দেশে ডিজিটাল আর্থিক লেনদেনের জন্য আরো একটি পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার (পিএসপি) লাইসেন্সের অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। দেশের তৃতীয় পিএসপি লাইসেন্স হিসেবে এটিকে সম্প্রতি অনুমোদন দেয়া হয়েছে। খুব শীঘ্রই ‘ক্যাশবাবা’ নামের এই ই-ওয়ালেট সার্ভিসটি চালু হতে যাচ্ছে।
আর.এফ.টি.এল পিসিআই ডিএসএস (কার্ড ইন্ডাস্ট্রির সর্বোচ্চ নিরাপত্তা সনদ) আইএসও ৯০০১, আইএসও ২৭০০১ সনদপ্রাপ্ত এবং ইএমভিকো স্ট্যান্ডার্ড কিউআর কোড ব্যাবহারকারী একমাত্র ই-ওয়ালেট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান, যা কিনা সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও সর্বোত্তম সেবা প্রদান নিশ্চিত করে।
অ্যাপটির উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে নগদ টাকা ছাড়া ই-পেমেন্টের মাধ্যমে একটি আধুনিক জাতি গড়ে তোলা তাদের অন্যতম লক্ষ। গুগল প্লে স্টোর এবং অ্যাপ স্টোর থেকে ‘ক্যাশবাবা’ ডাউনলোড করা যাবে।
জানা গেছে, চালু হওয়ার পর এই ই-ওয়ালেটের মাধ্যমে স্মার্ট ফোন থেকে নগদ বা ক্রেডিট/ডেবিট কার্ড ছাড়াই কেনাকাটা এবং লেনদেনের করতে পারবেন। এছাড়াও দেশের যেকোনো ব্যাংক ও মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠানগুলোর গ্রাহকরা ‘ক্যাশবাবা’ দিয়ে টাকা প্রেরণ এবং উত্তোলন করতে পারবেন। একইসাথে এই ই-ওয়ালেটে যেকোনো ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড থেকে টাকা আদান-প্রদান করা যাবে। অতি শীঘ্রই এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হতে পারে।
অ্যাপটির বাস্তবায়নকারী সংস্থা রিকার্সন ফিনটেক লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা আকিকুর রহমান চৌধুরী জানান, আমাদেরকে অভিনব এবং যুগোপযোগী সার্ভিসটি চালু করার সুযোগ দেয়ায় সরকার এবং বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে কৃতজ্ঞতা জানাই। অ্যাপটি দেশেই তৈরি করা হয়েছে এবং এর উদ্যোক্তা সকলে বাংলাদেশী। ‘ক্যাশবাবা’ অন্যান্য ই-ওয়ালেটের চেয়ে অত্যন্ত সুরক্ষিত এবং সাশ্রয়ী সেবা হতে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরে টাকা প্রেরণ, ইউটিলিটি বিল প্রদান, মোবাইল রিচার্জ, ক্রেডিট কার্ডের বিল পরিশোধ, টিকিট ক্রয়, হোটেল বুকিং, কিউআর কোড এবং অনলাইন কেনাকাটা ইত্যাদি সেবা পাওয়া যাবে। আমাদের লক্ষ গ্রাহকদের মূল্যবান সময় বাঁচানো এবং আর্থিক সাশ্রয় করা।
তিনি আরও জানান, আমাদের বিশ্বাস স্বচ্ছতা, আর্থিক নিরাপত্তা এবং জাতীয় অর্থনীতির বিকাশে এই অ্যাপটি অবদান রাখবে। আমরা ভবিষ্যতে জাতিকে নগদ অর্থ ছাড়া ই-পেমেন্ট ইকোসিস্টেমটি বিকাশে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং আমাদের অংশীদারদের সাথে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।