বর্তমান সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় অনলাইন গেম প্লেয়ার আননোন’স ব্যাটলগ্রাউন্ডস (পাবজি)। গেমটি এবার নিষিদ্ধ ঘোষণা করল নেপাল। গেমটির সহিংস বিষয়বস্তু শিক্ষার্থীদের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে—এমন আশঙ্কা থেকেই গেমটিকে নিষিদ্ধ করেছে নেপাল। শুক্রবার গেমটি নিষিদ্ধ করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নেপালের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। অনলাইনে একাধিক ব্যক্তি মিলে খেলতে হয় এই গেম। একটি নির্জন দ্বীপে অন্যদের হত্যা করে নিজেকে টিকে থাকতে হয় গেমটিতে। শেষ পর্যন্ত যে ব্যক্তি বা দল জীবিত থাকে, সে-ই বিজয়ী হয়। নেপালের টেলিযোগাযোগ কর্তৃপক্ষ সব ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানকে পাবজি গেম ব্লক করে দেওয়ার জন্য লিখিত নির্দেশ পাঠায়। কাঠমান্ডু জেলা আদালতের নির্দেশনায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা ধীরাজ প্রতাপ সিং এএফপিকে বলেছেন, ‘অভিভাবক ও স্কুলগুলো থেকে অসংখ্য অভিযোগ পাওয়ার পর আদালত গেমটিকে নিষিদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন। গেমটি শিশু, কিশোর-কিশোরী ও শিক্ষার্থীদের ওপর মানসিকভাবে বিরূপ প্রভাব ফেলছে।’ নেপালের শিক্ষক ও অভিভাবকেরা বলছেন, গেমটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে সহিংসতা ঢুকিয়ে দিচ্ছে। একই সঙ্গে পড়াশোনা থেকে শিক্ষার্থীদের মনোযোগও কমিয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁদের। তবে এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করছেন অনেকে, বিশেষ করে যারা গেমটি খেলে থাকেন। ২৮ বছর বয়সী সওগাত যোশি বলেছেন, গেম বন্ধ না করে বরং অভিভাবকদের উচিত গেম খেলার অভ্যাস নিয়ে সন্তানদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করা। তিনি বলেন, ‘গেম নিষিদ্ধ করে দেওয়া কোনো সমাধান হতে পারে না। এখন হয়তো পাবজি অনেক ভাইরাল হয়েছে। কিন্তু সামনের বছর তো এমন আরও ১০ টি গেম ভাইরাল হতে পারে। আমরা তো সব গেম বন্ধ করতে পারি না।’ নেপালের আগে ভারতের গুজরাটেও পাবজি গেম খেলার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। এমনকি গেমটি খেলার জন্য কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছিল। ২০১৭ সালে চালু হওয়ার পর থেকে এখনো পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী ১০ কোটিরও বেশি বার ডাউনলোড করা হয়েছে এই গেমটি।