দিলিপ দাশগুপ্ত

ইন্টারভিউ

দিলিপ দাশগুপ্ত গিনিজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের স্বীকৃতি পেলেন

By Sajia Afrin

March 31, 2023

দিলিপ দাশগুপ্ত গিনিজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসরে স্বীকৃতি পেলেন। ব্যাংক ক্রেডিট ব্যবস্থাপক হিসেবে দীর্ঘতম ক্যারিয়ার গড়ে গিনিজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস’র স্বীকৃতি পেলেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট ব্যাংকার দিলিপ দাশগুপ্ত।

ব্যাংকিং পরিসেবায় অনন্য অবদানের জন্য ইতিপূর্বে তিনি ফ্রান্স সরকারের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান ‘নাইট অব দ্য ন্যাশনাল অর্ডার অব মেরিট’ এবং মানবিকতার জন্য পোপ ফ্রান্সিস কর্তৃক ‘লাভ ফর হিউমিনিট’সহ দেশে-বিদেশে অসংখ্য মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।

সুদীর্ঘ সময় ব্যাংকিং পরিসেবায় যুক্ত থাকা দিলিপ দাশগুপ্ত বর্তমানে কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলন, কলম্বোর ‘ক্রেডিট স্পেশিয়ালিস্ট’ হিসেবে কর্মরত।

বুধবার গিনিজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস’র ওয়েবসাইটে ‘Longest career as a bank credit manager (male)’ শীর্ষক ঘোষণায় বাংলাদেশের ব্যাংকার দিলিপ দাশগুপ্তের ব্যাংক ক্রেডিট ব্যবস্থাপক হিসেবে দীর্ঘতম ক্যারিয়ারের এই স্বীকৃতি প্রদান করে। (https://www.guinnessworldrecords.com/world-records/722477-longest-career-as-a-bank-credit-manager-male) ঘোষণায় গিনিজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস জানায়, ৩ নভেম্বর ২০২২ থেকে যাচাইয়ের মাধ্যমে ৫৯ বছর ১৮৬ দিনের বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের জন্য বিশ্বের দীর্ঘ সময়ের ব্যাংক ক্রেডিট ব্যবস্থাপকের স্বীকৃতি পেলেন দিলিপ দাশগুপ্ত।

সেই ঘোষণায় দিলিপ দাশগুপ্তের অন্যান্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির কথাও উল্লেখ করা হয়।

১৯৪২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার পাটনীকোঠা গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম নেওয়া দিলিপ দাশগুপ্তের বাবা কৃষ্ণকুমার দাশগুপ্ত ও মা সুচারু প্রভা দাশগুপ্তা।

আশৈশব ব্যাংকার হওয়ার স্বপ্ন দেখা দিলিপ ১৯৬২ সালে খাতুনগঞ্জের আমদানি প্রতিষ্ঠান প্যারামাউন্ট ইমপেক্স এ যোগ দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন।

১৯৬৩ সালে ইউনাইটেড ব্যাংকে যোগ দিয়ে ব্যাংকিং ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি। সুদীর্ঘ ব্যাংকিং ক্যারিয়ারে দিলিপ দাশগুপ্ত স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, ব্যাংক অব ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স, ইন্দোসুযোজ ব্যাংক, ক্রেডিট এগ্রিকোল ইন্দোসুয়েজসহ আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন।

ব্যাংকিং পরিসেবার পাশাপাশি দিলিপ দাশগুপ্ত সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে একজন নিবেদিত পৃষ্ঠপোষক হিসেবে বৃহত্তর সমাজের প্রশংসা অর্জন করেন।

প্রয়াত স্ত্রীর নামে প্রতিমা ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করে শিক্ষা, সমাজসেবা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অব্যাহত পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে যাচ্ছেন তিনি।