অবশেষে নিজেদের নতুন লোগো ও ব্র্যান্ড লুক উন্মোচন করল দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম দারাজ(daraz.com.bd)। বিগত বছরের ব্যাপক সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখতেই সকলের কাছে নিজেদের নতুন রুপে তুলে ধরল ইকমার্স প্ল্যাটফর্মটি। দারাজ গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও বিয়ার্কে মিকেলসেন মনে করেন দারাজের এই নতুন সূচনা প্রতিষ্ঠানটিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে অনন্য ভূমিকা রাখবে। তিনি বলেন, বিগত ৭ বছরে দারাজের ব্যবসায়িক পরিধি অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এখনই সময় দারাজের নতুন এক অধ্যায়ে পদাপর্ণ করার। নতুন এ অধ্যায়ে দারাজের মূল লক্ষ্য থাকবে ক্রেতার জন্য উন্নত এবং আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করা। তিনি আরও বলেন, ব্র্যান্ডের নতুন লুক এখনও দারাজের মূল ভ্যালুগুলোই ধারণ করে, একই সাথে নতুন দারাজে যুক্ত হচ্ছে পারসোনালাইজড এক্সপেরিয়েন্স যাতে করে প্ল্যাটফর্মে ক্রেতা ও বিক্রেতা আরও দৃঢ়ভাবে সংযুক্ত হতে পারেন। ব্র্যান্ডকে নতুন রূপে প্রকাশ করার পেছনে দারাজের অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে, দক্ষিণ এশিয়ার পাঁচটি দেশ যথা বাংলাদেশ, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল এবং মিয়ানমারে দারাজকে মানুষের দৈনন্দিন জীবনের অন্যতম অংশে পরিণত করা। মিকেলসেন আরও বলেন, “এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য আমাদের গ্রাহকদের অভিজ্ঞতা উন্নত করতে হবে, গ্রাহকদের কেনাকাটার যাত্রার প্রতিটি ধাপে মানসম্পন্ন পণ্য ও সেবা নিশ্চিত করতে হবে এবং গ্রাহকদের বিনোদন প্রদান ও যুক্ত করার নতুন উপায় তৈরি করতে হবে. এসব গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে আমাদের সেবা উন্নত ও বিকশিত করার ক্ষেত্রে ব্র্যান্ড রিফ্রেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে” দারাজকে নতুন আঙ্গিকে হাজির করার ক্ষেত্রে অন্যতম পরিবর্তন হচ্ছে এর নতুন আইকন। কীভাবে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম এসএমই বিক্রেতাদের ক্রেতাদের সাথে যুক্ত করছে, তা তুলে ধরতে প্রতীক হিসেবে কাজ করে আইকনটি। আইকনের কেন্দ্রে একটি তীর রয়েছে, যা প্রবৃদ্ধি এবং দ্রুত ডেলিভারিতে দারাজের পারদর্শীতা আলোকপাত করে। এটি দেখতে একটি ‘প্লে বাটন’ এর মতো, যা ব্যবহারকারীদের জন্য আরও অসাধারণ কনটেন্ট অভিজ্ঞতা তৈরিতে দারাজের ক্রমাগত উদ্ভাবনকেও ইঙ্গিত করে। দারাজ বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোস্তাহিদল হক বলেন, দারাজ সবসময়ই দেশের ইন্ডাস্ট্রি ও তার গ্রাহকদের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, তাই তাদের কেনাকাটার অভিজ্ঞতায় নতুন মাত্রা যোগ করতে এবং ই-কমার্স সেক্টরকে সম্পূর্ণ নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে