ইভেন্ট

দেশের সেরা ব্র্যান্ডগুলোকে পুরস্কৃত করলো ১২তম বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড

By Baadshah

January 02, 2021

বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ডের একাদশ আসর অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল এক জমকালো ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সেরা ব্র্যান্ডগুলোকে পুরস্কার প্রদানের মাধ্যমে সম্মাননা জানানো হয়। দেশের ব্র্যান্ডিং শিল্পের সবচেয়ে বড় সম্মাননা ‘বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড ২০২০’ পাওয়ার্ড বাই এআইইউবি, নিয়েলসেন বাংলাদেশের অংশীদারিত্বে এবং ডেইলি স্টারের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের একটি উদ্যোগ। দেশের ব্র্যান্ডগুলোকে অনুপ্রাণিত করতে, বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম গত ১২ বছর ধরে বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ডের মাধ্যমে সর্বাধিক প্রিয় ব্র্যান্ডকে সম্মানিত করে চলেছে। বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ডের উদ্দেশ্য কঠোর প্রচেষ্টার মাধ্যমে অর্জিত ব্র্যান্ডগুলির সাফল্যের প্রদর্শন এবং উদযাপন। এ বছর ৩৭টি বিভাগে সেরা ব্র্যান্ড এবং সামগ্রিক শীর্ষ ১৫ ব্র্যান্ডকে স্বীকৃতি দেয়া হয়। এ আয়োজনের উদ্দ্যেশ্য হলো দেশে পরিচালিত ব্র্যান্ডগুলোর সফলতাকে সম্মাননার মাধ্যমে অনুপ্রাণিত করা। নিয়েলসেন- এর বিশ্বমানের জরিপ পদ্ধতি ‘উইনিং ব্র্যান্ডস’ অনুসারে দেশের সর্বাধিকপ্রিয় ব্র্যান্ডগুলোকে সম্মাননা জানানো হয়। দেশজুড়ে প্রায় ৭ হাজার ৬০০ ভোক্তার অংশগ্রহণে পরিচালিত এ জরিপের ওপর ভিত্তি করে এ বছর মোট ৩৭টি ক্যাটাগরিতে এ পুরস্কার দেয়া হয়েছে। এই বছর স্ব-প্রশাসিত পর্যালোচনা অন্তর্ভুক্ত ছিল। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের পরিচালক, উইমেন ইন লিডারশিপের (ডাব্লুআইএল) সভাপতি এবং বাংলাদেশ ক্রিয়েটিভ ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা নাজিয়া আন্দালিব প্রিমা, যেখানে তিনি মনোনীত প্রার্থীদের আন্তরিক অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন ‘স্থানীয় ব্র্যান্ডগুলোকে আরও প্রখর হতে হলে তাদেরকে আমাদের সংস্কৃতির বিস্তারে গভীর অনুসন্ধান করতে হবে এবং উন্নত বাংলাদেশের মানসিকতা বোঝার মাধ্যমে শক্তিশালী ব্র্যান্ডগুলি বিজ্ঞান ও আর্ট এর সাথে সম্পৃক্ত হতে হবে। তবেই ব্র্যান্ডগুলি টেকসই হবে কারণ এটি কার্যক্ষমতার সাথে সংবেদনশীলতার সেতুবন্ধন করে।’ অনুষ্ঠানে বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ডের জরিপ পদ্ধতি সম্পর্কে বক্তব্য প্রদান করেন লিডার, কাস্টোমাইজেড ইন্টেলিজেন্স, নিয়েলসেন, সাউথ এশিয়া জনাব প্রাসান্ত কল্লেরি । বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ডের ১২তম সংস্করণটি দেশের ব্র্যান্ড এবং মার্কেটিং এর বৃহত্তম উৎসব “ব্র্যান্ডফেষ্ট – দ্য নেক্সট বাংলাদেশ” এর সমাপনি অনুষ্ঠানের পর পরই শুরু হয়। উল্লেখ্য যে, ৩ দিন