ক্যারিয়ার

তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রের প্রয়োজনীয় ৪ টি দক্ষতা

By Baadshah

August 10, 2018

বর্তমান যুগে সব কাজই করা হয় প্রযুক্তি ব্যাবহার করে। সময়ের সাথে নিজেকে মানিয়ে চলতে তাই এসব প্রযুক্তি বা যন্ত্রের ব্যাবহার আমাদের জানতে হবে । যে চারটি দক্ষতার কথা বলছি তা বেসিক এবং আমরা কম-বেশি সবাই জানি।

১। ওয়েব ব্রাউজিং বা ইন্টারনেট এর ব্যাবহারঃ

ইন্টারনেটের ব্যাবহার আমাদের জীবনকে সহজ করে দিয়েছে। আমরা এখন ডিজিটাল দেশের স্বপ্ন দেখি। এমন কোনো দিক নেই যেখানে আমরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে পৌঁছাইতে পারি না ফলে পৃথিবী এখন আমাদের হাতের মুঠোয়। ইন্টারনেট ব্যাবহার করে আমরা কম সময়ে অধিক কাজ করতে পারি ফলে আমরা সময় ও শ্রম উভই দিক থেকে লাভবান হই। কিন্তু এর জন্য আমাদেরকে সঠিকভাবে ইন্টারনেট ব্রাউজিং করা জানতে হবে অর্থাৎ অন্যের উপর নির্ভরশীল না হয়ে যে কোন তথ্য নেট ব্রাউজিং করে সংগ্রহ করার দক্ষতা অর্জন করতে হবে। অর্থাৎ ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে তথ্য তৈরী করার এবং বিশ্লেষন করার ক্ষমতা তথা ডিজিটাল লিটারেসি অর্জন করতে হবে।

অনেক সফটওয়্যার থাকলেও আমরা মাইক্রোসফট অফিস বলতে এমএস ওয়ার্ড, এক্সেল আর পাওয়ার পয়েন্টকে বুঝে থাকি। কারণ বেক্তি থেকে অফিস আদালত প্রায় সবখানে এই ৩ টি সফটওয়্যার ব্যাবহার করা হয় এবং সারা পৃথিবী ব্যাপী এগুলো খুব পরিচিত। সফটওয়ার সম্পর্কে জানার আগে Microsoft সম্পর্কে একটু জেনে নেই।

Microsoft corporation যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ভিত্তিক একটি কম্পিউটার প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান। এটি বিভিন্ন কম্পিউটার ডিভাইসের জন্য সফটওয়্যার তৈরি, লাইসেন্স প্রদান এবং পৃষ্টপোষকতা করে থাকে। এর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন বিল গেটসএবং পল অ্যালেন, বর্তমান সিইও সত্য নাদেলা। এম এস ওয়ার্ড, এম এস এক্সেল, পাওয়ার পয়েন্ট সফটওয়্যার Microsoft Corporation কর্তৃক তৈরী হওয়ায় এগুলোর নামকরন করা হয়েছে Microsoft দিয়ে । যেমন MS Word মানে Microsoft word. তেমনি MS excel = Microsoft Excel . মাইক্রোসফট ওয়ার্ড মূলত লেখালেখির জন্য জনপ্রিয়। এমএস এক্সেল হলো হিসাব নিকাশের জন্য আর পাওয়ার পয়েন্ট হোল প্রেজেন্টেশনের জন্য ।

২। মাইক্রোসফট ওয়ার্ড : সারা বিশ্বে বহুল প্রচলিত ‘মাইক্রোসফট ওয়ার্ড’ হলো মাইক্রোসফটের তৈরি একটি ওয়ার্ড প্রসেসর । এটি সর্বপ্রথম ১৯৮৩ সালে জেনিক্স সিস্টেমের জন্য বাজারে ছাড়া হয় । প্রথমে মাল্টি-টুল ওয়ার্ড নাম দেয়া হলেও কিছুদিন পরেই এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় মাইক্রোসফট ওয়ার্ড।

যেসব কাজে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ব্যাবহার করা হয়– *বিভিন্ন ধরণের কম্পোজ ও টাইপ করতে । *যে কোন ধরণের Document বা Text লিখতে । *বিভিন্ন ধরণের Project Profile তৈরী করত। * বিভিন্ন , চিঠিপত্র , দলিল, প্রশ্নপত্র টাইপ ও প্রিন্ট করতে । *বিভিন্ন ধরণের Drawing, টেবিল এবং ডায়াগ্রাম তৈরী করতে ।

৩। মাইক্রোসফট এক্সেলঃ মাইক্রোসফট এক্সেল একটি স্প্রেডশিট বিশ্লেষণী প্রোগ্রাম । মাইক্রোসফট এক্সেল প্রথমে ম্যাকের জন্য বাজারে ছাড়া হয় ১৯৮৫ সালে এবং উইন্ডোজ সংস্করণে ছাড়া হয় ১৯৮৭ সালে। যেসব কাজে মাইক্রোসফট এক্সেল ব্যাবহার করা হয় – *বেক্তিগত হিসাবের জন্য এক্সেল এর ব্যাবহার হয়ে থাকে *কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে এক্সেলের ব্যাবহার হয়ে থাকে *ব্যবসা প্রতিস্ঠানগুলি তাদেওর হিসাব রাখতে এমএস এক্সেল ব্যাবহার করে থাকে *তথ্য বিশ্লেষন করার জন্য পরিসংখ্যানবিদগন এটা ব্যাবহার করে থাকে *গ্রাফ তৈরীর জন্য বর্তমানে এমএস এক্সেল ব্যাবহার করা হয় । মোট কথা , গানিতিক, পরিসাংখ্যানিক, লজিক সহ বিভিন্ন রকম হিসাবে এম এস এক্সেল ব্যবহার করা হয়।

৪। মাইক্রোসফট পাওয়ার পয়েন্টঃ জটিল তথ্য সহজ প্রক্রিয়ায় ও অর্থপূর্ণভাবে উপস্থাপনা করা নিঃসন্দেহে একটি চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার । কিন্তু মাইক্রোসফট অফিসের মাইক্রোসফট পাওয়ার পয়েন্ট এই বেপারটিকে একদম সহজ করে দিয়েছে। মূলত উপস্থাপনার কাজে এটা ব্যাবহার করা হয়ে থাকে। জনপ্রিও এই উইন্ডোজ সফটওয়্যারটি মুলত একটি স্লাইড শো উপস্থাপনা প্রোগ্রাম। মাইক্রোসফট অফিস স্যুটের অংশ হিসাবে ২২ মে, ১৯৯০এটি চালু হয়।

পাওয়ার পয়েন্টের সাহায্যে যেসব কাজ করা যায় বা এর সুবিধাসমুহ – *প্রেজেন্টেশান তৈরি। *অনেক তথ্য একজায়গায় সহজে উপস্থাপন করতে । *চ্যাট, গ্রাফ, ছবি, সাউন্ড ব্যবহার করে আকর্ষণীওভাবে কোন তথ্য উপস্থাপন করতে । *কম সময়ে অধিক তথ্য সম্পর্কে অবহিত করতে । *Presentation টিকে অনলাইনের মাধ্যমে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পাঠাতে । * প্রয়োজনে স্লাইড গুলি প্রিন্ট করা যায়।

লেখক: মিজানুর রহমান, তথ্যপ্রযুক্তি লেখক। https://www.facebook.com/mizangd