দেশ

দেশের সকল শ্রেণী মানুষ ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল সেবা পাচ্ছে : পলক

By Baadshah

July 29, 2018

ডিজিটাল সেবার ফলে দেশের সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ ২৪ ঘন্টা সেবা পাচ্ছেন। জেলা প্রশাসকগণের উদ্ভাবনী ক্ষমতা ও সৃজনশীলতার জন্যই জনগণ এখন নিরবিচ্ছিন্ন সেবা পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ও একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রাম এর যৌথ আয়োজনে ২৭ জুলাই ২০১৮ রোজ শুক্রবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সকল বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের জন্য ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’-বিষয়ক একটি কর্মশালায় তিনি এই সব কথা বলেন । ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের অগ্রগতি ও মাঠ প্রশাসনের করণীয় নির্ধারণ করাই ছিল এই কর্মশালার মূল উদ্দেশ্য।

তিনি বলেন, “মাঠ পর্যায়ে জেলা প্রশাসকদের নিবিষ্ট নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতিসংঘ ঘোষিত ই-গভর্নেন্স ইনডেস্কে বিগত চার বছরে ৩৩ ধাপ এগিয়ে ১১৫ তম অবস্থানে এসেছে। তিনি জেলা প্রশাসকদের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানের অগ্রসৈনিক’ বলে অভিহিত করেন”।

তিনি আরও বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে ১ হাজার ইনোভেটিভ প্রোডাক্ট আনার পরিকল্পনা করছে সরকার । অপার সম্ভাবনাময় তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যৎ উদ্যোক্তা তৈরির লক্ষ্যে আইসিটি মন্ত্রণালয়ের ইনোভেশন ডিজাইন এন্টারপ্রেনিউরশীপ অ্যাকাডেমি (IDEA) প্রকল্পের আওতায় আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব ভবনে আন্তর্জাতিক মানের অত্যাধুনিক এই এক্সেলেটর স্থাপন করা হয়েছে।

ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং এটুআই প্রোগ্রাম নানামুখি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অধিদপ্তর/দপ্তর সংস্থার পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ এ উদ্যোগসমূহের সফল বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। এই কর্মশালায় ৮ বিভাগীয় কমিশনারের নেতৃত্বে সকল জেলা প্রশাসককে ৮টি দলে বিভক্ত করে ডিজিটাল বাংলাদেশ এর বিভিন্ন উদ্যোগ যেমন ই-মিউটেশন, ই-নথি, জেলা ব্র্যান্ডিং, ই-কমার্স, ৩৩৩, কানেক্ট ও মাল্টিমিডিয়া ক্লাশরুম, ইনোভেশন টিম, একশপ, জাতীয় তথ্য বাতায়ন ইত্যাদির সফল বাস্তবায়নের নিমিত্ত মাঠ প্রশাসনের করণীয় নির্ধারণ ও সুপারিশ গ্রহণ করা হয়।