ব্যাপী “ব্র্যান্ডফেস্ট – ২০২০” এর শেষ দিনের প্রতিপাদ্য ছিল – নীতি নির্ধারণ, ব্র্যান্ড হিসাবে এবং কীভাবে পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের স্বাধীনতার ৫০তম বছরে অংশ নিতে পারি সে বিষয়ে বাংলাদেশের উপর মনোনিবেশ করা। জাতি হিসাবে বাংলাদেশ বরাবরই উন্নয়নের দিকে তীব্র অগ্রগতি অর্জনের জন্য সচেষ্ট । উন্নয়ন যা উন্নততর অর্থনীতির গ্রহণযোগ্যতাকে সহজ করে তুলবে, জীবনযাত্রার মান এর পরিসীমা বাড়িয়ে তুলবে এবং বর্তমান বিকাশকে আরও দ্রুত গতিতে অর্জন করতে সহায়তা করবে। একটি দেশের ব্র্যান্ডিং এবং নীতি নির্ধারিত কাজকে প্রভাবিত করতে নীতি নির্ধারক ও ব্যবসায়ীগোষ্ঠী এবং নেতৃত্ব প্রদানকারীদের মধ্যে আলোচনার প্রয়োজন। ৩ দিন ব্যাপী “ব্র্যান্ডফেস্ট ২০২০” এ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গের আলোচনাসমূহ দেশের ব্র্যান্ডিং এর জন্য কৌশল তৈরিতে একটি বন্ধন তৈরি করবে এবং নতুন নীতি প্রবর্তন করবে যা দেশ এবং দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি উভয়কেই উপকৃত করতে পারবে। এই আলোচনার ফলে জাতি হিসেবে আমাদের আরও জাগ্রত করবে এবং বাংলাদেশকে পরবর্তী স্তরে নিয়ে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য দায়িত্বশীল গোষ্ঠীসমূহকে এগিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে জাতীয় ব্র্যান্ডিংয়ের প্রেক্ষাপট ও প্রকৃতি সম্পর্কে কিছুটা পটভূমির গভীরতা প্রদান করতে সক্ষম হবে। ব্র্যান্ডফেস্ট – ২০২০ এর সমাপনি অধিবেশনে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামকে অভিনন্দন জানিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, বেসরকারী খাত ও বিনিয়োগ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার জনাব সালমান ফজলুর রহমান, এমপি, উল্লেখ করেন, “আমরা ২০২১ সালকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুতি নিচ্ছি, আমি অনুরোধ করছি প্রত্যেকেই তাদের ব্যক্তিগত অগ্রগতিতে যথাসাধ্য চেষ্টা করবে, সেই সাথে জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতেও তারা সক্রিয়ভাবে তাদের ব্যক্তিগত ভূমিকা পালন করবে”। ১২তম বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ডে ৩৭টি ক্যাটাগরিতে সর্বমোট ১০৫টি ব্র্যান্ডকে সম্মানিত করা হয়, এছাড়াও, পদক লাভ করেন সর্বশ্রেণীতে সেরা ১৫ ব্র্যান্ডের প্রতিনিধিরা। সেরা এ ১৫টি ব্র্যান্ডের মধ্যে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানলাভ করেছে যথাক্রমে বিকাশ, ক্লোজআপ এবং ইস্পাহানি। বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের উদ্দ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানটি পাওয়ার্ড বাই পার্টনার ছিল এআইইউবি অংশীদারিত্বে ছিল নিয়েলসেন বাংলাদেশ, সহযোগিতায় ছিল দ্য ডেইলি স্টার এবং পিআর পার্টনার হিসেবে ছিল ব্যাকপেজ পিআর। বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ডের বিভাগ ভিত্তিক ফলাফল নিয়েলসেন বাংলাদেশের অফিস থেকে সাবস্ক্রাইব করা যাবে।