নকিয়া ফোন দিয়ে আম পাড়া যেত! কেউ কেউ নকিয়ার কথা বললে আবেগী হয়ে ওঠেন। কি সব ফোন ছিল নকিয়ার। ৩৩১০ এর কথাই ধরুননা! আর এখন!
এখনকার দিনে স্মার্টফোন দিয়ে কিনা হয়। ফোনের বদলে এগুলোকে ছোটখাটো একটি কম্পিউটারই বলা চলে। ইমেইল চেক করা, সোশ্যাল মিডিয়ায় ঢুঁ মারা, ছবি তোলা কোনো কাজই বাদ নেই। অ্যাপ নির্ভর ডিভাইসগুলোরও প্রথম ভরসা স্মার্টফোন। যদিও আজ থেকে ২০ বছর আগের ফোনগুলো মোটেও এরকম ছিলো না।তবে সেসময়ও কিছু ফোন অনেক জনপ্রিয়তা লাভ করে; বিশেষ করে নকিয়ার ফোনগুলো। আজও সেই ফোনগুলো ব্যবহারকারীদেরকে নস্টালজিয়ায় ভোগায়। সেই আমলের নকিয়া ফোনগুলোর বিস্তারিত নিয়েই থাকছে আজকের আয়োজন।
নকিয়া কোম্পানি ফোনটি এতো মজবুত করে তৈরি করেছিলো যে নকিয়া ৩৩১০ কে পাথরের সঙ্গেও তুলনা করা হতো। উপর থেকে পড়লেও ফোনটি অটুট থাকতো ।ফোনটি প্রথম বাজারে আনা হয় ২০০০ সালে। এতে থাকা স্নেক ২ গেইমটিও ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়।
এই ফোন সর্বকালের বেস্ট সেলিং ফোনের তালিকায় নাম লিখিয়েছে। ফোনটি বাজারে আসে ২০০৩ সালে। এতে একত্রে ৫০টি পর্যন্ত টেক্সট ম্যাসেজ রাখা যেতো। চার তলা থেকে পরেও ফোনটির অক্ষত থাকার নজির আছে।
এই ফোনও উন্মোচন করা হয় ২০০৩ সালে। এতে ছিলো সিম্বিয়ান অপারেটিং সিস্টেম, ০.৩ মেগাপিক্সেলের ভিজিএ ক্যামেরা, ভিডিও কলের ফিচার ও ৬ মেগাবাইটের মেমোরি স্টোরেজ। সঙ্গে ছিলো ২ দশমিক ১৬ ইঞ্চির ডিসপ্লে।
এই ফোন উন্মোচন করা হয় ১৯৯৬ সালে। স্লাইডার ফোনটিতে একটি মাইক্রোফোন ছিলো। ফোনটির কিবোর্ডের অংশ খুললেই মাইক্রোফোনটি মুখের সামনে চলে আসতো। এতে কথা স্পস্টভাবে শোনা যেতো। ফোনটি ১৯৯৯ সালে নির্মিত সাইন্স ফিকশন ছবি ম্যাট্রিক্সেও দেখা গেছে।
টি অনেকটা পোর্টেবল গেইমিং কনসোলের মতোই কাজ করতো। এর দুই দিকে থাকা স্লাইডে ইয়ার পিস ও মাইক্রোফোন বসানো ছিলো। সিম্বিয়ান ওএস চালিত ফোনটি প্রথম বাজারে আসে ২০০৩ সালে।
ফোনটি প্রথম উন্মোচন করা হয় ২০০৭ সালে। এতে ব্যবহৃত হয়েছিলো সিম্বিয়ান এস৬০ অপারেটিং সিস্টেম। স্লাইডিং ফোনটির পেছনে ছিলো ৫ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। ওয়াইফাই ও ব্লুটুথের সুবিধা সম্বলিত এই ফোন ছিলো আইফোনের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী।
ফোনটিকে বলা হতো বিজনেস ক্লাস স্মার্টফোন। ভেতরের অংশে কিবোর্ড থাকায় এটি দেখতে ছিলো অনেকটা মিনি ল্যাপটপের মতো। এটি দিয়ে ফ্যাক্সও আদান প্রদান করা যেতো। ২০০০ সালে বাজারে আসা ফোনটিতে ছিলো রঙ্গিন স্ক্রিন। ইউনিট কনভার্টার থেকে শুরু করে ফোল্ড আউট অ্যান্টিনা সবই ছিলো এতে।