জনপ্রিয়

নবম বছরে ‘উইকিমিডিয়া বাংলাদেশ’

By Baadshah

October 03, 2019

বাংলাদেশে মুক্ত বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়া তথা বাংলা উইকিপিডিয়া নিয়ে কাজ করা অলাভজনক সংস্থা ‘উইকিমিডিয়া বাংলাদেশ’ নবম বছরে পদার্পন করতে যাচ্ছে। উইকিপিডিয়ার তত্ত্বাবধানকারী যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশন ২০১১ সালের ৩ অক্টোবর বাংলাদেশে তাদের স্থানীয় চ্যাপ্টার অনুমোদন করে।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে উইকিমিডিয়া বাংলাদেশের বোর্ডের পক্ষে সভাপতি শাবাব মুস্তাফা এক শুভেচ্ছা বার্তায় বলেন, ‘উইকিপিডিয়া, বিশেষ করে বাংলা উইকিপিডিয়ার মুক্ত জ্ঞান ভাণ্ডার সমৃদ্ধ করা, উইকিপিডিয়ায় কাজ করা বাংলাদেশী স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে সাথে নিয়ে এ তথ্যভাণ্ডারে তথ্য যুক্ত করতে সবাইকে উৎসাহ প্রদানের উদ্দেশ্যে ৮ বছর আগে উইকিমিডিয়া বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়। উইকিমিডিয়া বাংলাদেশের অষ্টম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে উইকিপিডিয়ার শিক্ষামূলক কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী স্বেচ্ছাসেবক ও শুভানুধ্যায়ীদের ধন্যবাদ জানাই।’ তিনি উইকিপিডিয়ার বিভিন্ন কার্যক্রম প্রচার ও প্রসারে নিয়মিত সহযোগিতার মাধ্যমে মুক্ত জ্ঞান সমৃদ্ধ করতে ভূমিকা রাখায় বাংলাদেশী গণমাধ্যমের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

উল্লেখ্য, উইকিমিডিয়া বাংলাদেশ- উইকিপিডিয়ার শিক্ষামূলক কাজ প্রচার, প্রসার ও এ সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টিতে দেশব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা, উইকিপিডিয়ার নিবন্ধের মান ও সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য নিবন্ধ প্রতিযোগিতা, বাংলাদেশের সৌন্দর্য বিশ্বের সামনে উপস্থাপন করতে আলোকচিত্র প্রতিযোগিতা, উইকিমিডিয়া প্রকল্পে নারীদের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন ধরণের সচেতনতা কর্মসূচি এবং সম্মেলনসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে। ২০১৬ সালে ইতালিতে অনুষ্ঠিত উইকিপিডিয়ার বার্ষিক সম্মেলন ‘উইকিম্যানিয়া’য় উইকিমিডিয়া বাংলাদেশের ‘উইকিপিডিয়া স্কুল প্রোগ্রাম’ শীর্ষক একটি প্রকল্প শিক্ষামূলক তিনটি সেরা প্রকল্পের মধ্যে একটি বলে বিবেচিত হয়েছিল

ভাষাগত দিক থেকে উইকিমিডিয়ার বাংলা প্রকল্পগুলো উইকিমিডিয়া বাংলাদেশের মূল মনোযোগের স্থান হলেও, বাংলার পাশাপাশি অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষার প্রকল্প যেমন সাঁওতালি উইকিপিডিয়া, বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী উইকিপিডিয়া ও ইংরেজি প্রকল্পগুলোর প্রসার ও সমৃদ্ধিতেও সংস্থাটি কাজ করে থাকে। বর্তমানে উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশনের ৩৭টি আঞ্চলিক চ্যাপ্টার রয়েছে যার মধ্যে দক্ষিণ এশিয়াতে একমাত্র চ্যাপ্টার রয়েছে বাংলাদেশে।