ব্লকচেইন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসছেন কয়েকজন তরুণ প্রযুক্তিবিদ। দেখা করেছেন ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সঙ্গে। এটি দেশের জন্য অনেক সম্ভাবনার ক্ষেত্র তৈরি করতে পারে। রাইড শেয়ারিং থেকে শুরু করে আর্থিক খাত, চিকিৎসাক্ষেত্র পর্যন্ত এ প্রযুক্তির নানা সুফল পাওয়া সম্ভব। তথ্যপ্রযুক্তির এ ক্ষেত্রটি এখন নানা দেশে গ্রহণ করা হচ্ছে। বাংলাদেশেও এ বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে এ প্রযুক্তি প্রয়োগ করা হলে ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় দেশ এগিয়ে যাবে। ব্লকচেইন নিয়ে বেসিস কার্যালয়ে আয়াজিত এক সেমিনারে রোববার এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। রাইড শেয়ারিং অ্যাপ চলোর উদ্যোগে ব্লকচেইন ফর বাংলাদেশ শীর্ষক সেমিনারে বলা হয়, ব্লকচেইন হলো ডাটা সংরক্ষণ করার একটি নিরাপদ ও উন্মুক্ত পদ্ধতি যে পদ্ধতি অনুযায়ী ডাটাগুলো বিভিন্ন ব্লকে একটির পর একটি চেইন আকারে সংরক্ষণ করা হয় এবং এতে ডাটার মালিকানা সংরক্ষিত থাকে। এই পদ্ধতিতে ডাটা সংরক্ষণ করলে কোনও একটি ব্লকের ডাটা পরিবর্তন করতে চাইলে সেই চেইনে থাকা প্রতিটি ব্লকে পরিবর্তন আনতে হবে যা অসম্ভব। তাই এই পদ্ধতিতে ডাটা সংরক্ষণ করাটা বেশ নিরাপদ। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে রাইড শেয়ারিং সেবাদাতা চলোর পক্ষ থেকে ব্লকচেইন নিয়ে কাজ করা ও এ সংক্রান্ত সেবা চালুর ঘোষণা দেন চলোর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী দেওয়ান শুভ। তিনি বলেন, এ পদ্ধতি প্রয়োগে খরচ কমবে। এতে চালক ও যাত্রী লাভবান হবেন। এছাড়া নিরাপত্তাসহ নানা ক্ষেত্রে এ ব্লকচেইন ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। অনুষ্ঠানে সিলিকন ভ্যালিভিত্তিক প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ পল ব্রাইজেক বলেন, বাংলাদেশে ব্লকচেইন নিয়ে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। এ প্রযুক্তি প্রয়োগে এদেশে ডিজিটাল খাতে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। এস্তোনিয়া, দুবাই ইতিমধ্যে এ প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ করছে। গবেষণা অনুযায়ী, ৩৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের আন্তর্জাতিক বাজার রয়েছে ব্লকচেইনের। অনুষ্ঠানে আফিয়া ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ও বাংলাদেশের স্থানীয় উদ্যোক্তা ব্লকচেইন প্রযুক্তি নিয়ে উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করা মীর হক জানান, সম্প্রতি মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ভিনসেন্ট ফক্সের সঙ্গে ব্লকচেইন প্রযুক্তি নিয়ে আলোচনা করেছেন তিনি। বাংলাদেশের মতো দেশগুলোতে কীভাবে ব্লকচেইন কাজে আসতে পারে তা নিয়ে আলোচনা হয়। তিনি বলেন, এটি নতুন ধরনের ইন্টারনেট যা পৃথিবী বদলাতে পারে, দারিদ্র্য দূর করতে পারে, বেকারত্ব কমাতে পারে এমনকি মোবাইল ব্যাংকিংও নিরাপদ করতে পারে।