ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনের মধ্য দিয়ে দেশের তরুণ প্রজন্ম মানুষের মধ্যে সংহতি, সহমর্মিতা ও মানবিকতার প্রসার ঘটাবে। তিনি বলেন, শান্তি ও সংহতির বার্তা বহনকারী চলচ্চিত্র তরুণ প্রজন্মের মধ্যে মানবিক গুণাবলি বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ আগারগাঁওস্থ বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল অডিটরিয়ামে “ক্যামেরায় গাঁথি স্মার্ট বাংলাদেশের গল্প” শীর্ষক প্রতিপাদ্যে আয়োজিত ‘শান্তি চলচ্চিত্র উৎসব- ২০২৩’ এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এক ভিডিও বার্তায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমার এর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সম্মানিত সচিব মোঃ সামসুল আরেফিন, ইউএনডিপি বাংলাদেশ এর সিনিয়র গভর্ন্যান্স স্পেশালিষ্ট শীলা তাসনীম হক, এটুআই এর প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট (উদ্ভাবন) মানিক মাহমুদ এবং ফিল্মস ফর পিস ফাউন্ডেশনের সভাপতি শীপা হাফিজা।
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ বহু জাতি-ধর্ম-গোষ্ঠী-লিঙ্গ-সম্প্রদায়ের মানুষের দেশ। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আমাদের সাংবিধানিক ঘোষণা হচ্ছে সকল জাতিগোষ্ঠীর মানুষ সহনশীলতা ও সম্প্রীতির সাথে সমমর্যাদা ও অধিকার নিয়ে বাঁচবে, গড়ে উঠবে বৈষম্যহীন সমতাভিত্তিক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা। তিনি বলেন সেই চেতনা নিয়েই আমরা স্বাধীনতার তেপ্পান্ন বছর পার করছি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ শুরু করেছি। কিন্তু প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষ যখন দৈনন্দিন কাজগুলো করছে, তখন বেশ কিছু হিংসাত্মক মনোভাব মুহূর্তের মধ্যেই আমাদের জাতি, গোষ্ঠীর মধ্যে একধরনের বিবেধ, সহিংসতা, ঘৃণা ছাড়ানোর অপচেষ্টা করছে। আমরা সেজন্য ডিজিটাল লিটারেসি, সাইবার বুলিংয়ে সচেতনা গড়ে তুলতে চাই। তিনি শান্তি, সহনশীলতা ও সম্প্রীতির প্রতি বাংলাদেশের সুদীর্ঘ অঙ্গীকার রয়েছে বলেও জানান।
পলক আরও বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা কাল থেকেই দেশের শিল্প-সংস্কৃতির বিকাশে কাজ করে আসছে। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে এগিয়ে চলেছি, সেখানে স্মার্ট ইন্টারটেনইমেন্ট এন্ড মিডিয়া একটি অন্যতম অনুষঙ্গ। তিনি বলেন, একটি জাতির উন্নয়নের জন্য তার শিল্প-সংস্কৃতির বিকাশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের শিল্প-সংস্কৃতির বিকাশে এই ধরণের আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য, ১৭০টি ছবির মধ্যে ২৫টি চলচ্চিত্রকে পুরস্কৃত করা হয়। তারমধ্যে রয়েছে, ফিকশনে আত্মিক, মিরাকল ইন হ্যাভেন,ফ্রেগরেন্স, হুঁশ, এ নাইট টেইল, সদয় ফকিরের পাঠশালা; নুঅইন, হিউম্যান, নন্দিত নরকে, বেনিয়ান, মরিচীকা, রংপিন্সল, এন্টিটি, চৈতন্য, স্লিপস অব মাইন্ড; ভিডিও কন্টেন্টে ম্যাসেঞ্জার, দানবাক্স, অগ্রগামিনী, চাকরি নাই, হাসি, স্কৃপ্টে বর্ণমালা, বিফর দ্য বিগিনিং, উধাও।