বাংলাদেশে বায়োপ্রেপ ফিউশন নামে স্যাসটেনেবল কটন নিট প্রি-ট্রিটমেন্ট প্রোসেস নিয়ে এসেছে ড্যানিশ কোম্পানি নেভোজাইম্স্। এটি স্বল্প খরচে পোশাক শিল্পের ওয়েট প্রোসেসিংয়ের জন্য একটি বায়োলজিক্যাল সলিউশন।
গত ২০ নভেম্বর ঢাকায় গুলশানের এজ গ্যালারিতে ড্যানিশ দূতাবাস, বাংলাদেশ এবং নোভোজাইম্স্ এ/এস যৌথভাবে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন জায়ান্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বিজিএমইএর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ফারুক হাসান এবং পোষাক শিল্পের ক্রয় ও উৎপাদনের সাথে জড়িত বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
নোভোজাইম্স্ এর বিজনেস ইউনিট পরিচলক এথেল ফ্যানি লরসেন বলেন, বাংলাদেশে টেকসই উৎপাদন অবদান রাখতে পেরে নোভোজাইম্স্ গর্বিত। এটি পরিক্ষীত একটি উদ্ভাবন যা টেকসই উৎপাদনের সাথে সাথে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। নোভোজাইম্স্ গড় আয়ের শতকরা ১৩ থেকে ১৪ ভাগ গবেষণার জন্য ব্যয় করে থাকে।
বাংলাদেশে নিয়োজিত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি এস্ট্রুপ পিটারসেন স্বাগত বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ দারুণ সম্ভাবনাময় একটি দেশ। বিশ্বের সেরা দশটি সবুজ কারখানার মাঝে সাতটি এদেশে বিদ্যমান। এ জন্য দেশটি ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। টেকসই ইস্যুতে যদিও খাতটির সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে, নোভাজাইম্স্ এর মতো ড্যানিশ কোম্পানিগুলোর উদ্ভাবনী ও টেকসই সমাধান সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ভালো ভূমিকা রাখতে সক্ষম।
বাংলাদেশে টেকসই নিট কটন প্রি ট্রিটমেন্ট এর চ্যালেঞ্জ নিয়ে শিল্প বিশেষজ্ঞ ও স্টেকহোল্ডারদের সাথে একটি প্যানেল ডিসকাশনের আয়োজন করা হয়।বক্তারা বলেন, ডিজাইনারদের কাছ থেকে পাওয়া আকর্ষণীয় পোশাকগুলো তৈরি করতে প্রচুর বিদ্যুৎ ও পানির প্রযোজন পড়ে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় যথাযথ টেকনোলজি এবং মূল্যের সমন্বয় প্রয়োজন।
বক্তারা আরও বলেন, বায়োপ্রেপ ফিউশন কনসেপ্ট নিট কটন প্রি ট্রিটমেন্ট চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করতে সাহায্য করে। এটা উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করে শিল্প মালিকদের খরচ সাশ্রয় করে যা ব্যবহারকারীদের ৬৭ ভাগ পানি, ৫০ ভাগ জ্বালানি এবং ৫০ ভাগ সময় বাঁচায়।
প্রসঙ্গত, ডেনমার্ক-বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ উৎসাহিত করা অনুভুক্ত। ডেনমার্ক দূতাবাসের ট্রেড কাউন্সিল ড্যানিশ রফতানিকারক এবং বিনিয়োগকারীদের ব্যবসা কার্যক্রমে সহায়তা করে এবং ড্যানিশ ব্যবসায় সহযোগী বা সরবরাহকারীর সন্ধানে বাংলাদেশি সংস্থাগুলোর তথ্য সরবরাহ করে।