দারাজ বাংলাদেশ একটি সম্পূর্ণ রূপান্তর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আশা করছি এই পরিবর্তন দারাজের গ্রাহকদের একটি আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতা প্রদান করবে যা আগে কখনো তারা দেখে নি। দারাজ বাংলাদেশ লিমিটেডের চিফ মার্কেটিং অফিসার মোঃ তাজদীন হাসান বলেছেন, “নতুন লোগো উন্মোচনের পেছনে রয়েছে দীর্ঘ ১ বছরের কঠোর পরিশ্রম ও একাগ্রতা। দারাজের এই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্র্যান্ড এলিমেন্টটিকে আরও সমসাময়িক, আধুনিক ও অর্থপূর্ণ করে গড়ে তুলতে দায়িত্বপ্রাপ্ত ক্রিয়েটিভ এজেন্সি, ডিজাইন স্টুডিও নিবিড় গবেষনা চালায়, মাসের পর মাস চলে নানাবিধ মিটিং, আলোচনা, ও গবেষণা । অবশেষে দারাজের অঙ্গীকার “শপিং ওডিসি’ কে প্রাধান্য দিয়ে ‘অ্যা বক্স অফ ইনফিনিট পসিবিলিটিস‘’ কে কেন্দ্র করে নির্মাণ করা হয় আজকের প্রকাশিত লোগো।
গ্রাহকের স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করতে ও দারাজের অভ্যন্তরীন ব্র্যান্ড যেমন দারাজ মল, দারাজ মার্ট ইত্যাদির মাঝে সাধারণ অবিচ্ছন্দতা সৃষ্টি করতে এই নতুন যাত্রা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে। পাশাপাশি, দারাজ একটি নতুন ওয়েবসাইটও (Daraz.com) চালু করেছে, যা নতুন ব্র্যান্ডটিকে তুলে ধরবে এবং দারাজের পরিচয় ও এর কার্যক্রম সম্পর্কে মানুষকে আরও ভালোভাবে বুঝতে সহায়তা করবে। দারাজ:
দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় অনলাইন মার্কেটপ্লেস দারাজ, অসংখ্য বিক্রেতাকে লক্ষাধিক ক্রেতাদের সাথে যুক্ত করেছে। একশো’রও বেশি ক্যাটাগরির প্রায় ১ কোটি ৯০ লাখের বেশি পণ্য কেনাকাটায় গ্রাহকদের তাৎক্ষণিক এবং সহজ সুবিধাদানের সাথে সাথে প্রতি মাসে ২০ লাখেরও বেশি পণ্য বিশ্বের সকল প্রান্তে পৌঁছে দিচ্ছে দারাজ। দারাজ তার গ্রাহকদের জন্য একইসাথে একটি বাজার, মার্কেটপ্লেস এবং কমিউনিটি। দারাজ উদ্যোক্তাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো, কেননা প্রতিষ্ঠানটি প্রতিমাসে ই-কমার্স সম্পর্কে পাঁচ হাজারেরও বেশি নতুন বিক্রেতাকে সচেতন করে তোলে। দারাজ বিভিন্ন লজিস্টিক চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠার লক্ষ্যে, বিশেষত তাদের ই-কমার্স অপারেশনগুলোকে মাথায় রেখে ‘দারাজ এক্সপ্রেস’ (ডেক্স নামে পরিচিত) নামক নিজেদের লজিস্টিক কোম্পানি গঠন করেছে। দারাজ বিদ্যমান এবং নতুন লজিস্টিক সরবরাহকারীদের ডিজিটালকরণে সহায়তা করছে। ২০১৮ সালে আলীবাবা গ্রুপ দারাজকে অধিগ্রহণ করে এবং ‘ডিজিটাল অর্থনীতির যুগে যেকোন স্থানে ব্যবসা সহজীকরণ’- এই লক্ষ্যের অংশ হিসেবে দারাজ গর্বের সাথে কাজ করে চলেছে। আলীবাবার অংশ হিসেবে, দারাজ বাজারে তার প্রতিষ্ঠানগত উন্নয়নে আলীবাবার নেতৃত্ব এবং প্রযুক্তি, অনলাইন বাণিজ্য, মোবাইল পেমেন্ট এবং লজিস্টিকের অভিজ্ঞতাকে ব্যবহার করছে।