টেলিকম

দেশে ফোর-জির গ্রাহক এখন কত? ইন্টারনেটের দাম কত কমলো?

By Baadshah

July 04, 2018

দেশে ফোর-জির গ্রাহক দ্রুত বাড়ছে এবং ইন্টারনেটের দাম কমছে। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এ কথা জানান। বিটিআরসি কেন্দ্রীয়ভাবে একটি টেলিকম মনিটরিং সিস্টেম চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ ব্যবস্থার অধীন বিটিআরসিতে এমন একটি ডিজিটাল ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে, যা তথ্য সংগ্রহ এবং রিপোটিং প্রক্রিয়াকে স্বয়ংক্রিয় করবে। সেই সঙ্গে লাইসেন্সধারীদের প্রয়োজনীয় সকল তথ্য বাস্তব সময়ে পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হবে। আর সরকারের অব্যাহতভাবে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে গত ৯ বছরে ইন্টারনেট ব্যান্ডইউথ মূল্য ৯৭ শতাংশেরও বেশি হ্রাস পেয়েছে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

মন্ত্রী জানান, তরঙ্গ নিলাম এবং প্রযুক্তির নিরপেক্ষতা প্রদানের মাধ্যমে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি হতে বাংলাদেশে ফোর-জি মোবাইল প্রযুক্তির সূচনা ঘটে। এর ফলে থ্রি-জি হতেও অনেক উচ্চগতির মোবাইল ইন্টারনেট সেবা প্রাপ্তির দ্বার উন্মোচিত হয় এবং সারাদেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট প্রসারে সরকারের প্রচেষ্টা অনেকধাপ এগিয়ে যায়। তিনি জানান, অল্প সময়ের মধ্যেই দেশে ফোর-জি গ্রাহক সংখ্যা প্রয় ৪০ লাখে উন্নীত হয়েছে। এছাড়া টেকনোলজি নিউট্রালিটি প্রদানের ফলে মোবাইল অপরাটেররা আরও মানসম্মতভাবে ইন্টারনেট সেবা প্রদান করতে পারবে।

স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে সংসদ সদস্য দিদারুল আলম ও মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভূঁইয়ার পৃথক দৃটি প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি জানান, মনিটরিং সিস্টেমে ভয়েস ও ডাটা ট্রাফিক, নেটওয়ার্ক ব্যবহার এবং মান সম্পর্কিত তথ্য সর্বোপরি বিটিআরসির প্রাপ্য রাজস্ব সম্পর্কে নিয়মিত ও নির্ভরযোগ্য তথ্য প্রাপ্তি সম্ভব হবে।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, ইন্টারনেট সেবার মানবৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটকে আরও সহজলভ্য করতে প্রতি মেগাবাইট মাসিক চার্জ মূল্য ২০০৯ সালের জুলাই থেকে ১৮ হাজার টাকা থেকে কয়েক ধাপে কমিয়ে ৯৬০ টাকায় নামিয়ে আনা হয়েছে। বিটিসিএল (বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেড) একই সংযোগ থেকে টেলিফোন ও ইন্টারনেট সেবা দিয়ে আসছে।

মন্ত্রী জানান, বিটিআরসির নীতিনির্ধারণী ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নতি সাধিত হবে এবং সরকারের কাছে প্রতিবেদন পেশ ব্যবস্থা দক্ষ এবং দ্রুত হবে। একই সঙ্গে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতা নিশ্চিত হওয়ার ফলে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে। এবিষয়ে মোবাইল অপারেটরদের ইতোমধ্যে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। সিস্টেমটি সংস্থাপনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার ক্রয়ের জন্য দরপত্র আহ্বান প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং শীঘ্রই এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।