বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশেও #শিমিনসবিজনেস প্রোগ্রাম চালু করছে মেটা, যা আগে ফেসবুক কোম্পানি নামে পরিচিত ছিল। এর মাধ্যমে অনলাইনে নারী উদ্যোক্তাদের ব্যবসা গড়ে তোলা ও তা সম্প্রসারণের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা, যোগাযোগের উপায় ও প্রযুক্তি প্রদান করা হবে। আইসিটি বিভাগের অ্যাসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিডব্লিউসিসিআই) এবং লাইটক্যাসল পার্টনারস-এর সাথে সম্মিলিত ভাবে এই প্রোগ্রাম চালু করা হয়েছে।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা বাংলাদেশের অর্থনীতির ভিত্তি – দেশের জিডিপিতে এই ব্যবসাগুলোর অবদান প্রায় ২৫ শতাংশ। কোভিড-১৯ মহামারির সময় দেশীয় উদ্যোক্তারা, বিশেষত মহিলা উদ্যোক্তারা, অনেক বাধার সম্মুখীন হয়েছেন। দৃঢ় মানসিকতা নিয়ে ক্রেতাদের সাথে যোগাযোগ চালিয়ে যাওয়ার জন্য অনেকেই ব্যবসার কাজে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করা শুরু করেন।
মেটা-র এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের পলিসি প্রোগ্রাম ও গভর্নমেন্ট আউটরিচ পরিচালক এবং #শিমিনসবিজনেস-এর গ্লোবাল হেড বেথ অ্যান লিম বলেন, “নারী উদ্যোক্তারা প্রতিনিয়তই সকল বাধা অতিক্রম করে অনলাইনে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করছেন। এর ফলে তাদের নিজেদের এবং সমাজের পরিবর্তনের পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে। নারী-পরিচালিত ক্ষুদ্র ব্যবসাগুলোকে সাহায্য করা ও বাংলাদেশকে আরও দৃঢ়, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ডিজিটাল ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য মেটা-র অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে বাংলাদেশে #শিমিনসবিজনেস প্রোগ্রামটি চালু করতে পেরে আমরা আনন্দিত।”
মেটা-র গবেষণা অনুসারে, বাংলাদেশে নারী পরিচালিত ফেসবুক ব্যবসাগুলোর ৭০ শতাংশেরও বেশি মহামারির সময় চালু হয়। ২০২১ সাল থেকে বাংলাদেশে চালু হওয়া ব্যবসায়িক উদ্যোগ সংক্রান্ত ফেসবুক গ্রুপগুলোর ৪০ শতাংশই শুরু করেছেন নারীরা।
আইসিটি বিভাগ ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আওতাধীন অ্যাসপায়ার টু ইনোভেট প্রোগ্রামের পলিসি অ্যাডভাইজার আনির চৌধুরী বলেন, “ক্ষুদ্র ব্যবসাগুলো অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করলেও, উদ্যোক্তাদের মাঝে এসব প্ল্যাটফর্ম বিষয়ক বিভিন্ন ধারণার ঘাটতি দেখা যায়। তাই তারা বর্তমান ও সম্ভাব্য ক্রেতাদের সাথে যুক্ত থেকে ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য ডিজিটাল টুলগুলোকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারছেন না। মেটা-র সাথে এই পার্টনারশিপ শুরু করতে পেরে আমরা আনন্দিত। এর মাধ্যমে আমরা নারী উদ্যোক্তাদের বেশ কিছু কর্মশালা ও অনলাইন লার্নিং টুল ব্যবহার করার সুযোগ করে দেবো যা তাদের ব্যবসা ভালোভাবে টিকিয়ে রাখতে এবং ভবিষ্যৎ উন্নতিতে সাহায্য করবে।”
বিডব্লিউসিসিআই-এর প্রেসিডেন্ট ও প্রতিষ্ঠাতা সেলিমা আহমাদ, এমপি বলেন, “সফল নারী উদ্যোক্তারা শুধু নিজেদের পরিবারই নয়, দেশের অর্থনীতির উন্নয়নেও অবদান রাখেন। মেটা-র সাথে কাজ করে সঠিক দক্ষতা ও তথ্য প্রদানের মাধ্যমে শহর ও গ্রামাঞ্চলের নারীদের ক্ষমতায়নে সাহায্য করতে পারবো বলে আমরা আশাবাদী। সঠিক প্রশিক্ষণ পেলে এই নারী উদ্যোক্তারা একদিন নেতৃত্বের উদাহরণ হয়ে উঠতে পারবেন।”
#শিমিনসবিজনেস প্রোগ্রামটি বর্তমানে পৃথিবীর ৩৮টি দেশে চলমান আছে। মেটা ও এর পার্টনার প্রতিষ্ঠানগুলো বিশ্বজুড়ে ১০ লক্ষের বেশি নারীকে প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে। বাংলাদেশি নারীরাও আজ এই কমিউনিটির অংশ হতে যাচ্ছেন। মেটা কীভাবে নারী-পরিচালিত ক্ষুদ্র ব্যবসাকে সহায়তা করে, সে বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানতে দেখুন: https://shemeansbusiness.fb.com/
মেটা মেটা-র প্রযুক্তি মানুষকে যোগাযোগ বৃদ্ধি করতে, কমিউনিটি গড়ে তুলতে, ও ব্যবসার উন্নতি ঘটাতে সাহায্য করে। ২০০৪ সালে চালু হওয়ার পর ফেসবুক মানুষের মধ্যে যোগাযোগের ধরন বদলে দিয়েছে। মেসেঞ্জার, ইন্সটাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপের মতো অ্যাপগুলো কোটি কোটি মানুষের ক্ষমতায়নে সাহায্য করেছে। সামাজিক প্রযুক্তির ক্ষেত্রে নতুন বিপ্লব আনতে এখন দ্বিমাত্রিক স্ক্রিন ছাড়িয়ে অগমেন্টেড ও ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মতো ত্রিমাত্রিক অভিজ্ঞতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে মেটা।