নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস বাংলার উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স নেপালের সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্রের বরাত দিয়ে এ কথা জানিয়েছে। তবে বার্তা সংস্থা এএফপি বলেছে, কমপক্ষে ৪০ জন নিহত হয়েছে।নেপালের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র গোকুল ভান্ডারি এএফপিকে বলেন, কাউকে জীবিত উদ্ধার করার আশা প্রায় শেষ হয়ে গেছে। কারণ উড়োজাহাজটি ভয়াবহভাবে পুড়ে গেছে।কোনো বার্তা সংস্থাই তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের পরিচয় জানাতে পারেনি।নেপালে ইউএস-বাংলার একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার পর নিহতদের লাশ উদ্ধার করে একটি স্থানে রাখা হয়েছে। তবে এই দুর্ঘটনায় কত জন মারা গেছেন তা কেউ নিশ্চিত করেননি। নেপালে ইউএস-বাংলার একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার পর নিহতদের লাশ উদ্ধার করে একটি স্থানে রাখা হয়েছে। তবে এই দুর্ঘটনায় কত জন মারা গেছেন তা কেউ নিশ্চিত করেননি। এএফপি জানিয়েছে হতাহতদের উদ্ধারে কাজ চলছে। বিমানের ধ্বংসাবশেষ থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। উড়োজাহাজে ৩২ জন আরোহী ঘটনাস্থলেই মারা যান। উড়োজাহাজটিতে ৬৭ জন যাত্রী ও ৪ জন ক্রু ছিলেন। সোমবার ঢাকা থেকে নেপালের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস বাংলার একটি উড়োজাহাজ কাঠমান্ডুতে বিধ্বস্ত হয়। ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে কাঠমান্ডুর একজন সাংবাদিক বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২২ জনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের জনসংযোগ কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, ৭১ জন আরোহীর মধ্যে ৬৭ জন যাত্রী রয়েছেন। নেপাল সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হওয়া ইউএস বাংলার উড়োজাহাজটিতে ৩৩ বাংলাদেশি যাত্রী ছিলেন। ইউএস বাংলা এয়ারলাইনস সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। ৩৩ জন বাংলাদেশি উড়োজাহাজটিতে ক্রুসহ মোট ৭১ জন ছিলেন। যাত্রী ছিলেন ৬৭ জন। এর মধ্যে বাংলাদেশি ছাড়া ৩২ জন নেপালি, একজন করে মালদ্বীপ ও চীনের যাত্রী ছিলেন। দুপুর ১২টা ৫১ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড়োজাহাজটি ছেড়ে যায়। নেপালে পৌঁছানোর পর স্থানীয় সময় ২টা ২০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় ৩টা ৫ মিনিট) এটি বিধ্বস্ত হয়। তবে প্রাথমিকভাবে বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ জানা যায়নি।নেপালের কাঠমান্ডুতে বিধ্বস্ত বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস বাংলার উড়োজাহাজ থেকে হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধারে কাজ চলছে। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিমানের ধ্বংসাবশেষ থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ঠিক কতজন নিহত হয়েছেন, তা এখনো জানা যায়নি। এক যাত্রীর বর্ণনা ‘জানালার পাশেই ছিল আমার আসন। কাচ ভেঙে আমি বেরিয়ে আসি।’ নেপালে বিধ্বস্ত ইউএস বাংলার এক নেপালি যাত্রী জানিয়েছেন এ কথা।উড়োজাহাজে থাকা ওই যাত্রীর বরাত দিয়ে কাঠমান্ডু পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, যাত্রীদের মধ্যে ১৬ জন নেপালি। বহোরা নামে ওই যাত্রী জানান, তিনিসহ ১৬ জন নেপালের বিভিন্ন ট্রাভেল সংস্থার হয়ে বাংলাদেশে প্রশিক্ষণ নিতে গিয়েছিলেন।বহোরা জানান, ঢাকা থেকে উড়োজাহাজটি উড্ডয়নের সময় স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু কাঠমান্ডুতে অবতরণের সময় এটি অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করে। মুহূর্তের মধ্যে উড়োজাহাজটি ঝাঁকুনি খেতে থাকে এবং এর পরপরই বিকট শব্দ হয়। তিনি বলেন, ‘আমার আসনটি জানালার কাছে ছিল এবং আমি জানালার কাচ ভেঙে বাইরে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হই।’ওই যাত্রী এখন স্থানীয় থাপাথালিভিত্তিক নরভিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।তিনি আরও বলেন, ‘উড়োজাহাজটি থেকে বেরিয়ে আসার পর আমি আর কিছু মনে করতে পারি না। কেউ একজন আমাকে সিনামঙ্গল হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং সেখান থেকে আমার বন্ধুরা নরভিক হাসপাতালে নিয়ে আসেন।’ তিনি জানান, তাঁর মাথায় ও পায়ে আঘাত লেগেছে। ভাগ্যক্রমে তিনি বেঁচে গেছেন।নেপালে বিধ্বস্ত ইউএস বাংলা উড়োজাহাজের ব্ল্যাকবক্স উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২২ জনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, অন্তত ২৭ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।