ফেসবুক মানেই তো ভুয়া খবরের ছড়াছড়ি। ফেসবুকরে সমালোচনা হচ্ছে অনেক। কিভাব ঠেকানো যায় তা নিয়ে বেশ কঠোর জাকারবার্গ। নিলেন অভিনব পন্থা।
ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জানিয়েছেন ভুয়া খবর বন্ধ করতে ফেসবুকের নিউজ ফিডে বেশ কিছু পরিবর্তন আসতে চলেছে।
শুক্রবার রাতে মার্ক জুকারবার্গ একটি পোস্টে ফেসবুকের একগুচ্ছ নয়া নীতির কথা ঘোষণা করেন। লেখেন, ‘নতুন বছরে সাধারণ মানুষের নিউজ ফিডে কোনও বাণিজ্যিক সংস্থার বিজ্ঞাপন, খবর, ভিডিও- একটু কম দেখা যাবে। আগে যা ৫% দেখা যেত, সেটা এখন ৪% দেখা যাবে।’ অর্থাৎ, বন্ধুবান্ধব বা পরিবারের আপডেট নিউজ ফিডে বেশি করে দেখা যাবে আগের চেয়ে। মতামত প্রদানের বিষয়ে কোনওরকম নিষেধাজ্ঞা যাতে না থাকে, ফেসবুক সে বিষয়েও খেয়াল রাখবে৷
আর পরই তিনি এবছরের সবচেয়ে বড় ঘোষণাটি করেন। জানিয়ে দেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়া খবরের জেরে প্রচুর মানুষের ভাবাবেগে আঘাত লেগেছে। আর তাই এখন থেকে ভুয়া খবর রুখতে আরও কড়া নজরদারি চালাবে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
কিন্তু এই কাজ যে সংস্থার একার পক্ষে সম্ভব নয়, সে কথাও স্বীকার করে নেন মার্ক। বলেন, কোন সংস্থার খবর সত্যি, আর কোন সংস্থার মিথ্যা- সেটা ঠিক করুক ফেসবুকের পাঠকরাই। ফেসবুক সংস্থা এই মহা দায়িত্ব একার কাঁধে নিতে পারবে না। তবে ফেসবুক অনলাইনে বেশ কয়েক দফা সমীক্ষা চালাবে এই বিষয়ে, স্পষ্ট করেছেন মার্ক জুকারবার্গ।
মার্ক জানিয়েছেন, ভুয়া তথ্য ‘রিপোর্ট’ করার বিষয়টি বর্তমানে আরও সহজ করছে ফেসবুক৷ এই ধরনের খবর ছড়িয়ে পড়া আটকাতে ‘থার্ড পার্টি ভেরিফিকেশন’ ছাড়াও সাহায্য নেওয়া হবে পেশাদার সাংবাদিকদের কাছ থেকেও৷ ভুয়া খবর ছড়িয়ে তা থেকে অসদুপায়ে রোজগারের প্রচেষ্টাও বন্ধ করতে উদ্যোগী হচ্ছে ফেসবুক৷
বস্তুত, ভুয়া খবর ছড়িয়ে দিতে ফেসবুকের জুড়ি মেলা ভার। একাধিক ভুয়া ওয়েবসাইট তাদের ‘প্রপাগান্ডা’ ছড়াতে সোশ্যল মিডিয়াকে হাতিয়ার করছে। এই জাতীয় খবরের সত্যতা যাচাই করে দেখছেন না অনেক শিক্ষিত মানুষও। মোবাইলে যা আসছে, ফরোয়ার্ড করে দিচ্ছেন অন্যদের। হাজার হাজার ভুয়া খবর ছড়িয়ে পড়ছে দেশে-বিদেশে।