বর্তমানে যে পদ্ধতিতে দেশের শিশুদের শিক্ষা দেওয়া হয় তা ১৭৬০ সালে প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থা। আর আমরা বর্তমানে আমরা বাস করছি ২০১৮তে বলে মন্তব্য করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।তিনি বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে আমূল পরিবর্তন না আনলে এ দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বোঝা হয়ে দাঁড়াবে।
শিশুদের এখন আর চক-ডাস্টার, টেবিল-চেয়ারে পড়ানো যাবে না। তাদের কম্পিউটারের মাধ্যমে শেখাতে হবে। কারণ, এখন আর শিশুরা স্কুলে আগ্রহ ধরে রাখতে পারে না। তারা ডিজিটালের ছোঁয়া পেয়েছে।শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিজয়-নেটিজেনের উদ্যোগে রাজধানীর এলজিইডি ভবনে ‘শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তর’ শীর্ষক সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, বর্তমান প্রশ্ন ফাঁসের সমস্যা ডিজিটাল উপায়ে সমাধান করা সম্ভব। এর জন্য প্রয়োজন শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তর। শিশুদেরকম্পিউটারের মাধ্যমে শেখাতে হবে। কারণ, এখন আর শিশুরা স্কুলে আগ্রহ ধরে রাখতে পারে না। এ জন্য তাদের দোষ নয়। শিশুদের আগহ ধরে রাখতে আমরাই ব্যার্থ হচ্ছি।
এই শিশুরা এখন ডিজিটালের ছোঁয়া পেয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে শিশুদের শিক্ষার জন্য সফটওয়্যার তৈরিতে কাজ করেছি। বর্তমানে সাতটি সফটওয়্যার তুলে দেওয়ার মতো অবস্থায় এসে পৌঁছেছি।
‘দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ১৭৬০ সালের, আর আমরা আছি ২০১৮তে’
‘অনুষ্ঠানে বিজয় শিশু শিক্ষার অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপের হালনাগাদ সংস্করণ উন্মুক্ত করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তর বাংলাদেশে বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে। প্রচীন এই শিক্ষা পদ্ধতীর পরিবর্তন না আনলে ডিজিটাল শিক্ষাব্যবস্থার অগ্রগতি সম্ভব নয়। ২০৪১ সালকে লক্ষ্য রেখে শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে আমূল পরিবর্তন না আনলে এ দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বোঝা হয়ে দাঁড়াবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর মো. মাহবুবুর রহমান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক মো. দেলওয়ার হোসেন, বিকাশ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কামাল কাদির, আমরা নেটওয়ার্ক লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সৈয়দ ফরহাদ আহমেদ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নেটিজেন আইটি লিমিটেডের প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড সিসিপি মোহাম্মাদ আশিকুজ্জামান খান। অনুষ্ঠানে ‘শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তর’ কার্যক্রমের ওপরে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন নেটিজেন আইটি লিমিটেডর প্রধান নির্বাহী রায়হান নোবেল।
তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় স্থানীয় পর্যায়ের আইসিটি প্রেমী তরুণ উদ্যোক্তাদেরকে নিয়ে গড়ে তুলেছে এক বিশাল কমিউনিটি পরিবার। যারা প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে পরিপূর্ণ ডিজিটাল সেবার আওতায় নিয়ে আসতে বিরামহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছে। প্রকল্পে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ৩ হাজার কর্মী কাজ করছেন। মাত্র ২ বছরের মধ্যে দুই হাজার ৩০০ প্রতিষ্ঠানকে ডিজিটাল ব্যবস্থাপনার আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছে।
অনুষ্ঠানে সারা দেশে বিকাশের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের ফি প্রদানের লক্ষে বিকাশ লিমিটেডের সঙ্গে নেটিজেন আইটি লিমিটেড এর চুক্তিও স্বাক্ষর হয়েছে।এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে বিজয় শিশু শিক্ষার অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপের হালনাগাদ সংস্করণ উন্মুক্ত করা হয়। অনুষ্ঠানে সারাদেশ থেকে বিজয় নেটিজেনের সাত শতাধিক সহযোগী অংশ নিয়েছিলেন।