প্রযুক্তি খবর

দেশের সকল মোবাইল টাওয়ার আগামী বছরের মধ্যে ৪জি`র আওতায় আসছে

By Baadshah

December 11, 2020

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, দেশের প্রতিটি মোবাইল টাওয়ার আগামী এক বছরের মধ্যে ৪জি নেটওয়ার্কের আওতায় আনতে কাজ চলছে। মোস্তাফা জব্বার মঙ্গলবার রাতে আন্তর্জাতিক সংস্থা অ্যালায়েন্স ফর অ্যাফরডেবল ইন্টারনেট’র উদ্যোগে আয়োজিত ওয়েবিনারে ‘ব্রডব্যান্ড নীতিমালা বিষয়ক’ এক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

দেশের মানুষের জন্য ইন্টারনেট সহজলভ্য করতে সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচি তুলে ধরে তিনি বলেন, আমরা শিগগিরই ব্রডব্যান্ড নীতিমালা আপডেট করতে যাচ্ছি এবং বাংলাদেশের সবার জন্য সুলভ মূল্যে ব্রডব্যান্ডের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বাংলাদেশ আমদানি নির্ভর দেশ থেকে এরই মধ্যে উৎপাদনকারী দেশে পরিণত হয়েছে। ১৪টি মোবাইল কারখানায় এখন উন্নতমানের মোবাইল উৎপাদিত হচ্ছে। বিদেশে রফতানির জন্য বাংলাদেশেও ৫জি মোবাইল তৈরি হচ্ছে।

তিনি বলেন, উচ্চগতির অপটিক্যাল ফাইভার ‘ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক’ বিভিন্ন দ্বীপ, চর ও হাওরসহ দেশের প্রতিটি মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ারও কাজ চলছে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ইন্টারনেট মানুষের জীবনযাত্রায় লাইফ লাইন হিসেবে কাজ করছে। প্রতিটি মানুষের জন্য উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বদ্ধপরিকর। ইন্টারনেটকে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে শিক্ষার বাহন হিসেবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ইন্টারনেট রাষ্ট্রের একটি যথাযথ এবং বড় বিনিয়োগ।

তিনি বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের উদ্যোগে এরই মধ্যে ৫৮৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ফ্রি ওয়াইফাই জোনের আওতায় আনা হয়েছে।

মন্ত্রী দেশে উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বিকাশে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি তুলে ধরে বলেন, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল বিশেষ করে দ্বীপ, চর, হাওরসহ অধিকাংশ ইউনিয়নে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগ সম্পন্ন করা হচ্ছে। ২০২১ সালের মধ্যে দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছে দেয়ার উদ্যোগও গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, দেশের এমন কোনো ইউনিয়ন থাকবে না যেখানে উচ্চ গতির ইন্টারনেট থাকবে না। দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে ১২হাজার ৮০০ ফ্রি ওয়াই ফাই জোন গড়ে তোলা হচ্ছে।

এ সময় মন্ত্রী উল্লেখ করেন, গত প্রায় ১২ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বে দেশে ইন্টারনেট সম্প্রসারণে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা হয়েছে। তিনি বলেন, ২০০৮ সালে দেশে প্রতি এমবিপিএস ইন্টারনেটের দাম ছিল ২৭০০ হাজার টাকা, বর্তমানে ২৮৫ টাকা।

অ্যাফরডেবল ইন্টারনেট’র কর্মকর্তা শহীদ উদ্দিন আকবরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে এ-টু-আই’র সিনিয়র পলিসি অ্যাডভাইজার আনির চৌধুরী, বিটিআরসি’র ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র, টেলিযোগাযোগ অধিদফতরের মহাপরিচালক মহসিনুল আলম ও অ্যালায়েন্স ফর অ্যাফরডেবল ইন্টারনেট’র এলানুর সারপঙ বক্তৃতা দেন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, উচ্চগতির ইন্টারনেট প্রসারে সরকারের গৃহীত কর্মসূচি বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এবং অনুকরণীয়।