দেশের শীর্ষ স্থানীয় ডিজিটাল মার্কেটিং প্রতিষ্ঠান বিজকোপ, যার শুরু ২০১০ সালে। তরুণ উদ্যক্তা নাহিদ হাসান প্রথমে কাজ শুরু করেছিলেন আমেরিকান জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস ওডেস্ক। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন সার্ভিস প্রদানের মাধ্যমে শুরু করেছিলেন ফ্রিল্যান্সিং জীবনের পথযাত্রা । যাত্রা শুরুর সাত দিনের মাথায় বন্ধু-বান্ধবদের গঠন করেন নিজের ছোট একটি দল। কারণ শুরু থেকেই তিনি টিম ওয়ার্ক বা দলগত কাজে বিশ্বাসী। আর সেই টিম নিয়ে গুটি গুটি পায়ে যাত্রা শুরু করে নিজের যোগ্যতার বলে মার্কেটপ্লেসের বাইরেও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের কাজ করতে থাকেন। কথা হয় তার সাথে :
বিজকোপের প্রারম্ভিক যাত্রা কিভাবে শুরু হয়েছিলো? দেশের শীর্ষ স্থানীয় ডিজিটাল মার্কেটিং প্রতিষ্ঠান বিজকোপ, যার শুরু ২০১০ সালে। তরুণ উদ্যক্তা নাহিদ হাসান প্রথমে কাজ শুরু করেছিলেন আমেরিকান জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস ওডেস্ক। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন সার্ভিস প্রদানের মাধ্যমে শুরু করেছিলেন ফ্রিল্যান্সিং জীবনের পথযাত্রা । যাত্রা শুরুর সাত দিনের মাথায় বন্ধু-বান্ধবদের গঠন করেন নিজের ছোট একটি দল। কারণ শুরু থেকেই তিনি টিম ওয়ার্ক বা দলগত কাজে বিশ্বাসী। আর সেই টিম নিয়ে গুটি গুটি পায়ে যাত্রা শুরু করে নিজের যোগ্যতার বলে মার্কেটপ্লেসের বাইরেও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করতে থাকেন।
বিজকোপের ব্যবসায়িক প্রসার কেমন? ক্যারিয়ারের শুরুটা আমেরিকান ক্লায়েন্ট দিয়ে হলেও ধীরে ধীরে তা ইস্ট এশিয়া, ইউরোপ এবং অস্ট্রেলিয়ার ক্লায়েন্ট নিয়ে কাজ করতে থাকেন। সে সময় ডিজিটাল চ্যানেল গুলা বাংলাদেশে জনপ্রিয় হওয়া শুরু করলেও ব্যবসা গুলো ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে অতটা সিরিয়াস ছিল না।
দেশীয় মার্কেটে বিজকোপ কিভাবে অবদান রাখছে? ২০১৭ সালে এসে রকমারি এর সাথে কাজ শুরু করেন যা ছিল বিজকোপের প্রথম বাংলাদেশের ক্লায়েন্ট। এর পর সেবা দিয়েছেন আরও অনেক দেশি বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে যার মধ্যে আছে পেওনিয়ার ইঙ্ক, বিক্রয় ডট কম, ফেয়ার গ্রুপ, এস এস স্টিল, জাপান ইস্ট ওয়েস্ট মেডিকেল কলেজ হসপিটাল সহ আরও পাঁচ শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
কি কি সেবা দিয়েছে বিজকোপ?
শুরুতে শুধু ডিজিটাল মার্কেটিং সার্ভিস দিলেও ধীরে ধীরে সার্ভিস এর পরিধি বাড়িয়েছেন। বর্তমানে, ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট, বিজনেস কনসালটেন্সি, একাউন্টিং সলিউশন, ভিডিও কন্টেন্ট প্রোডাকশন, ইমেজ প্রসেসিং সহ আরও বেশ কিছু সার্ভিস যুক্ত হয়েছে।
বিজকোপের ভবিষ্যত লক্ষ্য?
বিজকোপের লক্ষ্য হচ্ছে সার্ভিসের মধ্যে নতুন নতুন ইনোভেটিভ সলিউশন তৈরি করা, যা বাংলাদেশের ব্যবসা দেশের বাইরে সম্প্রসারিত করতে সহায়তা করবে। বাংলাদেশের পণ্য এবং সেবার মান খুবই ভাল এবং বহির্বিশ্বে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কিন্তু সঠিক মার্কেটিং এর অভাবে তা বিশ্বের বাজারে ছড়িয়ে দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। আর এখানেই বিজকোপ কাজ করছেন, কাজ করছেন দক্ষ্ টিম তৈরি করতে এবং সেই দক্ষ টিম প্রতিনিয়ত কাজ করছে বাংলাদেশের ব্র্যান্ড গুলোকে বিশ্বের বাজারে এগিয়ে নিয়ে যেতে। এছাড়াও বিজকোপ একাধিক গ্লোবাল ব্র্যান্ড কে বাংলাদেশে তাদের ব্যবসা সম্প্রসারিত করতে সহায়তা করছে।
দক্ষ জনবল এবং কর্মসংস্থান তৈরিতে বিজকোপের কিভাবে অবদান রাখছে? তাদের কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাংলাদেশ মার্কেটে তারা যখন কর্মী নিয়োগ দেন চেষ্টা করেন নবীনদেরকে অগ্রাধিকার দিতে। বর্তমানে তাদের নিয়োগের মধ্যে ৪০ ভাগ থাকেন ফ্রেশার। এছাড়া তারা নারীদেরকে আইটি ইন্ডাস্ট্রিতে যুক্ত হতে উৎসাহিত করে থাকেন এবং সুযোগ দিয়ে থাকেন। মূলত ইন্টার্নশীপ প্রোগ্রামের মাধ্যমে এই যাত্রা শুরু করে থাকে, পরবর্তীতে দক্ষতা এবং যোগ্যতা বিচারে তাদের পূর্ণাংগ নিয়োগ দিয়ে থাকেন।
নতুন উদ্যোক্তাদের বিজকোপ কিভাবে তাদের সহায়তা প্রদান করে থাকে? বিজকোপের মুল ক্রেতা যদিও কর্পোরেট ব্র্যান্ড গুলো, কিন্তু বিজকোপ সবসময় ক্ষুদ্র মাঝারি এবং নতুন উদ্যোগকে সহায়তা করার চেষ্টা করে। বিজকোপ তাদের ২০ ভাগ রিসোর্স ক্ষুদ্র এবং নতুন উদ্যোগকে সহায়তা করার জন্য ব্যবহার করে থাকে, এবং নাম মাত্র স্বল্প মূল্যে সেবা প্রদান করে থাকে।
বর্তমানে বিজকোপ আমেরিকা, ইস্ট এশিয়া এবং ইউরোপের মার্কেটের ৩০ টির বেশি দেশে তাদের সার্ভিস সম্প্রসারিত করেছে এবং ধীরে ধীরে এই সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে।