দেশ

তিনদিন ইন্টারনেট বন্ধ থাকলে বিল কাটা

By Baadshah

October 10, 2021

ইন্টারনেট সেবা টানা তিন দিন বিচ্ছিন্ন থাকলে গ্রাহকদের কাছ থেকে ওই মাসে কোনো বিল নিতে পারবে না ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি)। মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ স্বাক্ষরিত আইএসপি’র কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়, টানা একদিন ইন্টারনেট সেবা বিচ্ছিন্ন থাকলে আইএসপি মাসিক বিলের ৫০ শতাংশ ও টানা দুদিন সেবা বিচ্ছিন্ন থাকলে ২৫ শতাংশ নিতে পারবে। টানা তিন দিন বিচ্ছিন্ন থাকলে ওই মাসে কোনো বিল নিতে পারবে না।

বিটিআরসির নির্দেশনায় আরও বলা হয়, সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার ২০১৮-এর প্রতিশ্রুত ‘ইন্টারনেট ও মোবাইল ব্যবহারের মূল্য যুক্তিসঙ্গত পর্যায়ে নামিয়ে আনা হবে’ বাস্তবায়নের জন্য একটি বাস্তবসম্মত ও গ্রাহকবান্ধব ইন্টারনেট ট্যারিফ প্রণয়নে সারাদেশের জন্য ‘এক দেশ, এক রেট’ ট্যারিফ জারি করা হয়। ট্যারিফের সঙ্গে গ্রাহকসেবা ও সেবার মান নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় জরিমানা শর্তসহ কোয়ালিটি অব সার্ভিস অ্যান্ড এক্সপেরিয়েন্সকে বিবেচনায় নিয়ে প্রতিটি সেবার মানদণ্ড নির্ধারণে গ্রেড অব সার্ভিস তৈরি করা হয়।

গ্রাহকসেবা ও সেবার মান নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় পেনাল্টি শর্তসহ কোয়ালিটি অব সার্ভিস অ্যান্ড এক্সপেরিয়েন্সকে বিবেচনায় নিয়ে প্রতিটি সেবার মানদণ্ড নির্ধারণে বর্ণিত গ্রেড এ, বি এবং সি অনুযায়ী গ্রেড অব সার্ভিস বজায় রাখতে প্রতিটি আইএসপি বাধ্য থাকবে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়, ট্যারিফের বাইরে অনুমোদন ছাড়া কোনো সেবা পরিচালনা করলে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ আইন অনুযায়ী সেই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এতে আরও বলা হয়, গ্রাহক অভিযোগ (টিকেটিং নাম্বারসহ) দ্রুততার সঙ্গে সমাধান করতে হবে। গ্রাহক কোনো অভিযোগ জানালে বিটিআরসি প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে। এছাড়া অভিযোগ সমাধানের তথ্য কমপক্ষে ছয় মাসের জন্য সংরক্ষণ করতে হবে।

তবে মাসিক বিল থেকে সমন্বয়ের বিটিআরসির নতুন এই শর্ত মানা ‘কষ্টকর’ হবে বলে মনে করছেন ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সংগঠন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি আমিনুল হাকিম।

তিনি বলেন, ইন্টারনেট গেইটওয়ে আইআইজিতে সংযোগ বন্ধ রাখলে বা স্থানীয় কাজে যখন কেবল কাটা যায়, তখন আইএসপির কিছু করার থাকে না। বিষয়গুলো আমলে নেওয়া উচিত ছিল। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বিল অগ্রীম নেওয়া হয়ে থাকে। আমরা সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমরাও চাই গ্রাহকরা যেন কোনোভাবে সেবা থেকে বঞ্চিত না হয়।