দারাজ জানায়, দারাজ বাংলাদেশ লিমিটেড থেকে সম্মানিত কাস্টমার আমজাদ হোসেইন লিটনকে রিপ্লেসমেন্ট হিসেবে তার অর্ডারকৃত পণ্যটি ডেলিভারি দেওয়া হয়েছে ৮ এপ্রিল। অর্থাৎ, পণ্য নিয়ে অভিযোগের ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই কাস্টমার তার সমাধান পান। এ ব্যপারে তাঁর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান- “আমি দারাজ থেকে আমার মোবাইল ফোনটি বুঝে পেয়েছি। সমস্যার দ্রুত সমাধানে আমি আনন্দিত। দারাজ থেকে আমি অনেক দিন যাবত কেনাকাটা করে আসছি। ইতোপূর্বে আমার দারাজের সাথে কোন বাজে অভিজ্ঞতা হয়নি। আমি বুঝতে পেরেছি ৬ তারিখের ঘটনাটি কুরিয়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠানের ভুল। আশা করছি দারাজ তার উন্নত মানের সেবা অব্যাহত রাখবে। এবিষয়ে খুব শিঘ্রই আমি একটি ভিডিও করে তা প্রকাশ করব।” এর আগে দারাজ বিবৃততে জানায়, দারাজ বাংলাদেশ লিমিটেড শুরু থেকেই অত্যন্ত সততা, নিষ্ঠা ও সচেতনতার সাথে সকল কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। বিগত ৬ই এপ্রিল, ২০১৯ তারিখে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি, যেখানে অর্ডার নং #৬০১২১৪৬০৫২৯০০৭৭ এর প্রেক্ষিতে কাস্টমারকে তার অর্ডারকৃত পণ্য স্যামসাং গ্যালাক্সি ৮ এস প্লাস মোবাইল ফোনের বদলে ৩টি হুইল সাবান ডেলিভারি দেওয়া হয়েছে, তা সম্পূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিত ও দারাজের নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত।
উল্লেখ্য, জনৈক সম্মানিত কাস্টমারের নিকট হতে অর্ডারটি পাওয়ার পর দারাজের ওয়্যারহাউজ থেকে মোবাইল ফোনটি যথাযথ ভাবে প্যাকেজিং পূর্বক প্রস্তুত করে রাখা হয়। কাস্টমারের নিকট পণ্য ডেলিভারির জন্য আমাদের প্রতিনিয়তই বিভিন্ন তৃতীয় পক্ষ ডেলিভারি সার্ভিসের দ্বারস্থ হতে হয়। একইভাবে ৬ই এপ্রিল, ২০১৯ তারিখের ঘটনাটির অর্ডারকৃত পণ্যটিও যথাযথভাবে প্যাকেজিং পূর্বক একটি স্বনামধন্য তৃতীয় পক্ষ কুরিয়ার সার্ভিসকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এ সংক্রান্ত সকল সিসি টিভি ফুটেজ বর্তমানে আমাদের নিকট সংরক্ষিত রয়েছে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক ও লজ্জাজনক ব্যাপার এই যে, তৃতীয় পক্ষ কুরিয়ার সার্ভিসে যেই কর্মচারিকে পার্সেলটি দেওয়া হয়েছিল, তিনি পার্সেল থেকে ওই নির্দিষ্ট মোবাইল ফোনটি সরিয়ে সেখানে ৩টি হুইল সাবান বক্সে ভরে গ্রাহককে ডেলিভারি দেন।
এই ঘটনাটি সমন্ধে অবগত হওয়ার পর দারাজ বাংলাদেশ লিমিটেড কাস্টমারের সাথে যোগাযোগ করে। কাস্টমারকে অনতিবিলম্বে সঠিক পণ্যটি ডেলিভারি দেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করা হয়েছে। সম্মানিত কাস্টমার আমাদের দ্রুত ও কার্যকরী পদক্ষেপে সন্তুষ্ট হয়েছেন।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে এসব তৃতীয় পক্ষ কুরিয়ার সার্ভিসের উপর সম্পূর্ণ নজরদারি রাখা কার্যত অসম্ভব। প্রকৃতপক্ষে এরকম একটি নৈতিক অবক্ষয়জনিত কাজের জন্যে তিনিই ব্যক্তিগত ভাবে দায়ী, যিনি এই কাজটি করেছেন। আমরা দোষী ব্যক্তির শাস্তির জন্য থার্ড পার্টি কুরিয়ার প্রতিষ্ঠানটি ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাথে যোগাযোগ করেছি। এ ব্যাপারে খুব দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সঠিক, গুনগত ও মানসম্মত পণ্য কাস্টমারের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্যে দারাজ বাংলাদেশ লিমিটেড সর্বদা বদ্ধপরিকর। দারাজ বাংলাদেশ লিমিটেড নিরলস চেষ্টার মাধ্যমে প্রতিনিয়ত গ্রাহক সেবার মান উন্নত করে যাচ্ছে, এ ব্যাপারে দারাজ তার সম্মানিত কাস্টমারগণের সর্বোচ্চ সহযোগিতা কামনা করছে।
আপনাদের বিশেষ অবগতির জন্য আমাদের ওয়্যারহাউজের একটি সিসি টিভি ক্যামেরা ফুটেজ এখানে সংযুক্ত করা হয়েছে এবং অর্ডার প্রসেসিং সফটওয়্যার এর একটি স্ক্রিনশট দেওয়া হয়েছে। যেখানে আপনারা প্রডাক্ট প্যাকিং এর সাথে সময়ের মিল দেখতে পাবেন।