এলিফেন্ট রোডের দীপনপুরে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বাহ্যগ্রহের নামকরণ বিষয়ক প্রেস কনফারেন্স। আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিজ্ঞান সংস্থার উদ্যোগে শুরু হয়েছে "বাহ্যগ্রহের নামকরণ" শীর্ষক কর্মসূচি। এই কর্মসূচির অধীনে পৃথিবীর প্রত্যেক দেশকে একটি বাহ্যগ্রহ এবং এর তারকাটির নামকরণের সুযোগ দেয়। ইতোমধ্যে ৯৪টি দেশ এই ক্যাম্পেইনে অংশ নিয়েছে এবং এই উপলক্ষে জাতীয় প্রচারণার কাজ করছে। এই কর্মসূচির অধীনে প্রত্যেকটি দেশের জন্য একটি নক্ষত্রের অবস্থান চিহ্নিত করে দেওয়া হয়েছে, যার অন্তত একটি বাহ্যগ্রহ আছে এমনটি নিশ্চিত। বাংলাদেশের জন্য ইতোমধ্যে সংস্থাটি একটি নক্ষত্র এবং তার বাহ্যগ্রহ ঠিক করেছে যার নামকরণের সুযোগ আমাদের
দেশের জনগণ পাবে। উক্ত প্রেস কনফারেন্সে বিষয়টির সাথে পরিচয় করিয়ে দিলেন অধ্যাপক ড ফারসীম মান্নান মোহাম্মদী। তিনি জানালেন এই কর্মসূচির দুটি পর্যায়ে বিভক্ত হবে। প্রথম পর্যায়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত হবে। পরে এটা সবার জন্য উন্মুক্ত হবে। একটি নির্দিষ্ঠ ফর্মে সকল শিক্ষার্থী বাহ্যগ্রহটি এবং তার নক্ষত্রের জন্য প্রযোজ্য নামটি প্রস্তাব করে পাঠাবে। তারপর একটী জাতীয় কমিটি সেটা আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিজ্ঞান সংস্থার নিয়মানুসারে বাছাই করবে। এই সংক্রান্ত
সকল নিয়মাবলি, বৈজ্ঞানিক তথ্য পাওয়া যাবে spsb.org এবং সকল তথ্য ও যোগাযোগের জন্য ফেসবুক পেইজে চোখ রাখুন:facebook.com/IAU-Name-Exoworld-Bangladesh-100859487940523/, facebook.com/groups/astronomyschool/ সকল ফর্মের জন্য: http://spsb.org/name-your-own- exoplanet/ সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের জ্যোতির্বিজ্ঞান চর্চার অন্যতম পথিকৃৎ জনাব এফ আর সরকার বলেন, "এই নামকরণের উদ্যোগটি প্রশংসনীয় এবং ঐতিহাসিক।" বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রনমিকাল সোসাইটির প্রেসিডেন্ট এবং আণবিক শক্তি কমিশনের প্রাক্তন মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. রেজাউর রহমান বলেন, "এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত সম্মানসূচক।" বাংলাদেশ ফ্রিডোম ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক জনাব সাজ্জাদ চৌধুরী বলেছেন "বস্তু জগতে যেমন বাঞালির নামে বোসন কণা আছে তেমনি এখন মহাকাশেও বাঙলা নামের একটা জ্যোতিষ্ক পেলে আমাদের জন্য খুবই গর্বের ব্যাপার হবে"। সবশেষে সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে সম্মেলন শেষ হয়। বাংলাদেশে কর্মসূচিটির আয়োজক বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতি।