্বীকৃতির মধ্য দিয়ে এই ভাষণ আবার মানুষের কাছে ফিরে এসেছে।অনুষ্ঠানে আড়াই হাজার বছরের সব ভাষণ থেকে বাছাইকৃত ৪১টি ভাষণের তালিকায় স্থান পাওয়া ৭ মার্চের ভাষণের তাৎপর্য তুলে ধরা হয়।সনদ পাওয়া উদযাপন করতে বুধবার বিকলে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের অডিটোরিয়ামে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ।জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর একাত্তরের ৭ মার্চের ভাষণ ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’ হিসেবে ইউনেস্কোর ‘মেমোরি অফ দা ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে’ যুক্ত করতে অবদান রেখেছিল তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ।২০১৬ সালের ৬ মার্চ তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণকে উন্নত মানের রঙিন ভিডিওতে রূপান্তর করে।২৩ অক্টোবর ২০১৭ সালের ২৩ অক্টোবর ইউনেস্কো বঙ্গবন্ধুর ভাষণকে ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’ হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করে।৭১-এ ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে (তৎকালীন রেসকোর্স ময়দান) স্বাধীনতাকামী ৭ কোটি মানুষকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম- এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।বঙ্গবন্ধুর ওই ভাষণের ১৮ দিন পর পাকিস্তানি বাহিনী বাঙালি নিধনে নামলে বঙ্গবন্ধুর ডাকে শুরু হয় প্রতিরোধ যুদ্ধ। নয় মাসের সেই সশস্ত্র সংগ্রামের পর মেলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা।