টিপস ও টিউটোরিয়াল

নতুন ফিচার আসছে পুরাতন ফেসবুক পোস্ট একত্রে মুছে ফেলার

By Baadshah

July 08, 2020

ফেসবুকে প্রকাশ করা পুরাতন পোস্ট মুছে ফেলার পদ্ধতি আরো সহজ করতে ম্যানেজ এক্টিভিটি (Manage Activity) নামে নতুন একটি ফিচার যুক্ত করছে ফেসবুক। নির্দিষ্ট কিংবা বাছাইকৃত পোস্টসমূহ অতি সহজে মুছে ফেলা যাবে এই ফিচারটি ব্যবহার করে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে একজন ব্যক্তির ফেসবুক একাউন্টে প্রকাশ করা পোস্টগুলো খুঁজে বের করতে ফিল্টারিং টুল চালু করতে যাচ্ছে ফেসবুক।

ফেসবুকের মতে সামাজিক মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের নিজস্ব উপস্থিতি আরও নিখুঁতভাবে তুলে ধরতে এই ফিচারটি আনা হয়েছে।

উদাহরণ স্বরূপ, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় শেষে নতুন চাকরির শুরুতে ফেসবুক প্রোফাইল থেকে অনেকেই হয়তো পুরাতন কিছু পোষ্ট মুছে ফেলতে চাইবেন। এছাড়া কেউ কেউ পুরাতন কিছু সম্পর্কের স্মৃতি মুছে ফেলার জন্যও নিজের টাইমলাইন থেকে কিছু পোষ্ট ডিলিট করতে চাইবেন।

সর্বক্ষেত্রেই ব্যবহারকারীদের জন্য বহুমুখী সুবিধা প্রদান করবে এই বাল্ক ডিলিট ফিচারটি। ক্যাটাগরি, তারিখ এবং পিপল- এই তিনটি ট্যাগ অনুসারে পোস্টগুলো ফিল্টার করা যাবে এবং একইসাথে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কিংবা নির্দিষ্টভাবে একাধিক পোস্ট মুছে ফেলা যাবে।

টাইমলাইন থেকে একটি পোস্ট সরানোর বেশ কয়েকটি বিকল্প উপায় দিবে এই নতুন ম্যানেজ অ্যাক্টিভিটি ফিচার। আপনি চাইলে পোস্টগুলোকে ট্র‍্যাশে পাঠাতে পারবেন। ট্র‍্যাশে পাঠানো পোস্টগুলো তাৎক্ষণিকভাবে আপনার টাইমলাইন থেকে সরিয়ে ফেলা হবে এবং ৩০ দিন পর স্থায়ীভাবে মুছে ফেলা হবে।

আবার পোস্ট আর্কাইভ এর উপায়ও থাকছে। আর্কাইভকৃত পোস্টগুলো আপনার টাইমলাইনে অন্যদের প্রদর্শন করবে না, তবে আপনি ব্যাক্তিগতভাবে পোস্টগুলি দেখতে পারবেন।

নিজেদের ক্রিয়াকলাপ নিয়ন্ত্রণের উপর ব্যবহারকারীদের সম্পূর্ণ অধিকার নিশ্চিত করার অংশ হিসেবে ম্যানেজ এক্টিভিটি ফিচারটি যুক্ত করেছে ফেসবুক।

গত বছর ক্লিয়ার হিস্ট্রি নামের একটি টুল যুক্ত করেছিল ফেসবুক। এটি ফেসবুক একাউন্ট থেকে ব্রাউজিং ডেটা মুছে দিতো এবং পোস্টের মূল লিংক মুছে দিতো। তবে এটি তেমন কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়নি। এরই অংশ হিসেবে যুক্ত হয়েছে ম্যানেজ এক্টিভিটি নামের নতুন ফিচারটি।

ম্যানেজ এক্টিভিটি নামের এই নতুন ফিচারটি প্রথমে ফেসবুক মোবাইল অ্যাপে আসবে।

অপরদিকে টুইটার একটি বহুল জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হওয়ার পরও টুইটারে এমন কোনো ফিচার নেই যেটা দিয়ে পুরাতন পোস্ট বাল্ক ডিলিট করা যায়। সে কারণে নিজেদের পুরাতন কটুভাষী টুইটের জন্য ভোগান্তি পোহান অনেক ব্যবহারকারী। টুইটারে এরকম কোনো ফিচার না থাকায় তৃতীয় পক্ষের পরিষেবার দ্বারস্থ হন অধিকাংশ ব্যবহারকারী।