বাংলা একাডেমির উদ্যোগে ইউনিকোডে প্রমিত বাংলা ফন্ট তৈরির কাজ করা হচ্ছে। ‘আমার বর্ণমালা’ নামের এই ফন্ট তৈরিতে সহায়তা দিচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাফিক্স ডিজাইন বিভাগ এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অ্যাকসেস টু ইনফরমেনশন (এটুআই) প্রোগ্রাম। মঙ্গলবার সকালে বাংলা একাডেমির শহিদ মুনীর চৌধুরী সভাকক্ষে বাংলা ভাষা অঞ্চলের জন্য বাংলা ইউনিকোড লিপি উন্নয়নে এক মতবিনিময় সভায় এই কথা বলেন ডাক,টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেন, প্রযুক্তি দুনিয়ায় বাংলা ইউনিকোড লিপি উন্নয়নে আমাদের বা বাংলাদেশে ব্যবহৃত বাংলা ভাষাকে অনেকটা উপেক্ষা করা হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলা ভাষার ব্যবহারিক ক্ষেত্রে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। ইউনিকোড বাংলা লিপি উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের মতামতকে অনেক ক্ষেত্রেই গৌণভাবে দেখছে। এটি খুবই দুঃখজনক। ফলে প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে অক্ষর ব্যবহারে আমরা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি।তিনি আরো বলেন, মনে রাখতে হবে, বাংলা ভাষার ব্যবহারিক ক্ষেত্রে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। তাই বাংলাদেশের ভাষাবিজ্ঞানীসহ সাধারণ ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা ও মতামতকে বাংলা ইউনিকোড লিপি উন্নয়নে বিবেচনায় রাখতে হবে। মূলত কম্পিউটারে লিপি বা অন্যান্য অক্ষর সংরক্ষিত হয় সেই অক্ষরগুলির প্রতিটির পেছনে একটি করে একক সংখ্যা দিয়ে। ইউনিকোড এই একক সংখ্যা বা নম্বর দেয়। আর ইউনিকোড সংক্রান্ত কাজগুলো করে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা ইউনিকোড কনসোর্টিয়াম। বাংলাদেশ ২০১০ সালের ৩০ জুন এই কনসোর্টিয়ামের সদস্যপদ লাভ করে।দিনব্যাপী এই আয়োজনের উদ্বোধনী পর্বে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. পবিত্র সরকার, অধ্যাপক ড. উদয় নারায়ণ সিংহ, ড. মনিরুজ্জামান, অধ্যাপক জীনাত ইমতিয়াজ আলী, অধ্যাপক সৈয়দ শাহরিয়ার রহমান, সমীরণ গুপ্ত, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোস্তফা কামাল, অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান খান, ড. স্বরোচিষ সরকার, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব সুভাষ সিংহ রায়, গবেষক রাজীব চক্রবর্তী, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব শ্যামসুন্দর সিকদার এবং থাইল্যান্ডের পিটিনান কুয়ারমর্নপাতানাসহ বিষয়সংশ্লিষ্ট গবেষকরা।