দেশের অন্যতম ডিজিটাল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক দেশব্যাপী নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের লক্ষ্যে গত বছর ৪,০০০ নতুন ফোরজি সাইট স্থাপন করেছে।
এর ফলে আরও বেশি সংখ্যক গ্রাহক বাংলালিংক-এর দ্রুততম ফোরজি ও উন্নত ডিজিটাল সেবা উপভোগ করতে পারছেন।
বিশেষ এই অর্জন উদযাপনে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি)- এ প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার ও বাংলালিংক-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরিক অসের উপস্থিতিতে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এই অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিটিআরসি-এর কমিশনার অফ স্পেকট্রাম ডিভিশন প্রকৌশলী শেখ রিয়াজ আহমেদ, বিটিআরসি-এর ডিরেক্টর জেনারেল (সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ, বিটিআরসি-এর ডিরেক্টর জেনারেল (ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশনস) মো. এহসানুল কবির, বিটিআরসি-এর ডিরেক্টর জেনারেল (স্পেকট্রাম) মো. মনিরুজ্জামান জুয়েল, বিটিআরসি-এর ডিরেক্টর জেনারেল (অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) মো. দেলোয়ার হোসেন, বাংলালিংক-এর চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান ও উভয় প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিষদের অন্যান্য সদস্যরা।
সাফল্যের সাথে ৪,০০০ সাইট স্থাপনের পর বাংলালিংক-এর মোট সাইটের সংখ্যা ৪০% বেড়ে ১৪,৫০০-তে দাঁড়িয়েছে। এই নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ বাংলালিংক-এর দেশব্যাপী বিস্তৃত অপারেটরে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য পূরণে ভূমিকা রেখেছে।
গ্রাহক প্রতি সর্বোচ্চ পরিমাণ স্পেকট্রাম ও অন্যান্য কারিগরি উন্নয়নের ফলে বাংলালিংক দেশের দ্রুততম ফোরজি নেটওয়ার্কের অবস্থানও ধরে রেখেছে।
বিটিআরসি-এর চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেন, “বিটিআরসি সব অপারেটরকে নির্দেশনা দিয়ে থাকে এবং আমি এটিকে শুধু নিয়ন্ত্রক নয়, বরং সহায়তা প্রদানকারী একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে উপস্থাপন করতে চাই।
দেশের অন্যতম মোবাইল অপারেটর বাংলালিংক যেভাবে দেশের সব প্রান্তের মানুষকে সেবা দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলেছে, তা দেখে আমি আনন্দিত। এক বছরের মধ্যে এতো বেশি সংখ্যক সাইট নির্মাণ প্রতিফলিত করে যে, বাংলালিংক দ্রুততম ডিজিটাল অপারেটর হিসেবে অগ্রসর হচ্ছে।
আমরা আশা করি, তারা এই অগ্রগতির ধারা বজায় রেখে এগিয়ে যাবে ও আগামীতে গ্রাহকদেরকে উন্নত সেবা দেওয়া অব্যাহত রাখবে।” বাংলালিংক-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরিক অস বলেন, “দ্রুত গতিতে বাংলালিংক-এর নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ আমাদের দেশব্যাপী বিস্তৃত অপারেটরে পরিণত হওয়ার প্রতিশ্রুতিকে প্রতিফলিত করে।
একটি ডিজিটাল অপারেটর হওয়ার লক্ষ্যে আমরা দেশের প্রতিটি প্রান্তে পৌঁছে ডিজিটাল সেবার মাধ্যমে মানুষের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছি। আমাদের উদ্যোগগুলিকে এগিয়ে নিতে সহযোগিতা করার জন্য নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।”