ইভেন্ট

নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জের দুইটি ক্যাটাগরির শীর্ষ চারে বাংলাদেশ

By Baadshah

December 10, 2018

প্রথমবারের মতো বিশ্বের ৭৯ টি দেশের প্রায় ২৭২৯টি দলের সাথে প্রতিযোগিতা করে নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জের ২টি ক্যাটাগরির শীর্ষ চারে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। ছয়টি ক্যাটাগরিতে শীর্ষ ২৫টি দলের নাম ঘোষণা করেছে নাসা,তন্মধ্যে দুটি ক্যাটাগরির সেরা চারে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ!

উল্লেখ্য এর আগে, পিপলস চয়েস অ্যাওয়ার্ডে শীর্ষ দশে জায়গা করে নিলেও, এই প্রথমবারের মতো মূল ক্যাটাগরির শীর্ষ চারে জায়গা করে নিলো বাংলাদেশ। এছাড়া বেস্ট ইউজ অব ডেটা ক্যাটাগরিতে ক্যালিফোর্নিয়া, কুয়ালালামপুর আর জাপানের সাথে শীর্ষে উঠে এসেছে সিলেট থেকে বিজয়ী হিসেবে মনোনয়ন পাওয়া দল‘টিম অলিক’।

টিম অলিকের “লুনার ভি আর প্রজেক্ট” টি মূলত একটি ভারচুয়াল রিয়েলিটি অ্যাপ্লিকেশন যার মাধ্যমে ব্যবহারকারী চাঁদে ভ্রমনের একটি অভিজ্ঞতা পাবেন। টিম অলিক নাসা প্রদত্ত বিভিন্ন রিসোর্স থেকে থ্রিডি মডেল ও তথ্য সংগ্রহ করে, নাসা আপোলো ১১ মিশন এর ল্যান্ডিং এরিয়া ভ্রমন , চাঁদ থেকে সূর্যগ্রহন দেখা এবং চাঁদ কে একটি স্যাটেলাইট এর মাধ্যমে আবর্তন করা এই তিনটি ভিন্ন পরিবেশকে ভার্চুয়ালভাবে তৈরী করেছে।

আর বেস্ট ইউজ অব হার্ডওয়্যার ক্যাটাগরিতে আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া আর তাইপের সাথে শীর্ষ চারে উঠে এসেছে ঢাকা থেকে রানার্স-আপ হিসেবে মনোনয়ন পাওয়া টিম ‘প্ল্যানেট কিট’। ‘প্ল্যানেট কিট’ যে ডিভাইসটি তৈরি করেছে সেটি মঙ্গল গ্রহে বেঁচে থাকার জন্য সহায়তা করবে। “প্ল্যানেট কিট” পরিবেশ এর ডেটা প্রদান, প্রাথমিক স্তরের রসায়নিক পরীক্ষা, জরুরী সতর্কতা এবং বিপত্তি থেকে সহায়তা, মাটির গঠন মূল্যায়ন, পানীয়যোগ্য পানি সংগ্রহ, পথ পরিকল্পনা ,থ্রিডি ভার্চুয়ালাইজেশন ইত্যাদি কাজে সাহায্য করবে। এই ডিভাইসটি নিকট ভবিষ্যতে ঘন ঘন মহাকাশ যাত্রা, স্থান ভ্রমণের খরচ হ্রাস, মূল্যবান গবেষণা তথ্য সংরক্ষণ, এমনকি পৃথিবীতে বিভিন্ন গবেষণার কাজে সাহায্য করবে।

উল্লেখ্য, এ বছর ১৯-২০ অক্টোবর শীর্ষ ৪০টি প্রকল্পকে নিয়ে ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশে টানা ৩৬ ঘন্টার হ্যাকথন অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকে শীর্ষ ৮টি প্রকল্পকে নাসার চ‚ড়ান্ত প্রতিযোগিতার জন্য মনোনয়ন দেয়া হয়। আটটি মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রকল্প থেকে প্রথমবারের মতো দুইটি ক্যাটাগরির শীর্ষ চারে জায়গা করে নিলো বাংলাদেশ।

এ অর্জন সম্পর্কে বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, এ বছর আমাদের লক্ষ্যই ছিল গত তিন আসরের তুলনার ভালো করার। প্রথমবারের মতো প্রধান ছয়টি ক্যাটাগরির মধ্যে দুইটি ক্যাটাগরির শীর্ষ চারে স্থান করে নেয়া নি:সন্দেহে বড় অর্জন। আমরা বেসিস থেকে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যে যাত্রা অব্যাহত রেখেছি, এ অর্জন আমাদের প্রচেষ্টার পথে আরেকটি বড় মাইলফলক। আমি বাংলাদেশের নাম বিশ্ব দরবারে আরো উঁচুতে আসীন করার জন্যে ‘টিম অলিক’ ও ‘টিম প্ল্যানেট কিটকে’ অভিনন্দন জানাচ্ছি।

নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০১৮এর আহ্বায়ক দিদারুল আলম বলেন, এবার ২০০০ প্রকল্প থেকে বাছাই করে সেরা ৪০টি প্রকল্প আমরা নাসার জন্যে মনোনীত করেছি। বাংলাদেশের ৯টি শহরে (ঢাকা, চট্রগ্রাম সিলেট, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, রংপুর, ময়মনসিংহ এবং কুমিল্লা) এ আয়োজন করি। নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জে এবার ৫০ লাখ শিক্ষার্থীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যুক্ত করার পাশাপাশি ১ লাখ শিক্ষার্থীদের সরাসরি এ প্রতিযোগিতায়